অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ‘আমাদের শেয়ারবাজার ইক্যুইটি-বেইজড। এখানে বন্ড মার্কেট নেই। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। বর্তমান চেয়ারম্যান ও কমিশনারও এ বিষয়ে আন্তরিক। আশা করা যায়, বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় হলে শেয়ারবাজার চাঙ্গা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পুঁজিবাজার নিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই বললেই চলে। এখানে যে লেনদেন হয় তার ৮০ শতাংশ আসে রিটেইল বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। বাকি ২০ শতাংশ আসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। কিন্তু উন্নত বিশ্বের শেয়ারবাজারের চিত্র পুরো উল্টো। সালমান এফ রহমান ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ঋণ খেলাপি, করোনা টিকা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, ব্লু-ইকোনমিসহ নানা বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার চাই না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছে। এটির প্রয়োজনও আছে। তবে এর অপব্যবহার হোক এটা আমরা চাই না।
ঋণ খেলাপি সব দেশেই আছে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের ব্যাংক সেক্টরে ঋণ খেলাপি আছে। সমস্যা হলো- আমরা শর্ট টার্ম ডিপোজিট ব্যবহার করে লং টার্ম লোন দিচ্ছি। এটা মিস-ম্যাচ। এই মিস-ম্যাচের কারণেও সমস্যা হচ্ছে না। কারণ আমাদের অর্থনীতি গ্রো করছে। তিনি বলেন, ঋণ খেলাপি বেসরকারি ব্যাংকে কম। সরকারিতে আছে কিছু। এটা সব দেশেই আছে। প্রভিশনিং ও ক্যাপিটাল থাকলে সমস্যা না। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ক্যাপিটাল ছোট এমন অনেক ব্যাংক আছে। যার কারণে ভবিষ্যতে আমাদের এই ব্যাংকগুলোকে মার্জ করতে হবে। এগুলোর মার্জ করে বড় ক্যাপিটালের ব্যাংক করতে হবে।
শিগগিরই টিকা উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলাদেশ জানিয়ে সালমান ফজলুর রহমান বলেন, ইনসেপ্টা চায়নার একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে। তাদের সঙ্গে টার্মস ও কন্ডিশন চূড়ান্ত হলে ইনসেপ্টা উৎপাদন শুরু করতে পারবে। বেক্সিমকোও টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করেছে। আশা করছি, আগামী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে আমরা টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শেষ করতে পারবো। তিনি বলেন, আগামী মাস থেকে ভারত থেকে টিকা আসা শুরু হবে এবং আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে সব টিকা চলে আসবে। ক্রেস্ট-ফুলের টাকা চ্যারিটিতে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অতিথি হিসেবে ক্রেস্ট ও ফুল না দিয়ে একটি সার্টিফিকেট বাঁধাই করে দিন। তিনি বলেন, আমি প্রচলনটা শুরু করেছি। বিজিএমইএ’র নতুন নেতাদের বলেছি। আপনাদেরও বলছি। আমাকে অতিথি হিসেবে যে ফুল ও ক্রেস্ট দিচ্ছেন, সেটি না দিয়ে এই টাকাটা একটা চ্যারিটি ফান্ডে দিন। সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে ন্যাশনাল হেলথ ইনস্যুরেন্স আছে, ওটা দেশে বাস্তবায়ন করা যায় কি না এ নিয়ে কাজ হচ্ছে। এটা একটু কঠিন। কারণ আমরা তো সবাই ট্যাক্স দেই না। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় এটি বাস্তবায়নে কাজ করছি। মিট দ্য রিপোর্টার্সে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
‘বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় হলে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হবে’
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ