ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি চেয়ে আদালতে স্বজনদের মানববন্ধন

  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কারাগারে আটক বিডিআর সদস্যদের মুক্তি চেয়ে ঢাকার নিম্ন আদালতে মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছেন তাদের স্বজনরা। অন্যদিকে এই ঘটনার বিস্ফোরক আইনের মামলায় একই দিন রাষ্ট্রের পাবলিক প্রসিকিউটর না থাকায় আসামিদের জামিন আবেদনে শুনানি গ্রহণ করেনি আদালত।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ এলাকায় মানববন্ধন থেকে স্বজনরা বিডিআর সদস্যদের মুক্তির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত স্বজনেরা বলেন, হাসিনা সরকারের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ বছর ধরে নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। স্বজনদের অভিযোগ, বিগত হাসিনা সরকারের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায় থাকার নীলনকশার অন্যতম অংশ এবং প্রথম গণহত্যা ছিল পিলখানা হত্যাকাণ্ড। যার দায় চাপানো হয়েছে নিরপরাধ, নিরীহ বিডিআর সদস্যদের ওপর। এছাড়া হত্যা মামলায় বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষ হয়েছে ৫০০ নিরপরাধ বিডিআর সদস্যের। শুধু হাসিনা সরকারের নাটকীয়, প্রহসনমূলক, বিস্ফোরক মামলার কারণে ১৬ বছর ধরে কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। কারাগারে ৫৬ জন নিরপরাধ বিডিআর সদস্য বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন এবং বর্তমানে অনেকেই বার্ধক্যজনিত শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় কারাগারে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
এদিকে জামিন আবেদনের শুনানি না হওয়ার বিষয়ে এ মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, এ মামলায় পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন মোশারফ হোসেন কাজল। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আর আদালতে আসেন না। নতুন কোনো প্রসিকিউটর নিয়োগও দেওয়া হয়নি। তাই আমি কারাগারে থাকা ১১১ জন বিডিআর সদস্যদের পক্ষে জামিন আবেদন করলেও শুনানি হয়নি। আমরা চাই সরকার দ্রুত প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়ে জামিন শুনানির সুযোগ করে দিবেন। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুদিনে তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবি সদরদপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। ২০১০ সালের ১২ জুলাই হত্যা মামলায় এবং ২৭ জুলাই বিস্ফোরক আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ২০১১ সালের ১০ আগস্ট হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হলেও বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার স্থগিত ছিল। হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ পর্যায়ে ২০১৩ সালের ১৩ মে বিস্ফোরক আইনের মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। হত্যা মামলায় ৪ বছর ৮ মাসে ২৩২টি কার্যদিবস পর ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা হয়। কিন্তু বিস্ফোরক আইনের মামলায় গত ১৫ বছরে প্রায় দুই শতাধিক ধার্য তারিখ সাক্ষীর জন্য অতিবাহিত হয়েছে।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি চেয়ে আদালতে স্বজনদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৮:৩২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কারাগারে আটক বিডিআর সদস্যদের মুক্তি চেয়ে ঢাকার নিম্ন আদালতে মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছেন তাদের স্বজনরা। অন্যদিকে এই ঘটনার বিস্ফোরক আইনের মামলায় একই দিন রাষ্ট্রের পাবলিক প্রসিকিউটর না থাকায় আসামিদের জামিন আবেদনে শুনানি গ্রহণ করেনি আদালত।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ এলাকায় মানববন্ধন থেকে স্বজনরা বিডিআর সদস্যদের মুক্তির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত স্বজনেরা বলেন, হাসিনা সরকারের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ বছর ধরে নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। স্বজনদের অভিযোগ, বিগত হাসিনা সরকারের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায় থাকার নীলনকশার অন্যতম অংশ এবং প্রথম গণহত্যা ছিল পিলখানা হত্যাকাণ্ড। যার দায় চাপানো হয়েছে নিরপরাধ, নিরীহ বিডিআর সদস্যদের ওপর। এছাড়া হত্যা মামলায় বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষ হয়েছে ৫০০ নিরপরাধ বিডিআর সদস্যের। শুধু হাসিনা সরকারের নাটকীয়, প্রহসনমূলক, বিস্ফোরক মামলার কারণে ১৬ বছর ধরে কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। কারাগারে ৫৬ জন নিরপরাধ বিডিআর সদস্য বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন এবং বর্তমানে অনেকেই বার্ধক্যজনিত শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় কারাগারে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
এদিকে জামিন আবেদনের শুনানি না হওয়ার বিষয়ে এ মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, এ মামলায় পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন মোশারফ হোসেন কাজল। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আর আদালতে আসেন না। নতুন কোনো প্রসিকিউটর নিয়োগও দেওয়া হয়নি। তাই আমি কারাগারে থাকা ১১১ জন বিডিআর সদস্যদের পক্ষে জামিন আবেদন করলেও শুনানি হয়নি। আমরা চাই সরকার দ্রুত প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়ে জামিন শুনানির সুযোগ করে দিবেন। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুদিনে তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবি সদরদপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। ২০১০ সালের ১২ জুলাই হত্যা মামলায় এবং ২৭ জুলাই বিস্ফোরক আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ২০১১ সালের ১০ আগস্ট হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হলেও বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার স্থগিত ছিল। হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ পর্যায়ে ২০১৩ সালের ১৩ মে বিস্ফোরক আইনের মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। হত্যা মামলায় ৪ বছর ৮ মাসে ২৩২টি কার্যদিবস পর ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা হয়। কিন্তু বিস্ফোরক আইনের মামলায় গত ১৫ বছরে প্রায় দুই শতাধিক ধার্য তারিখ সাক্ষীর জন্য অতিবাহিত হয়েছে।