ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বইমেলায় জামায়াত আমীর, স্মরণ করলেন বায়ান্ন-একাত্তর

  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথমবারের মত অমর একুশে বইমেলা ঘুরে দেখলেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমান। মেলার ত্রয়োদশ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় তিনি মেলায় প্রবেশ করেন। প্রথমে তিনি বাংলা একাডেমির প্রবেশমুখের একটি স্টলে যান। সেখানে স্টলের কর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং পাঠকদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরে ‘গার্ডিয়ান প্রকাশনী’, ‘বিন্দু প্রকাশ, ‘ঋদ্ধ’, ‘আধুনিক প্রকাশনী’, ‘আফসার ব্রাদার্স’সহ কয়েকটি স্টল ঘুরে বই নেড়েচেড়ে দেখেন শফিকুর রহমান। বইমেলা প্রাঙ্গণের মসজিদে মাগরিবের নামাজও আদায় করেন। নামাজ সেরে বের হয়েও কিছু স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।

এ সময় তাকে বইও কিনতে দেখা যায়। পৌনে ৭টার দিকে মুক্তমঞ্চের সামনে গ্রাফিতি পরিদর্শন করেন জামায়াত আমির। পরে তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, “আমাদের স্মৃতিবিজড়িত বায়ান্নর রক্তাক্ত এই মাস বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালিদের হৃদয়ে জুড়ে আছে। আমি সর্বপ্রথম বায়ন্নর একুশে ফেব্রুয়ারি বা আটই ফাল্গুনে যারা অধিকার আদায়ের জন্য, মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে জীবন দিয়েছিলেন, আমি সেই সমস্ত শহীদদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। “একইসাথে আমি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন এবং লড়াই করেছেন, তাদেরকেও গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তারই ধারবাহিকতায় ২৪-এ স্বৈরশাসনের হাত থেকে ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করে বৈষম্যহীন একটি সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যারা লড়েছেন, তাদেরকে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।” তিনি বলেন, “আমি এসেছিলাম বইমেলা দেখতে৷ আলহামদুলিল্লাহ, এখানে প্রত্যেকটি স্টলেই উপচেপড়া ভিড়, পাঠকদের ভিড়, ছোট-ছোট শিশুরাও এখানে চলে এসেছে। যদিও শিশুদের জন্য আজ আলাদা দিন নয়, তারপরও অনেকে পিতামাতার সাথে চলে এসেছে।

“এই যে একটা আমেজ, ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু করে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলতে থাকে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অতীতকে স্মরণ করি। যে জাতি তাদের অতীতকে ধারণ করে, সম্মান করে, স্মরণ করে, সেই জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।” পরে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে মেলা থেকে বের হয়ে যান জামায়াতের আমির। জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরীর (দক্ষিণ) আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম, বর্তমান সভাপতি এস এম ফরহাদ এসময় উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মু.আতাউর রহমান সরকার বলেন, “আসলে এত বছর তো আমাদের বইমেলায় যাওয়ার পরিবেশ ছিল না। মূলত বই দেখা, সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করা, এটার জন্য তিনি মেলায় গিয়েছিলেন। আগে তো আমরা পরিবেশ পাইনি। এখন পরিবেশ হয়েছে; রাষ্ট্রের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতেও তিনি অনেক জায়গায় যাচ্ছেন।”

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বইমেলায় জামায়াত আমীর, স্মরণ করলেন বায়ান্ন-একাত্তর

আপডেট সময় : ০৯:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথমবারের মত অমর একুশে বইমেলা ঘুরে দেখলেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমান। মেলার ত্রয়োদশ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় তিনি মেলায় প্রবেশ করেন। প্রথমে তিনি বাংলা একাডেমির প্রবেশমুখের একটি স্টলে যান। সেখানে স্টলের কর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং পাঠকদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরে ‘গার্ডিয়ান প্রকাশনী’, ‘বিন্দু প্রকাশ, ‘ঋদ্ধ’, ‘আধুনিক প্রকাশনী’, ‘আফসার ব্রাদার্স’সহ কয়েকটি স্টল ঘুরে বই নেড়েচেড়ে দেখেন শফিকুর রহমান। বইমেলা প্রাঙ্গণের মসজিদে মাগরিবের নামাজও আদায় করেন। নামাজ সেরে বের হয়েও কিছু স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।

এ সময় তাকে বইও কিনতে দেখা যায়। পৌনে ৭টার দিকে মুক্তমঞ্চের সামনে গ্রাফিতি পরিদর্শন করেন জামায়াত আমির। পরে তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, “আমাদের স্মৃতিবিজড়িত বায়ান্নর রক্তাক্ত এই মাস বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালিদের হৃদয়ে জুড়ে আছে। আমি সর্বপ্রথম বায়ন্নর একুশে ফেব্রুয়ারি বা আটই ফাল্গুনে যারা অধিকার আদায়ের জন্য, মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে জীবন দিয়েছিলেন, আমি সেই সমস্ত শহীদদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। “একইসাথে আমি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন এবং লড়াই করেছেন, তাদেরকেও গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তারই ধারবাহিকতায় ২৪-এ স্বৈরশাসনের হাত থেকে ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করে বৈষম্যহীন একটি সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যারা লড়েছেন, তাদেরকে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।” তিনি বলেন, “আমি এসেছিলাম বইমেলা দেখতে৷ আলহামদুলিল্লাহ, এখানে প্রত্যেকটি স্টলেই উপচেপড়া ভিড়, পাঠকদের ভিড়, ছোট-ছোট শিশুরাও এখানে চলে এসেছে। যদিও শিশুদের জন্য আজ আলাদা দিন নয়, তারপরও অনেকে পিতামাতার সাথে চলে এসেছে।

“এই যে একটা আমেজ, ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু করে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলতে থাকে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অতীতকে স্মরণ করি। যে জাতি তাদের অতীতকে ধারণ করে, সম্মান করে, স্মরণ করে, সেই জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।” পরে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে মেলা থেকে বের হয়ে যান জামায়াতের আমির। জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরীর (দক্ষিণ) আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম, বর্তমান সভাপতি এস এম ফরহাদ এসময় উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মু.আতাউর রহমান সরকার বলেন, “আসলে এত বছর তো আমাদের বইমেলায় যাওয়ার পরিবেশ ছিল না। মূলত বই দেখা, সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করা, এটার জন্য তিনি মেলায় গিয়েছিলেন। আগে তো আমরা পরিবেশ পাইনি। এখন পরিবেশ হয়েছে; রাষ্ট্রের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতেও তিনি অনেক জায়গায় যাচ্ছেন।”