নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করতে গিয়ে মুখ ফসকে হত্যাকারীদের জন্য দোয়া করা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাককে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজশাহীর বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে ভুল করে মুখ ফসকে মোনাজাতে বঙ্গবন্ধু খুনিদের জান্নাত চেয়ে দোয়া করলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনা নজরে এলে পৌর আওয়ামী লীগ জরুরি সভা ডেকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া আবদুর রাজ্জাক প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ভুলে মুখ ফসকে এমন বাক্য বের হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে গত বুধবার দিবাগত রাতে তাহেরপুর পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌর আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনীতিক সংগঠনের নেতৃত্বে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহেরপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুর রাজ্জাককে। দোয়া পরিচালনার একপর্যায়ে মাওলানা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘স্বাধীনতার জনক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা হত্যা করেছে, মানুষ নয় অমানুষ, মাবুদ। জাতির জনক ও তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছে, তাদের সকলকে তুমি জান্নাত দান করে দিও আল্লাহ।’মোনাজাতের ভিডিও শুক্রবার ফেসবুক ছাড়াও মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বাক্কার মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবদুর রাজ্জাক অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য একটি বাক্য উচ্চারণ করেছেন। এজন্য আওয়ামী লীগের কার্যকরী সভা ডেকে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘জান্নাত চাওয়া’ আ.লীগ নেতাকে অব্যাহতি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ