ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জাপার

  • আপডেট সময় : ০১:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকা-ের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে জাতীয় পার্টি।
গতকাল রোববার দুপুরে বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান দলটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় রাজনৈতিক নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি উদ্ঘাটন করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃত করা যায় না, ইতিহাস তার আপন গতিতে চলবে।’
বাবলু অভিযোগ করেন, জেলখানায় হত্যার শিকার চার জাতীয় নেতা ছাড়া আর সবাই খুনিদের সঙ্গে ছিলেন। বাকশালের নেতারাই খন্দকার মোশতাক আহমদের সরকারে ছিলেন। তারাই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংসদে পাস করেন। ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগের কোনও নেতাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেননি।’
জিয়াউদ্দিন উল্লেখ করেন, ‘খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্যরা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি হয়েছেন, এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর হতে পারে না। সেদিন কোনও এমপি, জেলা গভর্নর ও আওয়ামী লীগের নেতারা রাজপথে নেমে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেননি।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আজীবন মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। আজ যারা মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করেছেন তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। যারা দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন চালায়, তারা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে না।’

সভায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াবহ রাতে কেউই নিজ দায়িত্ব পালন করেননি। বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় কোনও বাহিনী প্রতিরোধ গড়তে এগিয়ে আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘যখন বাকশাল গঠন করা হয়, তখন ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ১৫ আগস্টের দিন আওয়ামী লীগের কোনও নেতা, বুদ্ধিজীবী বা বাকশাল খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেউ একটি বিবৃতি দেয়নি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে। যারা ১৫ আগস্ট রাতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের আওয়ামী লীগ অনেক সময় পুরস্কৃত করেছিল, এরচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারে না।’ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি ও আব্দুস সাত্তার মিয়া।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জাপার

আপডেট সময় : ০১:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকা-ের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে জাতীয় পার্টি।
গতকাল রোববার দুপুরে বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান দলটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় রাজনৈতিক নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি উদ্ঘাটন করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃত করা যায় না, ইতিহাস তার আপন গতিতে চলবে।’
বাবলু অভিযোগ করেন, জেলখানায় হত্যার শিকার চার জাতীয় নেতা ছাড়া আর সবাই খুনিদের সঙ্গে ছিলেন। বাকশালের নেতারাই খন্দকার মোশতাক আহমদের সরকারে ছিলেন। তারাই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংসদে পাস করেন। ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগের কোনও নেতাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেননি।’
জিয়াউদ্দিন উল্লেখ করেন, ‘খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্যরা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি হয়েছেন, এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর হতে পারে না। সেদিন কোনও এমপি, জেলা গভর্নর ও আওয়ামী লীগের নেতারা রাজপথে নেমে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেননি।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আজীবন মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। আজ যারা মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করেছেন তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। যারা দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন চালায়, তারা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে না।’

সভায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াবহ রাতে কেউই নিজ দায়িত্ব পালন করেননি। বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় কোনও বাহিনী প্রতিরোধ গড়তে এগিয়ে আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘যখন বাকশাল গঠন করা হয়, তখন ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ১৫ আগস্টের দিন আওয়ামী লীগের কোনও নেতা, বুদ্ধিজীবী বা বাকশাল খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেউ একটি বিবৃতি দেয়নি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে। যারা ১৫ আগস্ট রাতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের আওয়ামী লীগ অনেক সময় পুরস্কৃত করেছিল, এরচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারে না।’ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি ও আব্দুস সাত্তার মিয়া।