ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

বদলে যাচ্ছে ইউজিসির নাম

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তরে প্রমোশন, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশাল একটা ঘুষ ও কমিশন বাণিজ্য হয়। এ সেক্টরে যত ধরনের দুর্নীতি হয়, সেই জায়গাটা আমরা চিহ্নিত করেছি। এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। শিক্ষায় যত ধরনের দুর্নীতি আছে সেটা ধরতে বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছিল। এখানে মঞ্জুরি শব্দটা বাদ দিয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ হবে। কারণ বাংলাদেশে অনেকগুলো পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যাতে আরও বৃহৎ আকারে কাজ করতে পারে। সর্বোচ্চ শিক্ষার মান যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সেই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন করবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রেস সচিব। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
ইউজিসির নাম পরিবর্তন অধ্যাদেশ জারি করে হবে নাকি অন্য কোনো পদ্ধতিতে হবে– জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। তবে এতটুকু বলতে পারি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনারা এটার আপডেট দেখতে পাবেন। তিনি বলেন, শিক্ষক প্রশিক্ষণকে অনেক বড় বিষয় হিসেবে দেখা হয় বাইরে (বিভিন্ন দেশে)। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে শিক্ষকদেরও মানোন্নয়ন করতে হয়। কিন্তু দেখা যায় সরকারি শিক্ষকরা যতটুকু প্রশিক্ষণের সুযোগ পান, বেসরকারি শিক্ষকরা সেটা পান না। সেটা নিয়ে সরকারের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে আইসিটি বিষয়টি সেভাবে যুগোপযোগী হয়নি। বিশ্বব্যাপী আইসিটি বিষয়টি যে পর্যায়ে চলে গেছে সে অনুযায়ী আপডেট হয়নি। এটাকে সেভাবে আপডেট করা না গেলে টেকনিক্যাল বিষয়ে আমরা সেভাবে কোয়ালিটি সম্পন্ন ছেলে-মেয়ে পাব না। এ জায়গায় কাজ হচ্ছে। বাংলাদেশের টেকনিক্যাল শিক্ষাকে একেবারে আপ-টু-ডেট করার পরিকল্পনা আছে। এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমার কথা হলো আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারব। আমার সময় তো আনলিমিটেড না। আমি একটা কাজ হাতে নিলাম কিন্তু করতে পারলাম না। সেটা ঠিক না। সেক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটা জিনিস দেখছি। আমরা কতটুকু করতে পারব সে অনুযায়ী কাজ করছি। যে জায়গাগুলোতে মানসম্মত পরিবর্তন আসবে সেই জায়গাগুলোতে আমরা বেশি ফোকাস করছি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বদলে যাচ্ছে ইউজিসির নাম

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তরে প্রমোশন, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশাল একটা ঘুষ ও কমিশন বাণিজ্য হয়। এ সেক্টরে যত ধরনের দুর্নীতি হয়, সেই জায়গাটা আমরা চিহ্নিত করেছি। এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। শিক্ষায় যত ধরনের দুর্নীতি আছে সেটা ধরতে বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছিল। এখানে মঞ্জুরি শব্দটা বাদ দিয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ হবে। কারণ বাংলাদেশে অনেকগুলো পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যাতে আরও বৃহৎ আকারে কাজ করতে পারে। সর্বোচ্চ শিক্ষার মান যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সেই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন করবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রেস সচিব। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
ইউজিসির নাম পরিবর্তন অধ্যাদেশ জারি করে হবে নাকি অন্য কোনো পদ্ধতিতে হবে– জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। তবে এতটুকু বলতে পারি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনারা এটার আপডেট দেখতে পাবেন। তিনি বলেন, শিক্ষক প্রশিক্ষণকে অনেক বড় বিষয় হিসেবে দেখা হয় বাইরে (বিভিন্ন দেশে)। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে শিক্ষকদেরও মানোন্নয়ন করতে হয়। কিন্তু দেখা যায় সরকারি শিক্ষকরা যতটুকু প্রশিক্ষণের সুযোগ পান, বেসরকারি শিক্ষকরা সেটা পান না। সেটা নিয়ে সরকারের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে আইসিটি বিষয়টি সেভাবে যুগোপযোগী হয়নি। বিশ্বব্যাপী আইসিটি বিষয়টি যে পর্যায়ে চলে গেছে সে অনুযায়ী আপডেট হয়নি। এটাকে সেভাবে আপডেট করা না গেলে টেকনিক্যাল বিষয়ে আমরা সেভাবে কোয়ালিটি সম্পন্ন ছেলে-মেয়ে পাব না। এ জায়গায় কাজ হচ্ছে। বাংলাদেশের টেকনিক্যাল শিক্ষাকে একেবারে আপ-টু-ডেট করার পরিকল্পনা আছে। এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমার কথা হলো আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারব। আমার সময় তো আনলিমিটেড না। আমি একটা কাজ হাতে নিলাম কিন্তু করতে পারলাম না। সেটা ঠিক না। সেক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটা জিনিস দেখছি। আমরা কতটুকু করতে পারব সে অনুযায়ী কাজ করছি। যে জায়গাগুলোতে মানসম্মত পরিবর্তন আসবে সেই জায়গাগুলোতে আমরা বেশি ফোকাস করছি।