বগুড়া সংবাদদাতা: বগুড়ার শেরপুরে বিক্রির চেষ্টাকালে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ১৯০ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের দক্ষিণ আমইন গ্রামের সোনালি পুকুরপাড়ের মাছের খাদ্য মজুতের মেশিনঘর থেকে মূর্তি উদ্ধার ও দুজনকে গ্রেফতার করেন।
র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ফিরোজ আহমেদ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার দুজন হলেন- বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া ফরেস্টগেট এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিন সরকারের ছেলে আবুল বাশার রুবেল (৫৫) ও তার সহযোগী সিরাজগঞ্জ সদরের রাঙ্গালিয়াগাঁতি গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক সরকারের ছেলে আল আমিন সরকার (৪৮)।
র্যাব সূত্র ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় এক বছর আগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের দক্ষিণ আমইন গ্রামের সোনালি পুকুরটি সংস্কার করা হয়। এ সময় আসামিরা পুকুরে ১৯০ কেজি ওজনের মূল্যবান কষ্টিপাথরের মূর্তিটি পান। মূর্তিটি দৈর্ঘ্যে ৫৭ ইঞ্চি ও প্রস্থে ২৪ ইঞ্চি। যার বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। পরবর্তীতে পুকুরের লিজগ্রহীতা মূর্তিটি বিক্রির জন্য বিভিন্ন ক্রেতাকে দেখান।
এদিকে, র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা গোপনে খবর পেয়ে রোববার বিকালে ওই গ্রামের পুকুরপাড়ের মাছের খাদ্য মজুতের মেশিনঘরে মাটির নিচ থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করেন। এ সময় মূর্তিটি বিক্রির চেষ্টাকারী পুকুরের লিজগ্রহীতা আবুল বাশার রুবেল ও তার সহযোগী আল আমিন সরকারকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ফিরোজ আহমেদ জানান, উদ্ধার করা মূল্যবান কষ্টিপাথরের মূর্তিটির ওজন প্রায় ১৯০ কেজি। বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুজন কষ্টিপাথরের মূর্তি হেফাজতে রেখে উচ্চমূল্যে বিক্রি ও পাচারের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন। তাদের মূর্তিসহ শেরপুর থানায় হস্তান্তর ও মামলা করা হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন জানান, গ্রেফতার দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এসি/আপ্র/২২/০৯/২০২৫