ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বললেন

বড় বিচ্যুতি না থাকলে ব্যবসায়ীদের জব্দ হিসাব খুলে দেওয়া যায়

  • আপডেট সময় : ০৮:১৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সঙ্গে অতিথিরা -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ রাখা ঠিক নয়। কোনো বড় ধরনের বিচ্যুতি না থাকলে জব্দ হিসাবগুলো খুলে দেওয়া যায়। তা না হলে সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য, দারিদ্র্য ও কর্মসংস্থানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়বে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংক একীভূতকরণ’ বিষয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফাহমিদা এসব কথা বলেন।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অর্থনীতি ও রাজনীতি পাশাপাশি চলে। তারা একে অপরের পরিপূরক। দুর্বল শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনীতি চলতে পারে না। সঠিক রাজনীতি ছাড়া সঠিক অর্থনীতি হয় না। স্বল্প মেয়াদি সরকার দীর্ঘায়িত হওয়া অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। এতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হয়। তাই আর্থিক খাতের শৃঙ্খলার জন্য দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার দরকার।

গত এক বছরে অর্থনীতির কিছু সূচকের পতন ঠেকানো গেলেও সংকট কাটেনি এবং দারিদ্র্য কমছে না বলে জানান ফাহমিদা। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে বিগত সরকারের সময় সুশাসন ছিল না। প্রতিটি সূচকেই খুব খারাপ অবস্থা ছিল। অর্থনীতির আকারের চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক বেশি ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল; যা পৃথিবীর কোথাও নেই। বিগত সময়ে নিজেদের সম্পদকে বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যাংকগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার যে চেষ্টা চালাচ্ছে তার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কিছু কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক খাতের মাফিয়াদের অনৈতিক সুবিধা দিয়েছিলেন। তখন দেশে ছিল মাফিয়া অর্থনীতির শাসন। চোখের সামনে ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ভালো ব্যাংক লুণ্ঠিত হয়েছে।

কিরণ অভিযোগ করেন, আর্থিক খাতের মাফিয়ারা এসব ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা কেবল আত্মসাত করেনি, বিদেশেও পাচার করেছে। এর ফলে ব্যাংক গ্রাহকেরা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কে রয়েছেন। কখন তারা তাদের আমানতের টাকা ফেরত পাবেন তা এখনো অনিশ্চিত। অনেক আমানতকারী ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা চিকিৎসার খরচ মেটানোর জন্যও তুলতে পারছেন না।

ছায়া সংসদ বিতর্কে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকার বিতার্কিকেরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সিনিয়ার সাংবাদিক মাঈনুল আলম, প্রফেশনাল একাউন্টেন্ট আবুল বশির খান, সাংবাদিক মো. আলমগীর হোসেন ও সাংবাদিক রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।

সানা/কেএমএএ/আপ্র/২৭/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বললেন

বড় বিচ্যুতি না থাকলে ব্যবসায়ীদের জব্দ হিসাব খুলে দেওয়া যায়

আপডেট সময় : ০৮:১৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ রাখা ঠিক নয়। কোনো বড় ধরনের বিচ্যুতি না থাকলে জব্দ হিসাবগুলো খুলে দেওয়া যায়। তা না হলে সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য, দারিদ্র্য ও কর্মসংস্থানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়বে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংক একীভূতকরণ’ বিষয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফাহমিদা এসব কথা বলেন।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অর্থনীতি ও রাজনীতি পাশাপাশি চলে। তারা একে অপরের পরিপূরক। দুর্বল শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনীতি চলতে পারে না। সঠিক রাজনীতি ছাড়া সঠিক অর্থনীতি হয় না। স্বল্প মেয়াদি সরকার দীর্ঘায়িত হওয়া অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। এতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হয়। তাই আর্থিক খাতের শৃঙ্খলার জন্য দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার দরকার।

গত এক বছরে অর্থনীতির কিছু সূচকের পতন ঠেকানো গেলেও সংকট কাটেনি এবং দারিদ্র্য কমছে না বলে জানান ফাহমিদা। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে বিগত সরকারের সময় সুশাসন ছিল না। প্রতিটি সূচকেই খুব খারাপ অবস্থা ছিল। অর্থনীতির আকারের চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক বেশি ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল; যা পৃথিবীর কোথাও নেই। বিগত সময়ে নিজেদের সম্পদকে বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যাংকগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার যে চেষ্টা চালাচ্ছে তার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কিছু কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক খাতের মাফিয়াদের অনৈতিক সুবিধা দিয়েছিলেন। তখন দেশে ছিল মাফিয়া অর্থনীতির শাসন। চোখের সামনে ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ভালো ব্যাংক লুণ্ঠিত হয়েছে।

কিরণ অভিযোগ করেন, আর্থিক খাতের মাফিয়ারা এসব ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা কেবল আত্মসাত করেনি, বিদেশেও পাচার করেছে। এর ফলে ব্যাংক গ্রাহকেরা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কে রয়েছেন। কখন তারা তাদের আমানতের টাকা ফেরত পাবেন তা এখনো অনিশ্চিত। অনেক আমানতকারী ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা চিকিৎসার খরচ মেটানোর জন্যও তুলতে পারছেন না।

ছায়া সংসদ বিতর্কে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকার বিতার্কিকেরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সিনিয়ার সাংবাদিক মাঈনুল আলম, প্রফেশনাল একাউন্টেন্ট আবুল বশির খান, সাংবাদিক মো. আলমগীর হোসেন ও সাংবাদিক রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।

সানা/কেএমএএ/আপ্র/২৭/০৯/২০২৫