ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বনানী থানা থেকে সরানো হলো ভারতে আটক সোহেল রানাকে

  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে সরিয়ে নতুন কর্মকর্তাকে পদায়ন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সোহেল রানার স্থানে নতুন কর্মকর্তা হিসেবে উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর গাজীকে বদলি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ডিএমপির ২১ পরিদর্শক (পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। তাদের মধ্যে সোহেল রানাকে সরিয়ে উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর গাজীকে একই পদে বনানী থানায় বদলি করা হয়। এ আদেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও আদেশে জানানো হয়।
এদিকে বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানার দেশত্যাগে কারও গাফিলতি আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিদর্শক সোহেল রানা কীভাবে দেশত্যাগ করলো, তার দেশত্যাগে কারও গাফিলতি ছিল কি-না সেসব বিষয়ে আজ সকালে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিদর্শক সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইজিপি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তি রয়েছে। তাই সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনায় সমস্যা হবে না। যেহেতু সোহেল ভারতে একটি মামলার আসামি সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে। প্রক্রিয়া দেখে এটি স্পষ্ট যে সে অবৈধভাবে দেশত্যাগ করেছে।
সোহেল রানাকে শিগগিরই ফেরানোর আশা কম: পুলিশ কমিশনার : ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের ‘পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে মামলার আসামি হওয়ার পর পালিয়ে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
তবে ভারতে তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পাসপোর্ট আইনে মামলা হওয়ায় ফিরিয়ে আনার বিষয়টি কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে বলে মনে করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট ঢাকার হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। সেখানে আসামির তালিকায় সোহেল রানার নাও ছিল।
আদালত তখন গুলশান থানাকে মামলাটি ‘এফআইআর’ হিসাবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। ২ অক্টোবর থানা ওই আবেদনকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে। এরপর শনিবার পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানার ভারত-নেপাল সীমান্তে বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার খবর আসে সে দেশের সংবাদমাধ্যমে। পরে ভারতের পুলিশও তা নিশ্চিত করে।
সোহেল রানাকে এখন দেশে ফিরিয়ে আনার ‘চেষ্টা চলছে’ জানিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল বলেন, “২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে, মানে শুক্রবার প্রথম প্রহরে মামলা নথিভুক্ত করার পর সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের কোনো সুযোগ আমরা পাইনি।
“থানায় নথিভুক্ত হওয়ার আগেই আদালতে আবেদনের খবর কোনোভাবে তার কাছে যায়। এরপর সে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
বিজিবির মাধ্যমে বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করার কথা জানিয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, “তারা (বিএসএফ) বলেছে যে চেষ্টা করে দেখবে। বিজিবি থেকে যদি ফরমাল রিকোয়েস্ট পায়, তাহলে সেটা প্লেস করে দেখবে যদি সম্ভব হয়।”
তবে ভারতে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তাকে শিগগিরই দেশে ফেরানোর আশা ক্ষীণ হয়ে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ওই মামলার আসামিকেতো তারা বিচার না করে দেবে না। তারপরেও আমরা ট্রাই করে দেখব।”
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, “সে ওখানে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেছে। তবে এটা কোন বিষয় না। মাছ ধরতে অনেকেই সমুদ্রে ঝড়ে পড়ে এদেশে ঢুকে পড়ে, মানবিক কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এটা এরকম না। সে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছে। ভিসা ছাড়া ঢুকে গেছে, এটা যে অপরাধ সে জানে। ফলে অন্য কিছু করা সমস্যা হবে।”
এভাবে না হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কিছু করার চেষ্টা করা যেতে পারে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। ভারতে বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তার পরিদর্শক সোহেল রানাভারতে বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তার পরিদর্শক সোহেল রানাআরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুলশানের উপ কমিশনারকে বলা হয়েছে, যেন সোহেল রানার পলাতক থাকার বিষয় জানিয়ে প্রতিবেদন পাঠায়। সেই প্রতিবেদন পেলেই তাকে বরখাস্ত করা হবে।
সেটা রোববারই হয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ই অরেঞ্জ নিয়ে আগের মামলাগুলোতে যারা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদের বাইরে নতুন করে কাউকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ মামলার বাদী ইসতিয়াক হোসেন টিটু অভিযোগ করেছেন, ই-অরেঞ্জের মালিক, কর্মচারীরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ ও বিক্রির নামে নগদ, বিকাশ, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় অর্থ নিলেও পণ্য না দিয়ে তার ৭৬ লাখ ৪১ হাজার ১০২ টাকা আত্মসাত করেছেন। ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলার প্রধান আসামি সোনিয়া, তার স্বামী মাসুকুর এবং সিওও আমানউল্লাহ ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। পরিদর্শক সোহেল রানা ওই কোম্পানির মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের ভাই। অভিযোগ আছে, ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটিতে কাগজে কলমে কোনো মালিকানা বা শেয়ার না থাকলেও শেখ সোহেল রানাই সেটা চালাতেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বনানী থানা থেকে সরানো হলো ভারতে আটক সোহেল রানাকে

আপডেট সময় : ০১:১৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে সরিয়ে নতুন কর্মকর্তাকে পদায়ন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সোহেল রানার স্থানে নতুন কর্মকর্তা হিসেবে উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর গাজীকে বদলি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ডিএমপির ২১ পরিদর্শক (পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। তাদের মধ্যে সোহেল রানাকে সরিয়ে উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর গাজীকে একই পদে বনানী থানায় বদলি করা হয়। এ আদেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও আদেশে জানানো হয়।
এদিকে বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানার দেশত্যাগে কারও গাফিলতি আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিদর্শক সোহেল রানা কীভাবে দেশত্যাগ করলো, তার দেশত্যাগে কারও গাফিলতি ছিল কি-না সেসব বিষয়ে আজ সকালে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিদর্শক সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইজিপি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তি রয়েছে। তাই সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনায় সমস্যা হবে না। যেহেতু সোহেল ভারতে একটি মামলার আসামি সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে। প্রক্রিয়া দেখে এটি স্পষ্ট যে সে অবৈধভাবে দেশত্যাগ করেছে।
সোহেল রানাকে শিগগিরই ফেরানোর আশা কম: পুলিশ কমিশনার : ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের ‘পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে মামলার আসামি হওয়ার পর পালিয়ে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
তবে ভারতে তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পাসপোর্ট আইনে মামলা হওয়ায় ফিরিয়ে আনার বিষয়টি কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে বলে মনে করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট ঢাকার হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। সেখানে আসামির তালিকায় সোহেল রানার নাও ছিল।
আদালত তখন গুলশান থানাকে মামলাটি ‘এফআইআর’ হিসাবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। ২ অক্টোবর থানা ওই আবেদনকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে। এরপর শনিবার পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানার ভারত-নেপাল সীমান্তে বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার খবর আসে সে দেশের সংবাদমাধ্যমে। পরে ভারতের পুলিশও তা নিশ্চিত করে।
সোহেল রানাকে এখন দেশে ফিরিয়ে আনার ‘চেষ্টা চলছে’ জানিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল বলেন, “২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে, মানে শুক্রবার প্রথম প্রহরে মামলা নথিভুক্ত করার পর সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের কোনো সুযোগ আমরা পাইনি।
“থানায় নথিভুক্ত হওয়ার আগেই আদালতে আবেদনের খবর কোনোভাবে তার কাছে যায়। এরপর সে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
বিজিবির মাধ্যমে বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করার কথা জানিয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, “তারা (বিএসএফ) বলেছে যে চেষ্টা করে দেখবে। বিজিবি থেকে যদি ফরমাল রিকোয়েস্ট পায়, তাহলে সেটা প্লেস করে দেখবে যদি সম্ভব হয়।”
তবে ভারতে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তাকে শিগগিরই দেশে ফেরানোর আশা ক্ষীণ হয়ে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ওই মামলার আসামিকেতো তারা বিচার না করে দেবে না। তারপরেও আমরা ট্রাই করে দেখব।”
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, “সে ওখানে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেছে। তবে এটা কোন বিষয় না। মাছ ধরতে অনেকেই সমুদ্রে ঝড়ে পড়ে এদেশে ঢুকে পড়ে, মানবিক কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এটা এরকম না। সে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছে। ভিসা ছাড়া ঢুকে গেছে, এটা যে অপরাধ সে জানে। ফলে অন্য কিছু করা সমস্যা হবে।”
এভাবে না হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কিছু করার চেষ্টা করা যেতে পারে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। ভারতে বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তার পরিদর্শক সোহেল রানাভারতে বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তার পরিদর্শক সোহেল রানাআরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুলশানের উপ কমিশনারকে বলা হয়েছে, যেন সোহেল রানার পলাতক থাকার বিষয় জানিয়ে প্রতিবেদন পাঠায়। সেই প্রতিবেদন পেলেই তাকে বরখাস্ত করা হবে।
সেটা রোববারই হয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ই অরেঞ্জ নিয়ে আগের মামলাগুলোতে যারা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদের বাইরে নতুন করে কাউকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ মামলার বাদী ইসতিয়াক হোসেন টিটু অভিযোগ করেছেন, ই-অরেঞ্জের মালিক, কর্মচারীরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ ও বিক্রির নামে নগদ, বিকাশ, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় অর্থ নিলেও পণ্য না দিয়ে তার ৭৬ লাখ ৪১ হাজার ১০২ টাকা আত্মসাত করেছেন। ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলার প্রধান আসামি সোনিয়া, তার স্বামী মাসুকুর এবং সিওও আমানউল্লাহ ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। পরিদর্শক সোহেল রানা ওই কোম্পানির মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের ভাই। অভিযোগ আছে, ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটিতে কাগজে কলমে কোনো মালিকানা বা শেয়ার না থাকলেও শেখ সোহেল রানাই সেটা চালাতেন।