নিজস্ব প্রতিবেদক :ভিআইপি বন্দিরা কারাগারে গেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে আসেন। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, যেন প্রিজন সেল কক্সবাজারের রিসোর্টে পরিণত হয়েছে। এই চর্চা বন্ধ করতেই হবে।
কারাগারে থাকা ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠনে এক আবেদনের শুনানিকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান একথা বলেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল বুধবার এই আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট হারুন-অর-রশীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিএসএমএমইউকে বোর্ড গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দান মানিক। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলায় চলতি বছরের ১২ মে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদ- দেয় আদালত। সেইসঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ৬ মাস কারাদ- দেওয়া হয়। এছাড়া ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয় আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন সাবেক সেনাপ্রধান হারুণ-অর-রশিদ। এই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করলেও তাকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। পরে গত ২৮ জুন কারাগারে থাকা হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন চেয়ে আবেদন করা হয়। ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় এ দুটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রিজন সেল যেন রিসোর্ট: দুদক আইনজীবী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ