ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের বিদায়ও রক্তাক্ত ট্র্যাজেডিতে : কাদের

  • আপডেট সময় : ০২:২৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ: বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের জীবনেও রক্তাক্ত বিদায়ের ট্র্যাজেডি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, হত্যা হত্যাকেই ডেকে আনে, হত্যা কাউকে ক্ষমা করে না।
গতকাল শনিবার সকালে আইডিইবি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল এডুকেশন দর্শন বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা এবং দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সেতুমন্ত্রী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা তাঁকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলো আজ তারাই ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে। ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। করোনার অভিঘাত মোকাবেলায় অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এমন সংকটে সকল রাজনৈতিক দলের একটাই রাজনীতি হওয়া উচিত, তা হলো মানুষকে বাঁচানো, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠনগুলোকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ভ্যাকসিন গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা ও অসহায় মানুষের প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের উপযোগী জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল বিপ্লব গড়ে তুলতে হবে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কারগরি দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রশিক্ষিত জনবলের যে চাহিদা তৈরি হবে, সে চাহিদার বিপরীতে বাংলাদেশ যেন সর্বোচ্চ সুযোগ নিতে পারে সে বিষয়টি আমাদের এখনই ভাবতে হবে।
সরকার নাকি ষড়যন্ত্র করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিচ্ছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এর আগেও ভ্যাকসিন নিয়েও ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজেছিল।
ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন বাঁচাতেই সরকার করোনা সংকটকালে বন্ধ রেখেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাদের জীবন যদি না থাকে তাহলে শিক্ষিত হয়ে কি হবে? তাই আগে জীবন বাঁচাতেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনাকালেও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি একটাই, তা হচ্ছে পালাক্রমে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার আর মিথ্যাচার। বিএনপির কৌশল হলো মায়াকান্না আর লিপসার্ভিস।
অনুষ্ঠানে অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে সরকার কোথায় কি অনিয়ম করছে বিএনপিকে তা স্পষ্ট করে বলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, সবকিছুতে ষড়যন্ত্র খোঁজা বিএনপির স্বাভাবগত বৈশিষ্ট্যে রূপ নিয়েছে।
জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার কথা ভুলে গিয়ে বিএনপি নেতাদের মুখ দিয়ে অসত্যের প্রলাপ বের হওয়াই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আইডিইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। পরে দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের বিদায়ও রক্তাক্ত ট্র্যাজেডিতে : কাদের

আপডেট সময় : ০২:২৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ: বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের জীবনেও রক্তাক্ত বিদায়ের ট্র্যাজেডি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, হত্যা হত্যাকেই ডেকে আনে, হত্যা কাউকে ক্ষমা করে না।
গতকাল শনিবার সকালে আইডিইবি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল এডুকেশন দর্শন বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা এবং দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সেতুমন্ত্রী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা তাঁকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলো আজ তারাই ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে। ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। করোনার অভিঘাত মোকাবেলায় অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এমন সংকটে সকল রাজনৈতিক দলের একটাই রাজনীতি হওয়া উচিত, তা হলো মানুষকে বাঁচানো, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠনগুলোকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ভ্যাকসিন গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা ও অসহায় মানুষের প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের উপযোগী জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল বিপ্লব গড়ে তুলতে হবে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কারগরি দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রশিক্ষিত জনবলের যে চাহিদা তৈরি হবে, সে চাহিদার বিপরীতে বাংলাদেশ যেন সর্বোচ্চ সুযোগ নিতে পারে সে বিষয়টি আমাদের এখনই ভাবতে হবে।
সরকার নাকি ষড়যন্ত্র করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিচ্ছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এর আগেও ভ্যাকসিন নিয়েও ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজেছিল।
ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন বাঁচাতেই সরকার করোনা সংকটকালে বন্ধ রেখেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাদের জীবন যদি না থাকে তাহলে শিক্ষিত হয়ে কি হবে? তাই আগে জীবন বাঁচাতেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনাকালেও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি একটাই, তা হচ্ছে পালাক্রমে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার আর মিথ্যাচার। বিএনপির কৌশল হলো মায়াকান্না আর লিপসার্ভিস।
অনুষ্ঠানে অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে সরকার কোথায় কি অনিয়ম করছে বিএনপিকে তা স্পষ্ট করে বলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, সবকিছুতে ষড়যন্ত্র খোঁজা বিএনপির স্বাভাবগত বৈশিষ্ট্যে রূপ নিয়েছে।
জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার কথা ভুলে গিয়ে বিএনপি নেতাদের মুখ দিয়ে অসত্যের প্রলাপ বের হওয়াই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আইডিইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। পরে দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।