ঢাকা ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

বছরে পানিতে ডুবে মারা যায় ১০ হাজার শিশু

  • আপডেট সময় : ১২:১০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু প্রতিবেদন : মায়েদের গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ততা, কুসংস্কার, পানিতে ডোবা রোগীর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না করানো ও সচেতনতার অভাবে প্রতিবছর ১০ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এই শিশুদের ৭০ শতাংশের বয়সই পাঁচ বছরের নিচে।
গতকাল বুধবার দুপুরে গণস্বাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ওয়েবিনারে এ তথ্য জানানো হয়। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি সংস্থা গ্লোবাল হেলথ ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ প্রধান রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, ‘৮০ শতাংশ শিশু বাড়ির ২০ মিটারের মধ্যে থাকা পুকুর, ডোবায় পড়ে মারা যায়। দুপুর ১টা থেকে ৪টার মধ্যে মায়েরা যখন গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ত থাকেন তখনই এ দুর্ঘটনাগুলো বেশি ঘটে।’ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘নারী ও শিশুদের কল্যাণে বেশি কাজ করতে সরকার প্রধানের নির্দেশনা আছে। বাংলাদেশ নদীর দেশ। এখানে পানিতে যেমন শিশুরা খেলা করে তেমনি ডুবে মারাও যায়। এ মৃত্যু ঠেকানো আমাদের দায়িত্ব।’ পানিতে ডুবে মৃত্যু ঠেকাতে সরকার ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলেও জানান তিনি। শিক্ষকনেতা কাজি ফারুক বলেন, ‘পানিতে ডোবা শিশুকে ফার্স্ট এইড দেওয়া হয় না। অনেক সময় কুসংস্কারের কারণে ভুল চিকিৎসার শিকার হয় এ ধরনের রোগীরা।’ ওয়েবিনারে বক্তারা আরও বলেন, পানিতে ডোবার ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা ভেবে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। এই অপমৃত্যু রোধ করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন সামগ্রিক পরিকল্পনা। কতজন ছেলেমেয়ে সাঁতার জানে তা নিয়ে গবেষণা করা, শিশুদের সাঁতার শেখানো ও স্কুলে সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করারও তাগিদ দেন তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আরমা দত্ত, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বছরে পানিতে ডুবে মারা যায় ১০ হাজার শিশু

আপডেট সময় : ১২:১০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

নারী ও শিশু প্রতিবেদন : মায়েদের গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ততা, কুসংস্কার, পানিতে ডোবা রোগীর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না করানো ও সচেতনতার অভাবে প্রতিবছর ১০ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এই শিশুদের ৭০ শতাংশের বয়সই পাঁচ বছরের নিচে।
গতকাল বুধবার দুপুরে গণস্বাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ওয়েবিনারে এ তথ্য জানানো হয়। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি সংস্থা গ্লোবাল হেলথ ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ প্রধান রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, ‘৮০ শতাংশ শিশু বাড়ির ২০ মিটারের মধ্যে থাকা পুকুর, ডোবায় পড়ে মারা যায়। দুপুর ১টা থেকে ৪টার মধ্যে মায়েরা যখন গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ত থাকেন তখনই এ দুর্ঘটনাগুলো বেশি ঘটে।’ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘নারী ও শিশুদের কল্যাণে বেশি কাজ করতে সরকার প্রধানের নির্দেশনা আছে। বাংলাদেশ নদীর দেশ। এখানে পানিতে যেমন শিশুরা খেলা করে তেমনি ডুবে মারাও যায়। এ মৃত্যু ঠেকানো আমাদের দায়িত্ব।’ পানিতে ডুবে মৃত্যু ঠেকাতে সরকার ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলেও জানান তিনি। শিক্ষকনেতা কাজি ফারুক বলেন, ‘পানিতে ডোবা শিশুকে ফার্স্ট এইড দেওয়া হয় না। অনেক সময় কুসংস্কারের কারণে ভুল চিকিৎসার শিকার হয় এ ধরনের রোগীরা।’ ওয়েবিনারে বক্তারা আরও বলেন, পানিতে ডোবার ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা ভেবে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। এই অপমৃত্যু রোধ করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন সামগ্রিক পরিকল্পনা। কতজন ছেলেমেয়ে সাঁতার জানে তা নিয়ে গবেষণা করা, শিশুদের সাঁতার শেখানো ও স্কুলে সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করারও তাগিদ দেন তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আরমা দত্ত, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম প্রমুখ।