ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

বনশ্রীর স্বর্ণ ডাকাতিতে গ্রেফতার দুইজনের একজন ছাত্রলীগ অপরজন শ্রমিকদলের নেতা

  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

ডিএমপির ডিবি সদস্যরা গ্রেফতার ৬ জনকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করেন

প্রত্যাশা ডেস্ক: রাজধানীর বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬ জনের মধ্যে দুই জনের বাড়ি পটুয়াখালীতে। এর মধ্যে আমিনুল ইসলাম বাউফল উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং সুমন মোল্লা শ্রমিক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক।

গত শনিবার (০৮ মার্চ) ডিএমপির ডিবি সদস্যরা এই ৬ জনকে গ্রেফতার করে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করার পর এলাকায় এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

গ্রেফতার ছয়জনের মধ্যে আমিনুল ইসলাম বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের নতুন ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার বাসিন্দা ইকবাল মৃধার ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য। এছাড়াও গ্রেফতার সুমন মোল্লা পাশের গ্রাম আয়নাবাজ কালাইয়ার বাসিন্দা শাহজাহান মোল্লার ছেলে। তিনি ৪নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র থেকে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল এর আগে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। একের পর এক ডাকাতির ঘটনার পর জেলা পুলিশের কয়েকটি টিমের যৌথ তদন্তে আন্তঃবিভাগ ডাকাল দল শনাক্ত হয়। অভিযান চালিয়ে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর আমিনুলসহ ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডাকাত দলকে আশ্রয় দেওয়াসহ অস্ত্রের জোগানদাতাও ছিলেন আমিনুল। একাধিক ডাকাতির নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে এ অভিযোগ স্বীকারও করেছিলেন আমিনুল।

স্থানীয় সূত্র থেকে আরো জানা যায়, দিনের আলোয় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে ব্যস্ত থাকতেন আমিনুল ইসলাম। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিচিত ও প্রভাবশালী নেতা তিনি। তার সঙ্গে সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ফিরোজ পুত্র রায়হান সাকিব, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ আওয়ামী নেতার একাধিক ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। পটুয়াখালী এবং ঢাকায় দুইবার গ্রেফতারের সময়ই ডাকাত আমিনুল গংদের থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বাউফল থানার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম জানান, আমিনুল পেশাদার ডাকাত এবং তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

এদিকে গ্রেফতার কালাইয়া ৪নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক সুমন মোল্লার বিষয় জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি জাহিদুর রহমান খান বাবু বলেন, এরইমধ্যে ইউনিয়ন শ্রমিক দল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে দলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধর্ষণের বিরুদ্ধে ফুঁসছে দেশ

বনশ্রীর স্বর্ণ ডাকাতিতে গ্রেফতার দুইজনের একজন ছাত্রলীগ অপরজন শ্রমিকদলের নেতা

আপডেট সময় : ০৭:১৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: রাজধানীর বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬ জনের মধ্যে দুই জনের বাড়ি পটুয়াখালীতে। এর মধ্যে আমিনুল ইসলাম বাউফল উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং সুমন মোল্লা শ্রমিক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক।

গত শনিবার (০৮ মার্চ) ডিএমপির ডিবি সদস্যরা এই ৬ জনকে গ্রেফতার করে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করার পর এলাকায় এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

গ্রেফতার ছয়জনের মধ্যে আমিনুল ইসলাম বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের নতুন ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার বাসিন্দা ইকবাল মৃধার ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য। এছাড়াও গ্রেফতার সুমন মোল্লা পাশের গ্রাম আয়নাবাজ কালাইয়ার বাসিন্দা শাহজাহান মোল্লার ছেলে। তিনি ৪নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র থেকে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল এর আগে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। একের পর এক ডাকাতির ঘটনার পর জেলা পুলিশের কয়েকটি টিমের যৌথ তদন্তে আন্তঃবিভাগ ডাকাল দল শনাক্ত হয়। অভিযান চালিয়ে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর আমিনুলসহ ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডাকাত দলকে আশ্রয় দেওয়াসহ অস্ত্রের জোগানদাতাও ছিলেন আমিনুল। একাধিক ডাকাতির নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে এ অভিযোগ স্বীকারও করেছিলেন আমিনুল।

স্থানীয় সূত্র থেকে আরো জানা যায়, দিনের আলোয় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে ব্যস্ত থাকতেন আমিনুল ইসলাম। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিচিত ও প্রভাবশালী নেতা তিনি। তার সঙ্গে সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ফিরোজ পুত্র রায়হান সাকিব, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ আওয়ামী নেতার একাধিক ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। পটুয়াখালী এবং ঢাকায় দুইবার গ্রেফতারের সময়ই ডাকাত আমিনুল গংদের থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বাউফল থানার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম জানান, আমিনুল পেশাদার ডাকাত এবং তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

এদিকে গ্রেফতার কালাইয়া ৪নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক সুমন মোল্লার বিষয় জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি জাহিদুর রহমান খান বাবু বলেন, এরইমধ্যে ইউনিয়ন শ্রমিক দল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে দলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।