ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

বজ্রপাতে ময়মনসিংহে ৬ সিরাজগঞ্জে ২ জনের মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ময়মনসিংহ সদর, নান্দাইল ও ধোবাউড়া উপজেলায় বজ্রপাতে তিন শিশুসহ ছয়জন মারা গেছেন। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ময়মনসিংহে তিনটি পৃথক বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার দড়িকুষ্টিয়া বাল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক আবু বকর (৪০), জাহাঙ্গীর আলম (৩০), নান্দাইল উপজেলার কংকরহাটি গ্রামের শহীদুল্লাহর ছেলে সাঈদ মিয়া (১২), হাদিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১১), বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. শাওন (৮), ধোবাউড়া উপজেলার চরমুহিনী গ্রামের আবু সাঈদ (৩০)। কোতোয়ালি থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, দুপুরে ফসলের ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে বকর ও জাহাঙ্গীর মারা যান। একই সময় নান্দাইল উপজেলায় মারা যায় তিন শিশু – সাঈদ, স্বাধীন ও শাওন। নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, তিন শিশু কংকরহাটি গ্রামে বৃষ্টির সময় একসঙ্গে মাছ ধরছিল। বেলা ২টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতে তারা আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ধোবাউড়ার সাঈদও মাছ ধরার সময় মারা যান। ধোবাউড়া থানার ওসি টিপু সুলতান জানান, সাঈদ সকালে এলাকার গুগড়া বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মারা যান। পরিবার অভিযোগ না দেওয়ায় সবার লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সিরাজগঞ্জে নিহত ২ : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে; তাছাড়া জেলায় আরও বজ্রপাতে আহত হয়েছেন চারজন। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বর্নিরচর এলাকার দরবেশ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) ও সয়দাবাদ ইউনিয়নের জগতলা এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন (২৩)। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বৃষ্টির সময় এসব বজ্রপাত হয় বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ জানিয়েছে। কাওয়াকোলা ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া মুন্সী জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন শ্রমিক নির্মাণকাজের জন্য নৌকায় করে ইট নিয়ে কাওয়াকোলার চরে যাচ্ছিলেন। পথে প্রচ- বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বজ্রাঘাতে আহত হয়ে নৌকার ওপর থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। ঘণ্টা খানেক পর স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় আহত হন সাইফুল ও শামিম নামে দুই নির্মাণ শ্রমিক। তাছাড়া সদর উপজেলায় যমুনা নদীর ওপরে নির্মাণাধীন রেল সেতু এলাকায় বজ্রপাত হলে নাসির মারা যান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

বজ্রপাতে ময়মনসিংহে ৬ সিরাজগঞ্জে ২ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ময়মনসিংহ সদর, নান্দাইল ও ধোবাউড়া উপজেলায় বজ্রপাতে তিন শিশুসহ ছয়জন মারা গেছেন। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ময়মনসিংহে তিনটি পৃথক বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার দড়িকুষ্টিয়া বাল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক আবু বকর (৪০), জাহাঙ্গীর আলম (৩০), নান্দাইল উপজেলার কংকরহাটি গ্রামের শহীদুল্লাহর ছেলে সাঈদ মিয়া (১২), হাদিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১১), বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. শাওন (৮), ধোবাউড়া উপজেলার চরমুহিনী গ্রামের আবু সাঈদ (৩০)। কোতোয়ালি থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, দুপুরে ফসলের ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে বকর ও জাহাঙ্গীর মারা যান। একই সময় নান্দাইল উপজেলায় মারা যায় তিন শিশু – সাঈদ, স্বাধীন ও শাওন। নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, তিন শিশু কংকরহাটি গ্রামে বৃষ্টির সময় একসঙ্গে মাছ ধরছিল। বেলা ২টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতে তারা আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ধোবাউড়ার সাঈদও মাছ ধরার সময় মারা যান। ধোবাউড়া থানার ওসি টিপু সুলতান জানান, সাঈদ সকালে এলাকার গুগড়া বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মারা যান। পরিবার অভিযোগ না দেওয়ায় সবার লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সিরাজগঞ্জে নিহত ২ : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে; তাছাড়া জেলায় আরও বজ্রপাতে আহত হয়েছেন চারজন। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বর্নিরচর এলাকার দরবেশ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) ও সয়দাবাদ ইউনিয়নের জগতলা এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন (২৩)। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বৃষ্টির সময় এসব বজ্রপাত হয় বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ জানিয়েছে। কাওয়াকোলা ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া মুন্সী জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন শ্রমিক নির্মাণকাজের জন্য নৌকায় করে ইট নিয়ে কাওয়াকোলার চরে যাচ্ছিলেন। পথে প্রচ- বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বজ্রাঘাতে আহত হয়ে নৌকার ওপর থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। ঘণ্টা খানেক পর স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় আহত হন সাইফুল ও শামিম নামে দুই নির্মাণ শ্রমিক। তাছাড়া সদর উপজেলায় যমুনা নদীর ওপরে নির্মাণাধীন রেল সেতু এলাকায় বজ্রপাত হলে নাসির মারা যান।