অজয় দাশগুপ্ত : জনকল্যাণে যারা নিবেদিত, মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য যারা জীবনকে উৎসর্গ করেন-সেই সব রাজনীতিকের কাছে বন্দিজীবন কিংবা নির্বাসন দ- অন্যায় বলে অবশ্যই বিবেচিত হবে। কিন্তু একইসঙ্গে তা গণ্য হয় ন্যায় ও সত্যের জন্য নিবেদিত থাকার পুরস্কার হিসেবে। এ জীবন নিঃসঙ্গ, অনেক সময় অসহনীয়। কীভাবে জেলে সময় কাটে? বঙ্গবন্ধু ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘দিনভরই আমি বই নিয়ে আজকাল পড়ে থাকি। কারণ সময় কাটাবার আমার আর তো উপায় নাই। কারও সাথে দু’ এক মিনিট কথা বলব তা-ও সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।’ (পৃষ্ঠা ১৭২)
সময় কাটানোর জন্য কারাজীবনকে তিনি লেখার জন্যও ব্যবহার করেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন-এ সব কালজয়ী রচনা কারাগারেই লেখা। এ সময় ডায়েরিও লিখেছেন। চিঠি লিখেছেন পরিবারের সদস্য ও রাজনৈতিক বন্ধুদের। ১৯৫১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে লিখেছেন-‘জেলখানায়ও যদি মরতে হয় তবে মিথ্যার কাছে কোন দিন মাথা নত করবো না। আমার জন্য কিছুই পাঠাবেন না। আমার কোন কিছুরই দরকার নাই। নতুন চীনের কিছু বই যদি পাওয়া যায় তবে আমাকে পাঠাবেন। (গোয়েন্দা রিপোর্ট, দ্বিতীয় খ-। পৃষ্ঠা ৭৯)
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের পরপরই তিনি প্রায় আড়াই বছরের বন্দিদশা থেকে মুক্তিলাভ করেন। তার ওপর অর্পিত হয় আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। ওই বছর ১৪ জুন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে লিখেছেন-‘চষবধংব ফড়হ’ঃ ঃযরহশ ভড়ৎ সব. ও যধাব নড়ৎহ ঃড় ংঁভভবৎ.’ (গোয়েন্দা রিপোর্ট, দ্বিতীয় খ-। পৃষ্ঠা ২৩৯)
তার জীবন নিবেদিত ছিল মুক্তির সংগ্রামে। এজন্য যেকোনো কষ্ট সহ্য করতে তিনি সদা প্রস্তুত। কারাগারে থাকাবস্থাতেও ভেঙ্গে পড়েননি। কত বার বন্ড দিয়ে মুক্তির প্রস্তাব এসেছে, ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছেন। তিনি যে অদম্য। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও একই মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। তার সর্বশেষ বন্দিজীবনের অবসান ঘটেছে ২০০৮ সালের ১১ জুন, আজ থেকে ঠিক ১৩ বছর আগে। তার প্রথম বন্দিজীবন শুরু হয় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর। ওই রাতেই বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং শেখ হাসিনা, শেখ জামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধুর জামাতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয় ১২ মে। ধানমন্ডি ১৮ নম্বর সড়কের ২৬ নম্বর বাড়িতে (বর্তমান ৯-এ সড়ক) পাকিস্তান আর্মি তাদের কঠোর প্রহরায় আটক রাখে। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ততদিনে মুক্তি বাহিনীতে গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য চলে গেছেন। ২৭ জুলাই জন্ম হয় শেখ হাসিনার প্রথম পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের। ৫ অগাস্ট শেখ জামাল কঠোর সামরিক প্রহরাকে ফাঁকি দিয়ে উধাও হয়ে যান মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিতে। এই তো গরবিনী মা! স্বামী পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ফাঁসির দ- প্রদানের আয়োজন চলছে। এমন সময়েও দুই পুত্রকে পাঠিয়েছেন রণাঙ্গনে। শেখ হাসিনার জীবন কেমন ছিল তখন? ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থের ভূমিকা থেকে আমরা জানতে পারি-১৯৭১ সালে বন্দিজীবনে একবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে যাবার সুযোগ দিয়েছিল পাকিস্তান আর্মি। শেখ হাসিনা সেখানে গিয়েছিলেন। তাকে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বলে দেন-‘তোর আব্বার খাতাগুলো যেভাবে পারিস নিয়ে আসিস। খাতাগুলো কোথায় আছে তাও বলে দিলেন।’ (পৃষ্ঠা ৮)
শেখ হাসিনা লিখেছেন, ৩২ নম্বরের বাড়িতে যে ঘরে যাই মিলিটারি যায় সাথে সাথে। ড্রেসিং রুমের আলমারির ওপর আব্বার খাতাগুলো ছিল। কিন্তু সাথে মিলিটারির লোক। একখানা গায়ে দেবার কাঁথা পড়ে ছিল। সেই কাঁথায় মুড়িয়ে খাতাগুলি লুকিয়ে নিয়ে আসি। (কারাগারের রোজনামচা, পৃষ্ঠা ৮-৯)
বন্দিজীবনেও শেখ হাসিনা এং তার মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চরম ঝুঁকি নিয়েছিলেন বলেই ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ বাংলাদেশের জনগণের কাছে শুধু নয়, বিশ্বের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘আব্বার এই খাতা উদ্ধার আমার মায়ের প্রেরণা ও অনুরোধের ফসল। আমার আব্বা যতবার জেলে যেতেন মা খাতা, কলম দিতেন লেখার জন্য। বার বার তাগাদা দিতেন। (পৃষ্ঠা ৯)
বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীর প্রথম পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘আমার সহধর্মিনী একদিন জেলগেটে বসে বলল, বসেই তো আছ, লেখ তোমার জীবন কাহিনী।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পরের প্রায় ৬ বছর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার দুঃসহ জীবন কাটে ভারতে। প্রিয় মাতৃভূমিতে আসার জন্য বার বার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বার বার তা প্রত্যাখান করেছেন। প্রাণনাশের হুমকিও ছিল। ভারতে তার কেটেছে নির্বাসনের জীবন। এর মধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছেন আওয়ামী লীগকে ফের সামনের সারির দলে পরিণত করার। ১৯৮১ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তিনি বার্তা প্রেরণ করেন- ‘আত্মসমালোচনা-আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।’ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার হত্যাকা-ের পর স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দলটি তখন বিপর্যস্ত। শত শত নেতা-কর্মী কারাগারে। কেউ কেউ দেশের বাইরে চলে গেছেন কেবল বেঁচে থাকার জন্য। এমন সময় শেখ হাসিনার ওপর অর্পিত হয় দলের সভাপতির দায়িত্ব। দল পেয়ে যায় ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা। ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পরই অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. কামাল হোসেন। শেখ হাসিনা কখনও ড. কামাল হোসের সঙ্গে, কখনও পৃথকভাবে দেশব্যাপী নির্বাচনী অভিযান পরিচালনা করেন। তার সভাগুলো লোকে-লোকারণ্য হয়ে যেত। তারা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেখতে চায়, তার কথা শুনতে চায়। এই নির্বাচনী প্রচারাভিযানের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগ জনগণের মধ্যে নিজেকে দেখতে পায়, কর্মী-সমর্থকরা বুঝতে পারে-জাতির পিতাকে শত চেষ্টা করেও মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যায়নি।
আশির দশকে এইচ এম এরশাদের শাসনামলে শেখ হাসিনাকে বার বার বন্দিজীবনে কাটাতে হয়। ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৫ দলের নেতাদের নিয়ে তিনি বৈঠক করছিলেন। এ সময় তাকেসহ অন্যদের বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে। কিন্তু তিনি নত হননি। সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেতা হিসেবে জনগণ তাকে মেনে নেয়। সে সময়ের সংবাদপত্রে দেখা যাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৫ দলের সভা-সমাবেশে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সাত দলের চেয়ে অনেক বেশি লোকসমাগম হতো। হরতাল পালনে রাজপথে থাকত প্রধান ভূমিকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীরা। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে সচিবালয়ের কাছে মিছিলে নেতৃত্ব প্রদানের সময় গ্রেফতার করা হয়। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হন পূর্বানী হোটেল থেকে। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে যাবার সময় শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গাড়িবহরে পুলিশ-বিডিআর নির্বিচারে গুলি চালায়। কর্মী-সমর্থকরা তাকে প্রাণে বাঁচায়, কিন্তু তাদের অন্তত ২০ জন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি আইন জারির পর শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয় ১৬ জুলাই। দল ভাঙার জন্য নানা চক্রান্ত হয়েছে এ সময়। কিন্তু এবারেও সময়টি তিনি কাটিয়েছেন রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যৎ সরকারের কর্মসূচি প্রণয়নের কাজে। উন্নত বিশ্বের সারিতে বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার রূপকল্প ২০৪১ এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশকে পরিণত করার কর্মসূচি ‘ভিশন ২০২১’ নিয়ে তিনি কাজ করেন। আজ যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবে রূপ নিয়েছে, তার খসড়াও এ সময় রচিত। বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, খাদ্যের ভা-ারে পরিণত করতে হবে বাংলাদেশকে, তথ্য-প্রযুক্তি সবার জন্য বিশেষ করে তরুণ সমাজের জন্য সহজলভ্য করতে হবে, বিশ্বের বুকে গর্বিত বাংলাদেশ নিজের যোগ্য স্থান করে নেবে-কত স্বপ্ন সামনে। একইসঙ্গে তিনি লেখনী চালিয়ে গেছেন এবং প্রকাশের জন্য তৈরি করেছেন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা গণচীনের মতো কালজয়ী গ্রন্থ।
জরুরি আইন জারির কারণ হিসেবে অভ্যন্তরীণ গোলযোগে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘিœত ও অর্থনৈতিক কর্মকা- বিপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সবার জানা ছিল, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হওয়ার যে নীলনকশা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান চূড়ান্ত করেছিলেন, সেটা ব্যর্থ করে দিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা প্রবল গণআন্দোলনের মুখেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়, নিষিদ্ধ হয় সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকা-। ‘দলনিরপেক্ষ সরকার’ অচিরেই বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করে। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়তে থাকা সেনাবাহিনী প্রধান মঈন উ আহমদের পৃষ্ঠপোষকতায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ১৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দেন-‘নাগরিক শক্তি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল তিনি গঠন করবেন। (বার্তা সংস্থা রয়টার্স, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭)
শেখ হাসিনা বন্দিজীবনে কী করেছেন, তার বিবরণ পাই কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থের ভূমিকায়। তিনি লিখেছেন, ‘২০০৮ সাল পর্যন্ত বন্দি ছিলাম। আমি বন্দি থাকা অবস্থায় প্রফেসর ড. হারুণ মৃত্যুবরণ করেন। এ খবর পেয়ে আমি খুব দুঃখ পাই এবং চিন্তায় পড়ে যাই কীভাবে আব্বার বইগুলো শেষ করব। জেলখানায় বসেই আমি অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ভূমিকাটা লিখে রাখি। ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়ে (১১ জুন) আবার আমরা বই প্রকাশের কাজে মনোনিবেশ করি। (পৃষ্ঠা ১১)
ব্রিটেশ শাসনামলে বন্দিজীবনে জওহরলাল নেহরু লিখেছেন ‘ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া’। নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার কারাগারে বসে লিখেছেন ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’ এবং ‘দি অটোবায়োগ্রাফি’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের ফ্যাসিস্ট কারাগারে বসে চেক সাংবাদিক জুলিয়াস ফুচিক লিখেছেন ‘ফাঁসির মঞ্চ থেকে’। বন্দিজীবন নিয়ে অনেক লেখা মর্মস্পর্শী, আমাদের কাঁদায়। একইসঙ্গে তা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, অনুপ্রেরণার উৎস হয়। রাজনৈতিক নেতারা ভবিষ্যতে কোন পথে অগ্রসর হবেন, কী করবেন এবং কী পরিহার করবেন-কত ভাবনা, কত সংকল্প তাদের। শেখ হাসিনা মুক্তজীবনে ফিরেছিলেন উন্নত বিশ্বের সারিতে বাংলাদেশকে পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প নিয়ে। তিনি জানেন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যে স্বপ্ন দেখা, সেটা প্রকৃত স্বপ্ন নয়-বরং যে স্বপ্ন আপনাকে ঘুমাতে দেয় না, সতত প্রেরণা জোগায় মহৎ কাজে ব্রতী থাকার, সেটাই প্রকৃত স্বপ্ন।
যেকোনো রাজনৈতিক নেতা রাজরোষে পড়ে বন্দি হতে পারেন। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্যও আপনার দ- হতে পারে। দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি আপনাকে বিপথগামী করতে পারে। কিন্তু যদি আপনি দেশকে ভালবাসেন, জনগণের মঙ্গল চিন্তায় নিজেকে মগ্ন রাখেন-কখনও হাল ছাড়বেন না। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবেন না। এমনকি কঠিন পরিস্থিতিতেও মুষড়ে পড়বেন না। কাজ আপনি খুঁজে পাবেনই এবং তা অবশ্যই হবে সৃজনশীল। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে আমরা এ শিক্ষা পাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও একই নজির রাখছেন। কিন্তু সবাই কি সেটা পারছে? বিএনপি নেতারা বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন। খালেদা জিয়া বন্দিজীবনে থেকে ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়তে পারেন। যদি ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশ আপনাদের হৃদয়ে থাকে, কখনও এ দেশের অমঙ্গল চাইবেন না। বরং যে পরিবেশেই থাকুন, দেশ ও দশের কল্যাণে কিছু না কিছু করার চেষ্টা করুন-তাতে স্বস্তি মিলবে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
বন্দিজীবনেই চূড়ান্ত হয় সৃমদ্ধির রূপরেখা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ


























