ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

ফ্লোরিডায় ভবন ধসে মৃত্যু বেড়ে ৫, এখনও নিখোঁজ ১৫৬

  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচজন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ১৫৬ জনের খোঁজ এখনও মেলেনি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মায়ামির সার্ফসাইড শহরের ওই ভবনের ধসে পড়া অংশে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপ থেকে কু-লী পাকিয়ে ওঠা ধোঁয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন ফায়ার ফাইটাররা। মায়ামির ডেইড কাউন্টির মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা শনিবার সন্ধ্যার ব্রিফিংয়ে বলেন, নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
তিনি জানান, উদ্ধারকর্মীরা শনিবার আরও একজনের লাশ উদ্ধার করেছেন। আর আগের যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল, তাদের তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
সার্ফসাইডের চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথ নামের ওই ১২ তলা অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের বড় একটি অংশ স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে ধসে পড়ে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৮১ সালে নির্মিত এ ভবনটিতে সংস্কার কাজ চলছিল। সদ্য আলোয় আসা ২০১৮ সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রকৌশলীরা ভবনটির পুল ডেকের নিচে বড় ধরনের কাঠামোগত ত্রুটি পেয়েছিলেন। তাছাড়া আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং গ্যারেজে কংক্রিট ক্ষয়ে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছিলেন তিনি।
সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, ৪০ বছরের পুরনো ভবনটির এক পাশের পুরো অংশ দুই ভাগে ভাগ হয়ে একটি পর আরেকটি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ছে।
ওই ঘটনার সময় ভবনটির অধিকাংশ বাসিন্দা ঘুমিয়ে ছিলেন। ভবনটির ১৩০টি ইউনিটের মধ্যে ৮০টিতে তখন বাসিন্দারা ছিলেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভবনটির নিখোঁজ বাসিন্দাদের জীবিত উদ্ধারের আশাও ক্ষীণ হয়ে আসছে। ভবনের তলাগুলো ধসে পড়ে কেকের স্তরের মতো একটি ওপর আরেকটি স্তূপীকৃত হয়ে আছে। ওই ধ্বংসস্তূপ সরালে ভেতরে চাপা পড়া অনেক মৃতদেহ মিলবে বলে উদ্ধারকর্মীদের ধারণা। কুকুর, ক্যামেরা, সোনার ও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তারা ধ্বংসস্তূপের খুঁজে দেখছেন, ভেতরে জীবিত কারও উপস্থিতি পাওয়া যায় কি না।
ফায়ার চিফ অ্যালান চমিনস্কি বলেন, “এখানে পরিস্থিতি খুবই কঠিন, তারপরও আমরা আশা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এটাই এখন আমাদের বড় শক্তি।”
এ বছর সংস্কার কাজ শুরুর করার জন্য ২০১৮ সালে ভবনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কনডোমিনিয়াম বোর্ডের জন্য ২০১৮ সালে ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন প্রকৌশলীরা, যা স্থানীয় কর্মকর্তারা সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন।
ওই প্রতিবেদনে ভবনের কাঠামোগত যেসব সমস্যা থাকার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো এ ধসের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত কি না, তা জানা যায়নি।
মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা বলেছেন, কর্মকর্তারা ওই প্রতিবেদনের বিষয়টি কর্মকর্তারা আগে জানতেন না। তবে ভাইস মেয়র টিনা পল বলেছেন, ওই প্রতিবেদনে ভবনের যেসব কাঠামোগত সমস্যার কথা বলা হয়েছে, তা ‘উদ্বেগজনক’।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফ্লোরিডায় ভবন ধসে মৃত্যু বেড়ে ৫, এখনও নিখোঁজ ১৫৬

আপডেট সময় : ১১:৩৯:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচজন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ১৫৬ জনের খোঁজ এখনও মেলেনি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মায়ামির সার্ফসাইড শহরের ওই ভবনের ধসে পড়া অংশে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপ থেকে কু-লী পাকিয়ে ওঠা ধোঁয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন ফায়ার ফাইটাররা। মায়ামির ডেইড কাউন্টির মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা শনিবার সন্ধ্যার ব্রিফিংয়ে বলেন, নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
তিনি জানান, উদ্ধারকর্মীরা শনিবার আরও একজনের লাশ উদ্ধার করেছেন। আর আগের যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল, তাদের তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
সার্ফসাইডের চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথ নামের ওই ১২ তলা অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের বড় একটি অংশ স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে ধসে পড়ে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৮১ সালে নির্মিত এ ভবনটিতে সংস্কার কাজ চলছিল। সদ্য আলোয় আসা ২০১৮ সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রকৌশলীরা ভবনটির পুল ডেকের নিচে বড় ধরনের কাঠামোগত ত্রুটি পেয়েছিলেন। তাছাড়া আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং গ্যারেজে কংক্রিট ক্ষয়ে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছিলেন তিনি।
সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, ৪০ বছরের পুরনো ভবনটির এক পাশের পুরো অংশ দুই ভাগে ভাগ হয়ে একটি পর আরেকটি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ছে।
ওই ঘটনার সময় ভবনটির অধিকাংশ বাসিন্দা ঘুমিয়ে ছিলেন। ভবনটির ১৩০টি ইউনিটের মধ্যে ৮০টিতে তখন বাসিন্দারা ছিলেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভবনটির নিখোঁজ বাসিন্দাদের জীবিত উদ্ধারের আশাও ক্ষীণ হয়ে আসছে। ভবনের তলাগুলো ধসে পড়ে কেকের স্তরের মতো একটি ওপর আরেকটি স্তূপীকৃত হয়ে আছে। ওই ধ্বংসস্তূপ সরালে ভেতরে চাপা পড়া অনেক মৃতদেহ মিলবে বলে উদ্ধারকর্মীদের ধারণা। কুকুর, ক্যামেরা, সোনার ও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তারা ধ্বংসস্তূপের খুঁজে দেখছেন, ভেতরে জীবিত কারও উপস্থিতি পাওয়া যায় কি না।
ফায়ার চিফ অ্যালান চমিনস্কি বলেন, “এখানে পরিস্থিতি খুবই কঠিন, তারপরও আমরা আশা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এটাই এখন আমাদের বড় শক্তি।”
এ বছর সংস্কার কাজ শুরুর করার জন্য ২০১৮ সালে ভবনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কনডোমিনিয়াম বোর্ডের জন্য ২০১৮ সালে ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন প্রকৌশলীরা, যা স্থানীয় কর্মকর্তারা সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন।
ওই প্রতিবেদনে ভবনের কাঠামোগত যেসব সমস্যা থাকার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো এ ধসের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত কি না, তা জানা যায়নি।
মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা বলেছেন, কর্মকর্তারা ওই প্রতিবেদনের বিষয়টি কর্মকর্তারা আগে জানতেন না। তবে ভাইস মেয়র টিনা পল বলেছেন, ওই প্রতিবেদনে ভবনের যেসব কাঠামোগত সমস্যার কথা বলা হয়েছে, তা ‘উদ্বেগজনক’।