ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

ফ্লোটিলার মানবাধিকারকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় শ্রমিক সংগঠনের সমাবেশ

  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) প্রতিবাদ সমাবেশ -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ থেকে আটক মানবাধিকারকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি এবং সুমুদ ফ্লোটিলার প্রতি বাংলাদেশের শ্রমজীবীদের সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে দেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এই প্রতিবাদ সমাবেশ করে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ সমাবেশে বলেন, বাংলাদেশসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ মানবাধিকারকর্মী সুমুদ ফ্লোটিলা যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার বিধিমালা মেনে মানবাধিকারকর্মীরা গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের প্রধানদের সব নিবেদন উপেক্ষা করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বহরের জাহাজগুলোকে অপহরণ করেছে। মানবাধিকার কর্মীদেরও গ্রেফতার করেছে। তিনি বলেন, জাহাজগুলোতে নেতৃত্বদানকারী তরুণ মানবাধিকার কর্মী, পরিবেশকর্মীরসহ বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন মানবাধিকারকর্মী ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তাদের মধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, আমরা শুধু শ্রমিকদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামি না। শ্রমিকরা সবসময় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ইতালির শ্রমিকরা আন্দোলন করেন। ইতালি থেকে ইসরায়েলে যে অস্ত্র সরবরাহ হয় এবং যেসব জিনিসপত্র রফতানি হয়, তা বন্ধ করে দিয়েছে। সুতরাং, মানবাধিকার আন্দোলন শ্রমিক আন্দোলনের একটি অংশ।

সৈয়দ সুলতান বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন যেখানেই হবে, আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করবো- এটাই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার। কলোম্বিয়ার একজন নাগরিক ফ্লোটিলায় ছিলেন এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ জন্য কলোম্বিয়া তার ইসরায়েলি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে এবং চুক্তি ও ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই- অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে মিলে প্রতিবাদ এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যবস্থা করা হোক- যাতে সবাইকে মুক্ত করে নিয়ে আসা যায়।

বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আকতার চৌধুরী বলেন, ফিলিস্তিনে যে বর্বরতা চালানো হচ্ছে, এটার সঙ্গে শুধু ইসরায়েলিরা জড়িত নয়, এর সঙ্গে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরাও রয়েছে। তাদেরও বর্বরতার দায় বহন করতে হবে। তিনি বলেন, গাজায় যেভাবে নারী-শিশু নিহত হচ্ছে, এটা চূড়ান্তভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। গোটা পৃথিবী তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। সাম্রাজ্যবাদীরা মানবাধিকারের বড় বড় কথা বলে, কিন্তু গাজার এই বর্বরতায় তারা নিশ্চুপ। তিনি বলেন, যেসব মানবাধিকারকর্মী ত্রাণ নিয়ে গাজাবাসী ও ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন, তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আটক মানবাধিকারকর্মীদের ছেড়ে দেওয়া না হলে বাংলাদেশে আমাদের আন্দোলন আরো তীব্র হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের সদস্য সচিব সিকান্দার আলী এবং সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহসভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের যুগ্ম সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের সদস্য তৈয়বুর রহমান প্রমুখ।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ফ্লোটিলার মানবাধিকারকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় শ্রমিক সংগঠনের সমাবেশ

আপডেট সময় : ০৮:৫০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ থেকে আটক মানবাধিকারকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি এবং সুমুদ ফ্লোটিলার প্রতি বাংলাদেশের শ্রমজীবীদের সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে দেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এই প্রতিবাদ সমাবেশ করে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ সমাবেশে বলেন, বাংলাদেশসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ মানবাধিকারকর্মী সুমুদ ফ্লোটিলা যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার বিধিমালা মেনে মানবাধিকারকর্মীরা গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের প্রধানদের সব নিবেদন উপেক্ষা করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বহরের জাহাজগুলোকে অপহরণ করেছে। মানবাধিকার কর্মীদেরও গ্রেফতার করেছে। তিনি বলেন, জাহাজগুলোতে নেতৃত্বদানকারী তরুণ মানবাধিকার কর্মী, পরিবেশকর্মীরসহ বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন মানবাধিকারকর্মী ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তাদের মধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, আমরা শুধু শ্রমিকদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামি না। শ্রমিকরা সবসময় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ইতালির শ্রমিকরা আন্দোলন করেন। ইতালি থেকে ইসরায়েলে যে অস্ত্র সরবরাহ হয় এবং যেসব জিনিসপত্র রফতানি হয়, তা বন্ধ করে দিয়েছে। সুতরাং, মানবাধিকার আন্দোলন শ্রমিক আন্দোলনের একটি অংশ।

সৈয়দ সুলতান বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন যেখানেই হবে, আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করবো- এটাই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার। কলোম্বিয়ার একজন নাগরিক ফ্লোটিলায় ছিলেন এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ জন্য কলোম্বিয়া তার ইসরায়েলি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে এবং চুক্তি ও ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই- অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে মিলে প্রতিবাদ এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যবস্থা করা হোক- যাতে সবাইকে মুক্ত করে নিয়ে আসা যায়।

বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আকতার চৌধুরী বলেন, ফিলিস্তিনে যে বর্বরতা চালানো হচ্ছে, এটার সঙ্গে শুধু ইসরায়েলিরা জড়িত নয়, এর সঙ্গে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরাও রয়েছে। তাদেরও বর্বরতার দায় বহন করতে হবে। তিনি বলেন, গাজায় যেভাবে নারী-শিশু নিহত হচ্ছে, এটা চূড়ান্তভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। গোটা পৃথিবী তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। সাম্রাজ্যবাদীরা মানবাধিকারের বড় বড় কথা বলে, কিন্তু গাজার এই বর্বরতায় তারা নিশ্চুপ। তিনি বলেন, যেসব মানবাধিকারকর্মী ত্রাণ নিয়ে গাজাবাসী ও ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন, তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আটক মানবাধিকারকর্মীদের ছেড়ে দেওয়া না হলে বাংলাদেশে আমাদের আন্দোলন আরো তীব্র হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের সদস্য সচিব সিকান্দার আলী এবং সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহসভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের যুগ্ম সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের সদস্য তৈয়বুর রহমান প্রমুখ।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ