ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

বজ্রপাতে ধ্বংস হচ্ছে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস

  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 82

বজ্রপাতের সময় সরু, আয়নিত ও বিদ্যুৎ পরিবাহী চ্যানেল তৈরির সময় বায়ুর তাপমাত্রা প্রায় ২৭ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় এবং চাপ প্রায় ১০-১০০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এই পুরো ঘটনাটি ঘটে এক সেকেন্ডের কয়েক হাজার ভাগের এক ভাগ সময়ে। এই পরিবর্তন আশপাশের বাতাসকে প্রচন্ড গতিতে বিস্ফোরণের মতো সম্প্রসারিত করে। ফলে বজ্রপাতের সময় প্রবল শব্দ উৎপন্ন হয়।
বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা; যা দুটি বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত অঞ্চলের মধ্যে বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক নিঃসরণ দ্বারা গঠিত হয়। বজ্রপাতের ফলে এক বিশাল পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন হয়। মেঘ থেকে ভূমিতে হওয়া একটি সাধারণ বজ্রপাতে প্রায় এক বিলিয়ন জুল শক্তি উৎপন্ন হয়। একটি সাধারণ বজ্রপাতের ফ্ল্যাশ প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ভোল্ট এবং প্রায় ৩০ হাজার এম্পিয়ার এর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। সাধারণ বাসাবাড়িতে যেখানে ২২০ ভোল্টের বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বজ্রপাত মূলত নির্ভর করে কোনো একটি দেশ বা অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর। বজ্রপাতের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে ঝড়-বৃষ্টির সময় এর সম্ভাবনা থাকে শতভাগ।
নানা কারণে এই সময়ে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। বজ্রপাতের হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন হওয়া, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিভিন্ন কারণে বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে বজ্রপাত। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে সম্প্রতি বজ্রপাত বেশি হচ্ছে। বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শোনা যায় তাহলে বুঝতে হবে সেটি আমাদের কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে এবং সেটির দ্বারা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর যদি বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা আমরা শুনতে পাই তাহলে বুঝতে হবে সেটি আমাদের থেকে দূরে রয়েছে এবং এটার দ্বারা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। সে সময় যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ অবস্থানে চলে যাওয়াই উত্তম।
বজ্রাঘাতে মানুষে এবং পশু-পাখির প্রাণহানির পাশাপাশি নষ্ট হয় অনেক ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির। সচেতন না হওয়ায় বজ্রাঘাতের ফলে এই ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বজ্রপাতের সময় বাড়ির ভেতর অথবা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করলে বজ্রাঘাতে জীবন যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে বজ্রপাত যদি সরাসরি মানুষের শরীরে পড়ে সেক্ষেত্রে মানুষের শরীরে অতিমাত্রায় তড়িৎপ্রবাহ হয় বলেই মানুষ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়।
বজ্রাঘাতে মৃতদের দেহ চুম্বকত্বে আবিষ্ট (মূল্যবান ম্যাগনেটে রূপান্তরিত) হয় এটা আমাদের সমাজের প্রচলিত একটি ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার। অন্যদিকে বজ্রপাতের ফলে বজ্রাঘাতে প্রতিনিয়তই বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বিকল হচ্ছে। বজ্রপাত হলেই যে ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ক্ষতি হবে বিষয়টি সে রকম নয়। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত বৈদ্যুতিক পরিষেবা ড্রপ লাইনে সরাসরি বজ্রপাত হলে বজ্রাঘাতের ফলে ব্যবহৃত সব ধরনের ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ধ্বংস হয়ে যাবে। বজ্রপাতের সময় এসব যন্ত্রপাতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বজ্রপাতের সময় যে পরিমাণ ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নষ্ট হয়, তা অন্য সময় হয় না। এই সময় প্রায়ই লোকজনের ফ্রিজ জ্বলে যায়, টিভি জ্বলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। বিদ্যুৎ-সংযোগে বজ্রপাত ঘটলে আমাদের ডিভাইসগুলো অতিরিক্ত চার্জ গ্রহণ করে অকেজো হয়ে যায়। এ জন্যই ইউপিএস বা স্ট্যাবিলাইজারের মতো যন্ত্রগুলোর মাধ্যমে আমরা যন্ত্রগুলো সুরক্ষিত রাখতে পারি। বজ্রপাতের সময় যাতে ডিভাইসটি বিদ্যুৎ সংযোগ করা অবস্থায় না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ কারণে বজ্রপাতের সময় রাউটার বন্ধ রাখাই ভালো। শুধু রাউটার কেন, বাকি সব বৈদ্যুতিক যন্ত্র প্লাগ থেকে খুলে রাখা নিরাপদ।
বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোনে চার্জ না দেওয়াই ভালো। ল্যাপটপ চালাতে হলে প্লাগ থেকে খুলে নিয়ে ব্যাটারিতে চালানো নিরাপদ। যদি সম্ভব হয় টিভির ডিশ সংযোগও খুলে রাখা দরকার। ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার দিয়ে ফ্রিজ চালানো গেলে ভালো। বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতরে থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখাই ভালো। তবে যদি মারাত্মক আকারে বজ্রপাত হয় সেক্ষেত্রে স্মার্টফোনটি পুরোপুরি বন্ধ রাখাই ভাল। তা না হলে স্মার্টফোনটির তো বটেই যিনি সেটি ব্যবহার করছেন তারও বিপদ হতে পারে। বজ্রপাতের সময় টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল, ল্যাপটপ, ওয়াইফাইর বৈদ্যুতিক সংযোগ খুলে রাখলেই এগুলোকে নিরাপদ রাখা সম্ভব। বজ্রপাতের সময় যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে বাসা বা অফিসের কাট-আউট নিরাপদ রাখা দরকার। নিয়মিত ইলেকট্রিশিয়ান ডেকে সংযোগ পরীক্ষা করে নেয়া উত্তম। বজ্রপাতের কারণে যাতে মানুষের এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ জন্য কিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বজ্রপাতের আভাস পেলেই কম্পিউটার, রাউটার, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ অফ রাখা উচিত। বাসার বাইরে থাকার সময়ও বজ্রপাত হতে পারে। তবে সেরকম পরিস্থিতি দেখলে সেক্ষেত্রে বাইরে যাওয়ার আগেই কম্পিউটার, রাউটারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যের সুইচ অফ করে দিলে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে ধ্বংস হচ্ছে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস

আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বজ্রপাতের সময় সরু, আয়নিত ও বিদ্যুৎ পরিবাহী চ্যানেল তৈরির সময় বায়ুর তাপমাত্রা প্রায় ২৭ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় এবং চাপ প্রায় ১০-১০০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এই পুরো ঘটনাটি ঘটে এক সেকেন্ডের কয়েক হাজার ভাগের এক ভাগ সময়ে। এই পরিবর্তন আশপাশের বাতাসকে প্রচন্ড গতিতে বিস্ফোরণের মতো সম্প্রসারিত করে। ফলে বজ্রপাতের সময় প্রবল শব্দ উৎপন্ন হয়।
বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা; যা দুটি বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত অঞ্চলের মধ্যে বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক নিঃসরণ দ্বারা গঠিত হয়। বজ্রপাতের ফলে এক বিশাল পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন হয়। মেঘ থেকে ভূমিতে হওয়া একটি সাধারণ বজ্রপাতে প্রায় এক বিলিয়ন জুল শক্তি উৎপন্ন হয়। একটি সাধারণ বজ্রপাতের ফ্ল্যাশ প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ভোল্ট এবং প্রায় ৩০ হাজার এম্পিয়ার এর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। সাধারণ বাসাবাড়িতে যেখানে ২২০ ভোল্টের বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বজ্রপাত মূলত নির্ভর করে কোনো একটি দেশ বা অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর। বজ্রপাতের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে ঝড়-বৃষ্টির সময় এর সম্ভাবনা থাকে শতভাগ।
নানা কারণে এই সময়ে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। বজ্রপাতের হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন হওয়া, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিভিন্ন কারণে বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে বজ্রপাত। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে সম্প্রতি বজ্রপাত বেশি হচ্ছে। বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শোনা যায় তাহলে বুঝতে হবে সেটি আমাদের কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে এবং সেটির দ্বারা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর যদি বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা আমরা শুনতে পাই তাহলে বুঝতে হবে সেটি আমাদের থেকে দূরে রয়েছে এবং এটার দ্বারা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। সে সময় যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ অবস্থানে চলে যাওয়াই উত্তম।
বজ্রাঘাতে মানুষে এবং পশু-পাখির প্রাণহানির পাশাপাশি নষ্ট হয় অনেক ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির। সচেতন না হওয়ায় বজ্রাঘাতের ফলে এই ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বজ্রপাতের সময় বাড়ির ভেতর অথবা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করলে বজ্রাঘাতে জীবন যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে বজ্রপাত যদি সরাসরি মানুষের শরীরে পড়ে সেক্ষেত্রে মানুষের শরীরে অতিমাত্রায় তড়িৎপ্রবাহ হয় বলেই মানুষ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়।
বজ্রাঘাতে মৃতদের দেহ চুম্বকত্বে আবিষ্ট (মূল্যবান ম্যাগনেটে রূপান্তরিত) হয় এটা আমাদের সমাজের প্রচলিত একটি ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার। অন্যদিকে বজ্রপাতের ফলে বজ্রাঘাতে প্রতিনিয়তই বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বিকল হচ্ছে। বজ্রপাত হলেই যে ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ক্ষতি হবে বিষয়টি সে রকম নয়। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত বৈদ্যুতিক পরিষেবা ড্রপ লাইনে সরাসরি বজ্রপাত হলে বজ্রাঘাতের ফলে ব্যবহৃত সব ধরনের ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ধ্বংস হয়ে যাবে। বজ্রপাতের সময় এসব যন্ত্রপাতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বজ্রপাতের সময় যে পরিমাণ ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নষ্ট হয়, তা অন্য সময় হয় না। এই সময় প্রায়ই লোকজনের ফ্রিজ জ্বলে যায়, টিভি জ্বলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। বিদ্যুৎ-সংযোগে বজ্রপাত ঘটলে আমাদের ডিভাইসগুলো অতিরিক্ত চার্জ গ্রহণ করে অকেজো হয়ে যায়। এ জন্যই ইউপিএস বা স্ট্যাবিলাইজারের মতো যন্ত্রগুলোর মাধ্যমে আমরা যন্ত্রগুলো সুরক্ষিত রাখতে পারি। বজ্রপাতের সময় যাতে ডিভাইসটি বিদ্যুৎ সংযোগ করা অবস্থায় না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ কারণে বজ্রপাতের সময় রাউটার বন্ধ রাখাই ভালো। শুধু রাউটার কেন, বাকি সব বৈদ্যুতিক যন্ত্র প্লাগ থেকে খুলে রাখা নিরাপদ।
বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোনে চার্জ না দেওয়াই ভালো। ল্যাপটপ চালাতে হলে প্লাগ থেকে খুলে নিয়ে ব্যাটারিতে চালানো নিরাপদ। যদি সম্ভব হয় টিভির ডিশ সংযোগও খুলে রাখা দরকার। ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার দিয়ে ফ্রিজ চালানো গেলে ভালো। বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতরে থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখাই ভালো। তবে যদি মারাত্মক আকারে বজ্রপাত হয় সেক্ষেত্রে স্মার্টফোনটি পুরোপুরি বন্ধ রাখাই ভাল। তা না হলে স্মার্টফোনটির তো বটেই যিনি সেটি ব্যবহার করছেন তারও বিপদ হতে পারে। বজ্রপাতের সময় টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল, ল্যাপটপ, ওয়াইফাইর বৈদ্যুতিক সংযোগ খুলে রাখলেই এগুলোকে নিরাপদ রাখা সম্ভব। বজ্রপাতের সময় যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে বাসা বা অফিসের কাট-আউট নিরাপদ রাখা দরকার। নিয়মিত ইলেকট্রিশিয়ান ডেকে সংযোগ পরীক্ষা করে নেয়া উত্তম। বজ্রপাতের কারণে যাতে মানুষের এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ জন্য কিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বজ্রপাতের আভাস পেলেই কম্পিউটার, রাউটার, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ অফ রাখা উচিত। বাসার বাইরে থাকার সময়ও বজ্রপাত হতে পারে। তবে সেরকম পরিস্থিতি দেখলে সেক্ষেত্রে বাইরে যাওয়ার আগেই কম্পিউটার, রাউটারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যের সুইচ অফ করে দিলে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।