ঢাকা ১১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

বই মেলায় নানা আয়োজন নিয়ে পরমাণু শক্তি কমিশন

  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

সাহিত্য ডেস্ক : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি জনমনে আগ্রহ সৃষ্টি, পরমাণু প্রযুক্তি ও এর নিরাপত্তা এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একুশের বই মেলায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন৷
পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কৌশল প্রদর্শনসহ গেইমস এবং কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের এই কার্যক্রমে সহায়তা করছে রাশিয়ার পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রোসাটম।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রোসাটম এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বিজ্ঞান, বিশেষ করে পরমাণু বিজ্ঞান সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং এর প্রসারে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন চলমান একুশে বই মেলায় ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৷ পরমাণু শক্তি কমিশনের স্টলে আয়োজিত বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রথম দিন থেকেই দর্শনার্থীদের, বিশেষ করে খুদে দর্শনার্থী ভিড় করতে দেখা গেছে।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অবস্থিত ৭১২ এবং ৭১৩ নম্বর স্টলে দর্শনার্থীরা পরমাণু বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিভিন্ন মজাদার গেইমস এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। পরমাণু বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে আগ্রহী দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বাংলা বই দেওয়া হচ্ছে। স্টলে স্থাপিত একটি ক্ষুদে পাওয়ার মডেলের সাহায্যে কীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় তা প্রত্যক্ষভাবে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। যারা নিউক্লিয়ার বিষয়ে তাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন তথ্যসমৃদ্ধ ভিডিও।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং ঢাকাস্থ পরমাণু শক্তি তথ্য কেন্দ্রের প্রশিক্ষিত নবীন কর্মকর্তারা দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন এবং পরমাণু বিজ্ঞান বিষয়ে তাদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার উত্তর দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে তার নিজস্ব পরমাণু শক্তি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে এবং রাশিয়ার প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তায় পাবনার রূপপুরে নির্মীত হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ বেছে নিয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক এবং ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর, যেগুলো সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। পরমাণু প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব হবার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কৃষি এবং চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনার মুক্তি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে ২৭ বিশিষ্ট নারীর স্মারকলিপি

বই মেলায় নানা আয়োজন নিয়ে পরমাণু শক্তি কমিশন

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সাহিত্য ডেস্ক : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি জনমনে আগ্রহ সৃষ্টি, পরমাণু প্রযুক্তি ও এর নিরাপত্তা এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একুশের বই মেলায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন৷
পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কৌশল প্রদর্শনসহ গেইমস এবং কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের এই কার্যক্রমে সহায়তা করছে রাশিয়ার পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রোসাটম।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রোসাটম এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বিজ্ঞান, বিশেষ করে পরমাণু বিজ্ঞান সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং এর প্রসারে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন চলমান একুশে বই মেলায় ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৷ পরমাণু শক্তি কমিশনের স্টলে আয়োজিত বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রথম দিন থেকেই দর্শনার্থীদের, বিশেষ করে খুদে দর্শনার্থী ভিড় করতে দেখা গেছে।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অবস্থিত ৭১২ এবং ৭১৩ নম্বর স্টলে দর্শনার্থীরা পরমাণু বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিভিন্ন মজাদার গেইমস এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। পরমাণু বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে আগ্রহী দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বাংলা বই দেওয়া হচ্ছে। স্টলে স্থাপিত একটি ক্ষুদে পাওয়ার মডেলের সাহায্যে কীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় তা প্রত্যক্ষভাবে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। যারা নিউক্লিয়ার বিষয়ে তাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন তথ্যসমৃদ্ধ ভিডিও।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং ঢাকাস্থ পরমাণু শক্তি তথ্য কেন্দ্রের প্রশিক্ষিত নবীন কর্মকর্তারা দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন এবং পরমাণু বিজ্ঞান বিষয়ে তাদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার উত্তর দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে তার নিজস্ব পরমাণু শক্তি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে এবং রাশিয়ার প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তায় পাবনার রূপপুরে নির্মীত হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ বেছে নিয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক এবং ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর, যেগুলো সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। পরমাণু প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব হবার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কৃষি এবং চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।