ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে বড়শিতে ধরা ৫-৬ মণের বিরল শাপলাপাতা মাছ

  • আপডেট সময় : ১২:৪৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পিচের মাথা এলাকায় বড় আকারের এ মাছ নৌকা থেকে নামানো হয়। এর আগে গত বুধবারও একটি শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়েছিল।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাতে বঙ্গোপসাগরে দিল মোহাম্মদ নামের এক জেলের বড়শিতে আটকা পড়ে মাছটি। পরে সেটিকে উপকূলে নিয়ে আসা হয়। সেটিকে আনোয়ারার বাইরে বিক্রির জন্য নেওয়া হয়েছে। মাছটি পাঁচ থেকে ছয় মণ ওজনের হতে পারে বলে তাঁরা জানান। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ধরা পড়া এ দুটি মাছ ছাড়া আর কখনো আনোয়ারায় শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়তে দেখেননি তাঁরা।
জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হক বলেন, শাপলাপাতা মাছ আহরণের বিষয়টি শুনলেও তিনি বিস্তারিত জানেন না।
ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) তথ্যানুযায়ী, শাপলাপাতা মাছের ১৬টির মতো প্রজাতি আছে। বাংলাদেশে যে ৮ থেকে ১০ প্রজাতির শাপলাপাতা মাছ পাওয়া যায়, তার মধ্যে ২টি প্রজাতি মহাসংকটাপন্ন এবং ৩টি সংকটাপন্ন। পিতাম্বরী বা নাঙলা ও ঘণ্টি শাপলাপাতা মাছকে মহাসংকটাপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। পান্না, শিংচোয়াইন ও ঠোট্টা ঘাপরি শাপলাপাতা মাছকে সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আছে চিত্রা হাউস শাপলাপাতা, ছোটলেজি শাপলাপাতা, কালি শাপলাপাতা, ফুল শাপলাপাতা, বাদুড় শাপলাপাতা, বাদা শাপলাপাতা, থাইন ও চুনি প্রজাতি শাপলাপাতা মাছ। এর কয়েকটি প্রজাতি বিক্রি-নিষিদ্ধ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বঙ্গোপসাগরে বড়শিতে ধরা ৫-৬ মণের বিরল শাপলাপাতা মাছ

আপডেট সময় : ১২:৪৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পিচের মাথা এলাকায় বড় আকারের এ মাছ নৌকা থেকে নামানো হয়। এর আগে গত বুধবারও একটি শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়েছিল।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাতে বঙ্গোপসাগরে দিল মোহাম্মদ নামের এক জেলের বড়শিতে আটকা পড়ে মাছটি। পরে সেটিকে উপকূলে নিয়ে আসা হয়। সেটিকে আনোয়ারার বাইরে বিক্রির জন্য নেওয়া হয়েছে। মাছটি পাঁচ থেকে ছয় মণ ওজনের হতে পারে বলে তাঁরা জানান। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ধরা পড়া এ দুটি মাছ ছাড়া আর কখনো আনোয়ারায় শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়তে দেখেননি তাঁরা।
জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হক বলেন, শাপলাপাতা মাছ আহরণের বিষয়টি শুনলেও তিনি বিস্তারিত জানেন না।
ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) তথ্যানুযায়ী, শাপলাপাতা মাছের ১৬টির মতো প্রজাতি আছে। বাংলাদেশে যে ৮ থেকে ১০ প্রজাতির শাপলাপাতা মাছ পাওয়া যায়, তার মধ্যে ২টি প্রজাতি মহাসংকটাপন্ন এবং ৩টি সংকটাপন্ন। পিতাম্বরী বা নাঙলা ও ঘণ্টি শাপলাপাতা মাছকে মহাসংকটাপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। পান্না, শিংচোয়াইন ও ঠোট্টা ঘাপরি শাপলাপাতা মাছকে সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আছে চিত্রা হাউস শাপলাপাতা, ছোটলেজি শাপলাপাতা, কালি শাপলাপাতা, ফুল শাপলাপাতা, বাদুড় শাপলাপাতা, বাদা শাপলাপাতা, থাইন ও চুনি প্রজাতি শাপলাপাতা মাছ। এর কয়েকটি প্রজাতি বিক্রি-নিষিদ্ধ।