ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২৬২ কোটি টাকা সংগ্রহ প্রাণ এগ্রোর

  • আপডেট সময় : ১২:০২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৬৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাণ এগ্রো লিমিটেড ২৬২ কোটি টাকার অনশোর বন্ডে লেনদেন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আট বছর মেয়াদি এ বন্ডের মাধ্যমে পাওয়া অর্থ কোম্পানির অবকাঠামো সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। এ বন্ডে পুরো বিনিয়োগ করেছে মেটলাইফ বাংলাদেশ। বন্ডটির আংশিক জামানতকারী হিসেবে রয়েছে গ্যারান্টকো। তবে এই প্রথম দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে লেনদেনে সুনামের কারণে বন্ডের কিছু অংশে কোনো গ্যারান্টি ছাড়াই অর্থায়ন পেতে সক্ষম হয়েছে প্রাণ এগ্রো। বন্ডের অর্থ প্রাণ এগ্রোর কারখানায় প্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ ও নুডলস, কনফেকশনারি, কালিনারি, কুকিং অয়েল এবং বেকারি পণ্য তৈরিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ব্যবহার করা হবে। বর্তমানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে এক লাখ তালিকাভুক্ত চুক্তিভিত্তিক কৃষক রয়েছে এবং গ্রুপের অধীনে ১ লাখ ৪৫ হাজার লোক কাজ করছে। নতুন এ অর্থায়নের ফলে আরও ২৪০ চুক্তিভিত্তিক খামারি উপকৃত হবে। এছাড়া এ অর্থায়নের ফলে কারখানা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় ৫০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু’তে বন্ড ক্লোজিং উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, যুক্তরাজ্য সরকারের ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ড. ডানকান ওভারভিল্ড, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, মেটলাইফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এলিনা বোটারোভা ও গ্যারান্টকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব এশিয়া নিশান্ত কুমার বন্ডের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। বন্ড সম্পর্কে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন দেশে প্রাণ এর উৎপাদিত কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ অর্থায়নের ফলে চাহিদাকৃত পণ্যের জোগান দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ফলে প্রাণ এর রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। মেটলাইফ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে মেটলাইফের মোট বিনিয়োগ ১৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। আমরা এমন বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজি, যা গ্রাহকদের সেবা দিতে আমাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা জোরদার করে এবং একই সঙ্গে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে আরও সফল হতে সহায়তা করার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এই নতুন প্রাণ এগ্রো বন্ডে বিনিয়োগ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। গ্যারান্টকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেইথ আল ফালাকি বলেন, প্রাণ এগ্রোর সঙ্গে দ্বিতীয় লেনদেনটি সম্পন্ন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, যা বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর আগেও প্রাণ এগ্রোর ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে ২.১ বিলিয়ন ডলার বন্ডে জামানতকারী হয়েছে গ্যারান্টকো, যা ছিল বাংলাদেশে প্রথম করপোরেট বন্ডগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনগণের সুবিধার্থে পুঁজিবাজারের বিকাশে এ ধরনের বন্ডের প্রভাব রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি প্রাণ এগ্রোর সঙ্গে গ্যারান্টকো ও মেটলাইফ এর দ্বিতীয় লেনদেন। এর আগে ২০২১ সালে প্রাণ এগ্রো প্রথম অনশোর বন্ড ইস্যু করে অর্থ সংগ্রহ করে, যার শতভাগ জামানতকারী ছিল গ্যারান্টকো এবং বিনিয়োগকারী ছিল মেটলাইফ। বন্ডটি ছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের উদ্যোগে নবগঠিত অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত প্রথম বন্ড। নতুন লেনদেনটির ফলে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডের মাধ্যমে সেকেন্ডারি মার্কেটে করপোরেট বন্ডের লেনদেনের কার্যকারিতা আরও স্পষ্ট করেছে। এছাড়া এ ধরনের বন্ড দেশের করপোরেট বন্ডের বাজারে অর্থবহ প্রভাব রাখতে সক্ষম হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২৬২ কোটি টাকা সংগ্রহ প্রাণ এগ্রোর

আপডেট সময় : ১২:০২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাণ এগ্রো লিমিটেড ২৬২ কোটি টাকার অনশোর বন্ডে লেনদেন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আট বছর মেয়াদি এ বন্ডের মাধ্যমে পাওয়া অর্থ কোম্পানির অবকাঠামো সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। এ বন্ডে পুরো বিনিয়োগ করেছে মেটলাইফ বাংলাদেশ। বন্ডটির আংশিক জামানতকারী হিসেবে রয়েছে গ্যারান্টকো। তবে এই প্রথম দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে লেনদেনে সুনামের কারণে বন্ডের কিছু অংশে কোনো গ্যারান্টি ছাড়াই অর্থায়ন পেতে সক্ষম হয়েছে প্রাণ এগ্রো। বন্ডের অর্থ প্রাণ এগ্রোর কারখানায় প্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ ও নুডলস, কনফেকশনারি, কালিনারি, কুকিং অয়েল এবং বেকারি পণ্য তৈরিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ব্যবহার করা হবে। বর্তমানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে এক লাখ তালিকাভুক্ত চুক্তিভিত্তিক কৃষক রয়েছে এবং গ্রুপের অধীনে ১ লাখ ৪৫ হাজার লোক কাজ করছে। নতুন এ অর্থায়নের ফলে আরও ২৪০ চুক্তিভিত্তিক খামারি উপকৃত হবে। এছাড়া এ অর্থায়নের ফলে কারখানা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় ৫০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু’তে বন্ড ক্লোজিং উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, যুক্তরাজ্য সরকারের ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ড. ডানকান ওভারভিল্ড, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, মেটলাইফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এলিনা বোটারোভা ও গ্যারান্টকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব এশিয়া নিশান্ত কুমার বন্ডের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। বন্ড সম্পর্কে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন দেশে প্রাণ এর উৎপাদিত কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ অর্থায়নের ফলে চাহিদাকৃত পণ্যের জোগান দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ফলে প্রাণ এর রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। মেটলাইফ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে মেটলাইফের মোট বিনিয়োগ ১৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। আমরা এমন বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজি, যা গ্রাহকদের সেবা দিতে আমাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা জোরদার করে এবং একই সঙ্গে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে আরও সফল হতে সহায়তা করার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এই নতুন প্রাণ এগ্রো বন্ডে বিনিয়োগ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। গ্যারান্টকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেইথ আল ফালাকি বলেন, প্রাণ এগ্রোর সঙ্গে দ্বিতীয় লেনদেনটি সম্পন্ন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, যা বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর আগেও প্রাণ এগ্রোর ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে ২.১ বিলিয়ন ডলার বন্ডে জামানতকারী হয়েছে গ্যারান্টকো, যা ছিল বাংলাদেশে প্রথম করপোরেট বন্ডগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনগণের সুবিধার্থে পুঁজিবাজারের বিকাশে এ ধরনের বন্ডের প্রভাব রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি প্রাণ এগ্রোর সঙ্গে গ্যারান্টকো ও মেটলাইফ এর দ্বিতীয় লেনদেন। এর আগে ২০২১ সালে প্রাণ এগ্রো প্রথম অনশোর বন্ড ইস্যু করে অর্থ সংগ্রহ করে, যার শতভাগ জামানতকারী ছিল গ্যারান্টকো এবং বিনিয়োগকারী ছিল মেটলাইফ। বন্ডটি ছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের উদ্যোগে নবগঠিত অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত প্রথম বন্ড। নতুন লেনদেনটির ফলে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডের মাধ্যমে সেকেন্ডারি মার্কেটে করপোরেট বন্ডের লেনদেনের কার্যকারিতা আরও স্পষ্ট করেছে। এছাড়া এ ধরনের বন্ড দেশের করপোরেট বন্ডের বাজারে অর্থবহ প্রভাব রাখতে সক্ষম হবে।