ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

বনানীতে অগ্নিকাণ্ড ভবন কর্তৃপক্ষের গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা

  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বনানীর অগ্নিকা-ে ‘এমিকন’ নামের প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকলে এবং ভবন কর্তৃপক্ষের গাফিলতি খুঁজে পেলে তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।
গতকাল শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ওই ভবনের অগ্নিকা- সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক।
এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির ছয় তলা ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করে বিমান বাহিনী।
এই অগ্নিকা- সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বলেন, ‘আগুনের খবর পাওয়ার খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। ভবনটির দুই ও তিন তলায় আগুনে লাগার ঘটনা ঘটেছে। এখানে এমিকন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শোরুম ও কারখানা ছিল। যেখানে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল। ফলে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’
সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভবনের ভেতরে প্রচুর তাপ রয়েছে। সেই তাপটা আমরা বের করার চেষ্টা করছি। এখানে কোনো ধরনের হতাহতের খবর আমরা পাইনি। আমরা এখন ভেতরে সার্চ করছি।’
আগুন ভবনের কয়টি ফ্লোরে ছড়িয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভবনের দুই তলা ও তিন তলায় আগুন ছড়িয়েছিল।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চার ঘণ্টার মতো সময় কেন লেগেছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগুনটি মূলত একটি গোডাউনে লেগেছিল। গোডাউনে বিভিন্ন মালামাল থাকায় আগুন অনেকক্ষণ জ্বলেছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে অনেক আগেই এসেছে। তবে সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে আরও কিছু সময় লাগবে।’
প্রতিবারই আগুন লাগার পর ফায়ারের পক্ষ থেকে বলা হয় ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। তারপর ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ফায়ার সার্ভিসের দৃশ্যমান কার্যক্রম দেখা যায় না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ারের ডিজি বলেন, ‘ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সব সময় নেওয়া হয়। আগুন লাগার পর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয় যেন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ঘটনায়ও তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বনানীতে অগ্নিকাণ্ড ভবন কর্তৃপক্ষের গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: বনানীর অগ্নিকা-ে ‘এমিকন’ নামের প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকলে এবং ভবন কর্তৃপক্ষের গাফিলতি খুঁজে পেলে তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।
গতকাল শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ওই ভবনের অগ্নিকা- সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক।
এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির ছয় তলা ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করে বিমান বাহিনী।
এই অগ্নিকা- সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বলেন, ‘আগুনের খবর পাওয়ার খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। ভবনটির দুই ও তিন তলায় আগুনে লাগার ঘটনা ঘটেছে। এখানে এমিকন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শোরুম ও কারখানা ছিল। যেখানে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল। ফলে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’
সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভবনের ভেতরে প্রচুর তাপ রয়েছে। সেই তাপটা আমরা বের করার চেষ্টা করছি। এখানে কোনো ধরনের হতাহতের খবর আমরা পাইনি। আমরা এখন ভেতরে সার্চ করছি।’
আগুন ভবনের কয়টি ফ্লোরে ছড়িয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভবনের দুই তলা ও তিন তলায় আগুন ছড়িয়েছিল।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চার ঘণ্টার মতো সময় কেন লেগেছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগুনটি মূলত একটি গোডাউনে লেগেছিল। গোডাউনে বিভিন্ন মালামাল থাকায় আগুন অনেকক্ষণ জ্বলেছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে অনেক আগেই এসেছে। তবে সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে আরও কিছু সময় লাগবে।’
প্রতিবারই আগুন লাগার পর ফায়ারের পক্ষ থেকে বলা হয় ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। তারপর ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ফায়ার সার্ভিসের দৃশ্যমান কার্যক্রম দেখা যায় না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ারের ডিজি বলেন, ‘ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সব সময় নেওয়া হয়। আগুন লাগার পর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয় যেন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ঘটনায়ও তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’