ঢাকা ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকারকারীদের রাজনীতি বন্ধ করা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া যারা স্বাধীনতা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতিও চিরতরে বন্ধ হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোজনা সভায় অংশ নিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
‘ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, যিনি বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাকে অস্বীকার করা হয়। তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়, বিকৃতি করা হয়, এটি যারা করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, নেদারল্যান্ডসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা নাৎসি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন তাদের ভোটাধিকার নাই। যারা সমর্থন করেছিল তাদেরও ভোটাধিকার নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার যারা বিরোধিতা করেছে তারা জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার কল্যাণে রাজনীতি করে, এমপিও নির্বাচিত হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে। যারা স্বাধীনতা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় এই বিতর্ক নিয়ে এগিয়ে যাব, এটা কাম্য নয়। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ১৫ আগস্টের হত্যাকা- হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিয়ে এটা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়েছে। একটা কমিশন গঠন করে হত্যাকা-ের সবিস্তর জাতির সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন। আজকে যদি তা করা না হয়, তাহলে আজ থেকে ৫০, ১০০ বছর পর ইতিহাস রচিত হবে, কারা হত্যা করেছিল, বিচারে যাদের শাস্তি হয়েছিল তারাই কি শুধু যুক্ত ছিল।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুখ প্রমুখ অংশ নেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকারকারীদের রাজনীতি বন্ধ করা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া যারা স্বাধীনতা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতিও চিরতরে বন্ধ হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোজনা সভায় অংশ নিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
‘ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, যিনি বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাকে অস্বীকার করা হয়। তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়, বিকৃতি করা হয়, এটি যারা করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, নেদারল্যান্ডসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা নাৎসি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন তাদের ভোটাধিকার নাই। যারা সমর্থন করেছিল তাদেরও ভোটাধিকার নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার যারা বিরোধিতা করেছে তারা জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার কল্যাণে রাজনীতি করে, এমপিও নির্বাচিত হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে। যারা স্বাধীনতা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় এই বিতর্ক নিয়ে এগিয়ে যাব, এটা কাম্য নয়। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ১৫ আগস্টের হত্যাকা- হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিয়ে এটা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়েছে। একটা কমিশন গঠন করে হত্যাকা-ের সবিস্তর জাতির সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন। আজকে যদি তা করা না হয়, তাহলে আজ থেকে ৫০, ১০০ বছর পর ইতিহাস রচিত হবে, কারা হত্যা করেছিল, বিচারে যাদের শাস্তি হয়েছিল তারাই কি শুধু যুক্ত ছিল।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুখ প্রমুখ অংশ নেন।