প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আরও চার জনের দেহাবশেষ পাওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত শুক্রবার নিকটবর্তী দ্বিতীয় আরেকটি আবাসিক ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনার পর বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন স্থানীয় কর্মকর্তারা, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নর্থ মায়ামি বিচের নগর ব্যবস্থাপক আর্থার সোরি জানিয়েছেন, প্রকৌশলীরা ক্রেস্টভিউ টাওয়ার নামের আরেকটি ভবনে গুরুতর ক্রংক্রিট ও বৈদ্যুতিক সমস্যা পাওয়ার পর অবিলম্বে ভবনটি ছেড়ে যাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি জানান, হারিকেন ইসলা ফ্লোরিডার দিকে এগিয়ে আসার মুখে এ পদক্ষেপকে জরুরি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, কারণ নির্মাণের পর ৪০ বছর পার হলেও ভবনটির মালিকরা এখনও বাধ্যতামূলক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করেননি। ইসলা সোমবারের মধ্যে ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে পারে। ২৪ জুনের প্রথম প্রহরে মিয়ামি এলাকার সার্ফসাইড শহরে চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথ নামের ১২তলা একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বড় একটি অংশ ধসে পড়ে। তখন ভবনটির অধিকাংশ বাসিন্দা ঘুমিয়ে ছিলেন। শুক্রবার ভনটির ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও চার জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করার পর নিখোঁজ তালিকায় আরও ১২৬ জনের নাম ছিল। এদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে ওই ধ্বংস্তূপের ভেতরে জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৩ জুন, বৃহস্পতিবার নিখোঁজের সংখ্যা ১৪৭ জন বলা হলেও সেই তালিকা থেকে ১৭ জনের নাম বাদ গেছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মায়ামি-ডেইড কাউন্টির মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা। নিখোঁজের মোট সংখ্যা তখনও পুরোপুরি স্থির ছিল না আর তদন্তকারীরা কখনো কখনো তালিকাটি সংশোধন করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথের অবশিষ্ট অংশটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকায় সেটি ভেঙে ফেলার আদেশও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাভা।
ফ্লোরিডায় ভবন ধসের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২২
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ