নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের আইগত সহায়তা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গতকাল শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল আমার সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে উচ্চ আদালতে পরিচালনা করেছেন। সেই মামলায় বিশাল ডকুমেন্টে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা হলো অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে আমরা একটা বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করতে চাই। যেখানে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাসহ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা যাবতীয় বই সংরক্ষণ করা হবে। এ মাসের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের পক্ষ থেকে পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করবো আমরা। এক্ষেত্রে আমাদের যতটুকু ভূমিকা রাখা যায়, তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
আলোচনা শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকলের জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আইনজীবী সাইফুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মেহেদী হাসান চৌধুরী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, বশির আহমেদ, ড. মো. বশির উল্লাহ, একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারসহ প্রায় দুই শতাধিক রাষ্ট্রীয় আইন কর্মকর্তা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলগণ জাতির পিতার যে সকল খুনি পলাতক রয়েছে তাদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে আর যেন এমন নারকীয় হামলা সংঘটিত করতে না পারে সে বিষয়ে অ্যাটর্নি কার্যালয় তৎপরতা চালাতে পারে বলেও মতামত দেন তারা।
বঙ্গবন্ধু হত্যার নির্দেশদাতাদের খুঁজতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি : সপরিবারের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকা-ের নীলনকশা প্রস্তুতকারী এবং নেপথ্যে নির্দেশদাতাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
গতকাল শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান। আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বঙ্গবন্ধু। আগামী প্রজন্মের কাছে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার রাজনৈতিক দর্শন, আজন্ম লালিত স্বপ্ন ও আদর্শে তরুণ প্রজন্মকে আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট (অব.) আবদুল জলিল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ বক্তব্য দেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এবং জুনিয়র কয়েকজন কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকলেও মূলত জিয়াউর রহমান এবং মোশতাকের নির্দেশেই জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেন।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরাতে সর্বোচ্চ সহায়তা : অ্যাটর্নি জেনারেল
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ