ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বকেয়া বেতন-ভাতা পাচ্ছেন পূর্বাঞ্চল রেলের ৩৪৬ জন গেটকিপার

  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বকেয়া বেতন-ভাতা পাচ্ছেন পূর্বাঞ্চল রেলের ৩৪৬ জন গেটকিপার। রেল লাইন নিরাপদ ও দুঘর্টনা রোধে এসব গেটকিপার দায়িত্ব পালন করছেন। এসব গেটকিপারদের ১৩ মাসের বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য ১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মানউন্নয়ন’ প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধন করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পের আওতায় অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ করা গেটকিপাররা বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন লেভেল ক্রসিংয়ে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দুর্ঘটনা রোধ ও জানমালের হেফাজত করে আসছেন।

তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে অস্থায়ী গেটকিপারদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধের জন্য প্রকল্পটির চতুর্থ সংশোধন প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর এই সংশোধন একনেক সভায় অনুমোদন পায়। গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এ প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ১২৮ কোটি ২ লাখ টাকা; যা অনুমোদিত তৃতীয় সংশোধিত প্রকল্প ব্যয়ের ৯৮ দশমিক ১০ শতাংশ। এ সময় পর্যন্ত বাস্তব অগ্রগতি ১০০ শতাংশ। প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন নামের মূল প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। এটি ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের জুনে বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়। ২০১৫ সালের ১ জুলাই একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির আওতায় পুরাতন ক্যারেজ (বগি) মেরামত বা পুনর্বাসন, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও যাত্রী সুবিধাদির উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে রেলওয়ের যাত্রী পরিবহণে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় সংশোধনে তৃতীয় দফায় ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া প্রকল্পটির মেয়াদ এক বছর করে মোট ২ বছর সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ২ বছর মেয়াদ বৃদ্ধিসহ মোট ১৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধন অনুমোদিত হয়। বর্তমানে প্রকল্পটি এক বছর মেয়াদ বৃদ্ধিসহ মোট ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে চতুর্থ সংশোধনের প্রস্তাব একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বকেয়া বেতন-ভাতা পাচ্ছেন পূর্বাঞ্চল রেলের ৩৪৬ জন গেটকিপার

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : বকেয়া বেতন-ভাতা পাচ্ছেন পূর্বাঞ্চল রেলের ৩৪৬ জন গেটকিপার। রেল লাইন নিরাপদ ও দুঘর্টনা রোধে এসব গেটকিপার দায়িত্ব পালন করছেন। এসব গেটকিপারদের ১৩ মাসের বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য ১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মানউন্নয়ন’ প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধন করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পের আওতায় অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ করা গেটকিপাররা বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন লেভেল ক্রসিংয়ে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দুর্ঘটনা রোধ ও জানমালের হেফাজত করে আসছেন।

তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে অস্থায়ী গেটকিপারদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধের জন্য প্রকল্পটির চতুর্থ সংশোধন প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর এই সংশোধন একনেক সভায় অনুমোদন পায়। গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এ প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ১২৮ কোটি ২ লাখ টাকা; যা অনুমোদিত তৃতীয় সংশোধিত প্রকল্প ব্যয়ের ৯৮ দশমিক ১০ শতাংশ। এ সময় পর্যন্ত বাস্তব অগ্রগতি ১০০ শতাংশ। প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন নামের মূল প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। এটি ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের জুনে বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়। ২০১৫ সালের ১ জুলাই একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির আওতায় পুরাতন ক্যারেজ (বগি) মেরামত বা পুনর্বাসন, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও যাত্রী সুবিধাদির উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে রেলওয়ের যাত্রী পরিবহণে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় সংশোধনে তৃতীয় দফায় ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া প্রকল্পটির মেয়াদ এক বছর করে মোট ২ বছর সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ২ বছর মেয়াদ বৃদ্ধিসহ মোট ১৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধন অনুমোদিত হয়। বর্তমানে প্রকল্পটি এক বছর মেয়াদ বৃদ্ধিসহ মোট ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে চতুর্থ সংশোধনের প্রস্তাব একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।