ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

ফ্লোরিডায় বন্দুক হামলায় মা ও শিশুসহ নিহত ৪

  • আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীর হামলায় এক নারী ও তার তিন মাস বয়সী শিশুপুত্রসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে ১১ বছর বয়সী একটি মেয়ে। গত রোববার ফ্লোরিডার পোল্ক শহরে একটি বাসভবনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
পোল্ক শহরের শেরিফ (প্রধান আইন কর্মকর্তা) গ্র্যাডি জাড সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে ওই হামলাকারীও আহত হয়েছেন। বর্তমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলছে ১১ বছর বয়সী সেই মেয়েটিরও, যার দেহে সাতটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে।
৫ সেপ্টেম্বর এ সংবাদ সম্মেলনে শেরিফ জাড সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারী ওই ব্যক্তির নাম ব্রায়ান রিলে। তার বয়স ৩৩ বছর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সেনা সদস্য ছিলেন তিনি। ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় দেহরক্ষী ও নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রিলে।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জাড সাংবাদিকদের বলেন, যে বাসভবনে এই হামলা হয়েছে, শনিবার রাতে হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন রিলে। এক পর্যায়ে ওই বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে তার তর্ক শুরু হয়।
তর্কের এক পর্যায়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে রিলে এবং এতে ওই বাসভবনের ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, তার স্ত্রী (বয়স ৩৩) এবং তার কোলে থাকা তিন মাসের শিশু সন্তান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত হয় ওই বাড়ির ১১ বছর বয়সী মেয়েটি।
ওই বাসভবন থেকে বের হওয়ার সময় পাশের একটি বাড়ির ৬২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকেও হত্যা করেন রিলে। পুলিশের ধারণা, ওই বৃদ্ধা সম্পর্কে মৃত ওই নারীর মা। তাছাড়া ওই পরিবারের কুকুরটিকেও গুলি করে হত্যা করেন তিনি।
এর মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন রিলে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছোঁড়ে। এর ফলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।’
ঠিক কী কারণে ব্রায়ান রিলে এমন একটি নৃশংস হামলা সংঘটিত করলেন- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে জাড বলেন, ‘রিলে মানসিক চাপ ও হতাশায় (পোস্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার) ভুগছিলেন। তার বান্ধবীর সঙ্গে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তার কথা হয়েছে। তিনি (বান্ধবী) জানিয়েছেন, গত বেশ কিছুদিন ধরেই অবসাদগ্রস্ত ছিলেন রিলে।’
ওই বান্ধবীর সঙ্গে চার বছর ধরে রিলের সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে জাড আরও বলেন, ‘গত প্রায় এক সপ্তাহ আগে তার মানসিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। হামলার দিন দু’য়েক আগে বান্ধবীর কাছে রিলে দাবি করেছিলেন, তিনি ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলেন।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

ফ্লোরিডায় বন্দুক হামলায় মা ও শিশুসহ নিহত ৪

আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীর হামলায় এক নারী ও তার তিন মাস বয়সী শিশুপুত্রসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে ১১ বছর বয়সী একটি মেয়ে। গত রোববার ফ্লোরিডার পোল্ক শহরে একটি বাসভবনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
পোল্ক শহরের শেরিফ (প্রধান আইন কর্মকর্তা) গ্র্যাডি জাড সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে ওই হামলাকারীও আহত হয়েছেন। বর্তমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলছে ১১ বছর বয়সী সেই মেয়েটিরও, যার দেহে সাতটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে।
৫ সেপ্টেম্বর এ সংবাদ সম্মেলনে শেরিফ জাড সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারী ওই ব্যক্তির নাম ব্রায়ান রিলে। তার বয়স ৩৩ বছর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সেনা সদস্য ছিলেন তিনি। ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় দেহরক্ষী ও নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রিলে।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জাড সাংবাদিকদের বলেন, যে বাসভবনে এই হামলা হয়েছে, শনিবার রাতে হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন রিলে। এক পর্যায়ে ওই বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে তার তর্ক শুরু হয়।
তর্কের এক পর্যায়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে রিলে এবং এতে ওই বাসভবনের ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, তার স্ত্রী (বয়স ৩৩) এবং তার কোলে থাকা তিন মাসের শিশু সন্তান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত হয় ওই বাড়ির ১১ বছর বয়সী মেয়েটি।
ওই বাসভবন থেকে বের হওয়ার সময় পাশের একটি বাড়ির ৬২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকেও হত্যা করেন রিলে। পুলিশের ধারণা, ওই বৃদ্ধা সম্পর্কে মৃত ওই নারীর মা। তাছাড়া ওই পরিবারের কুকুরটিকেও গুলি করে হত্যা করেন তিনি।
এর মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন রিলে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছোঁড়ে। এর ফলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।’
ঠিক কী কারণে ব্রায়ান রিলে এমন একটি নৃশংস হামলা সংঘটিত করলেন- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে জাড বলেন, ‘রিলে মানসিক চাপ ও হতাশায় (পোস্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার) ভুগছিলেন। তার বান্ধবীর সঙ্গে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তার কথা হয়েছে। তিনি (বান্ধবী) জানিয়েছেন, গত বেশ কিছুদিন ধরেই অবসাদগ্রস্ত ছিলেন রিলে।’
ওই বান্ধবীর সঙ্গে চার বছর ধরে রিলের সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে জাড আরও বলেন, ‘গত প্রায় এক সপ্তাহ আগে তার মানসিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। হামলার দিন দু’য়েক আগে বান্ধবীর কাছে রিলে দাবি করেছিলেন, তিনি ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলেন।’