ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

ফ্রিজ ছাড়াই ফল-সবজি তাজা রাখার উপায়

  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরিস্থিতিতে ঘনঘন বাজারে না যাওয়াই ভাল। অনেকেই ফল-সবজি একটু বেশি করে ফ্রিজে কিনে রাখছেন। হঠাৎ ফ্রিজ নষ্ট হয়ে গেলে বা একসাথে বেশি জিনিস কেনা হয়ে গেলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ারও ভয় থাকে। আবার অনেক সময়ে দেখা যায়, কিছু কিছু ফলের স্বাদ যেন নষ্ট হয়ে যায় দিনের পর দিন ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিলে। অথচ বাইরে রাখলে সেটি তাজা থাকবে কি না, তা বুঝেই ওঠা যায় না। ফ্রিজ ছাড়াও দিব্যি তাজা রাখা যায় সব্জি আর ফল। শুধু জানতে হবে উপায়।
আলু, পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো ফ্রিজে রাখলেই স্বাদ হারায়। কিন্তু সে সব জিনিস তাজা রাখতে হলে যে কোনও জায়গায় রেখে দিলেই হল না। একটি শুকনো জায়গায় রাখতে হবে। আর খেয়াল করতে হবে যেন, রোদ বা আগুনের তাপ বেশি না যায় সেখানে।
আলু আর পেঁয়াজ কখনও একসঙ্গে রাখবেন না, নইলে দুটোই তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। আলুর ঝুড়িতে ভরে খাট বা সোফার তলায় রাখুন।
পেঁয়াজ-রসুন ভাল থাকে কাগজের ব্যাগে। তবে পেঁয়াজ রাখার গায়ে অবশ্যই বেশ কয়েকটা ফুটো করে নেবেন। তাহলে স্বাভাবিক বাতাস চলাচল করবে ও পেঁয়াজ-রসুন বেশি দিন ভাল থাকবে। টমেটো ফ্রিজে রাখলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। টমেটোকে একটা কাঠের ট্রেতে রাখুন। অবশ্যই বোঁটার দিকটা নীচের দিকে রেখে টমেটো মজুদ করুন। অথবা বাইরের কোনও ঝুড়িতেও টমোটো রাখতে পারেন।
কলা যেমন কালো হয়ে যায়, তেমন স্বাদও চলে যেতে পারে ফ্রিজে রেখে দিলে। তাই রাখতে হবে বাইরেই। কিন্তু খেয়াল রাখুন, আম, কলা, নাশপাতি যেন একসঙ্গে না থাকে। তবে সব ক’টি ফলই দ্রুত পচে যাবে।
অন্য ফলের চেয়ে আপেল ও কলাতে বেশি পরিমাণ ইথিলিন (এক ধরনের হরমোন যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে) থাকে। এ দুটো ফল এর আশেপাশে রাখা ফলগুলোকে দ্রুত পাকিয়ে ফেলতে পারে। ফলের ঝুড়ি থেকে আপেল ও কলাকে তাই আলাদা করে রাখুন। আঙুর কিংবা স্ট্রবেরি ফ্রিজের বাইরে রাখলে স্বাদ ভালই থাকে। কিন্তু দিন কয়েক তাজা রাখতে হলে জানতে হবে একটি ফিকির। কখনও এই ফলগুলো ধুয়ে রাখবেন না। তা হলেই বাড়ে ছাতা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এমনি রেখে দেবেন। খাওয়ার আগে ধুয়ে নেবেন। শাক-পাতা তাড়াতাড়ি নেতিয়ে যায়। কালচে ভাবও দেখা দেয়। এর জন্য যে কোনও শাক তাজা রাখতে হলে তা না ধুয়ে কোনও প্যাকেটে মুড়িয়ে রাখুন। সেই প্যাকেটে যেন বেশি হাওয়া না ঢোকে, দেখবেন। অনেকে শাক পানিতে ধুয়ে সংরক্ষণ রাখেন। কিন্তু শাক টাটকা রাখতে চাইলে বাড়িতে নিয়ে আসার পরে পানিতে ধোয়ার কোনো প্রয়োজনই নাই। বরং ঝুড়িতে ভরে অন্ধকার অথচ বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখুন। রান্না করার আগে ধুয়ে নিলেই হবে। কমলালেবু, মুসাম্বি রাখতে হবে শুকনো জায়গায়। খেয়াল রাখুন যেন সেই জায়গায় সরাসরি রোদ না পড়ে। তা হলেই তাজা থাকবে এই সব ফল। সাধারণত বাজার থেকে ক্রয় করার কিছুদিন পরেই কাঁচা মরিচ নরম হয়ে যায়। একারণে বায়ুরুদ্ধ কোনো পাত্রে কাঁচা মরিচ রাখা উচিত। তারপর সেই পাত্রটি একটি নরম কাপড়ের ওপরে রেখে দিবেন। এভাবে রাখলে মরিচ নষ্ট হয় না। মাশরুম প্লাস্টিকের ব্যাগ ও বক্স থেকে আলাদা রাখুন। এসবের পরিবর্তে কাগজ এমনকি খবরে কাগজের উপর রাখা যেতে পারে। কাগজ আদ্রতা শুষে নেয় ও মাশরুমকে সজীব রাখে। প্রতিদিন বাজারে বেশি করে জিনিস কিনতে গিয়ে চোখের সামনে যা দেখবেন, তা-ই কিনে না ফেলাই বাঞ্ছনীয়। বুঝে বাজার করুন। তাহলে ফল-সবজি বেশিদিন সতেজ রাখার জন্য কোনও বাড়তি চাপে পড়তে হবে না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফ্রিজ ছাড়াই ফল-সবজি তাজা রাখার উপায়

আপডেট সময় : ১১:৫৮:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরিস্থিতিতে ঘনঘন বাজারে না যাওয়াই ভাল। অনেকেই ফল-সবজি একটু বেশি করে ফ্রিজে কিনে রাখছেন। হঠাৎ ফ্রিজ নষ্ট হয়ে গেলে বা একসাথে বেশি জিনিস কেনা হয়ে গেলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ারও ভয় থাকে। আবার অনেক সময়ে দেখা যায়, কিছু কিছু ফলের স্বাদ যেন নষ্ট হয়ে যায় দিনের পর দিন ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিলে। অথচ বাইরে রাখলে সেটি তাজা থাকবে কি না, তা বুঝেই ওঠা যায় না। ফ্রিজ ছাড়াও দিব্যি তাজা রাখা যায় সব্জি আর ফল। শুধু জানতে হবে উপায়।
আলু, পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো ফ্রিজে রাখলেই স্বাদ হারায়। কিন্তু সে সব জিনিস তাজা রাখতে হলে যে কোনও জায়গায় রেখে দিলেই হল না। একটি শুকনো জায়গায় রাখতে হবে। আর খেয়াল করতে হবে যেন, রোদ বা আগুনের তাপ বেশি না যায় সেখানে।
আলু আর পেঁয়াজ কখনও একসঙ্গে রাখবেন না, নইলে দুটোই তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। আলুর ঝুড়িতে ভরে খাট বা সোফার তলায় রাখুন।
পেঁয়াজ-রসুন ভাল থাকে কাগজের ব্যাগে। তবে পেঁয়াজ রাখার গায়ে অবশ্যই বেশ কয়েকটা ফুটো করে নেবেন। তাহলে স্বাভাবিক বাতাস চলাচল করবে ও পেঁয়াজ-রসুন বেশি দিন ভাল থাকবে। টমেটো ফ্রিজে রাখলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। টমেটোকে একটা কাঠের ট্রেতে রাখুন। অবশ্যই বোঁটার দিকটা নীচের দিকে রেখে টমেটো মজুদ করুন। অথবা বাইরের কোনও ঝুড়িতেও টমোটো রাখতে পারেন।
কলা যেমন কালো হয়ে যায়, তেমন স্বাদও চলে যেতে পারে ফ্রিজে রেখে দিলে। তাই রাখতে হবে বাইরেই। কিন্তু খেয়াল রাখুন, আম, কলা, নাশপাতি যেন একসঙ্গে না থাকে। তবে সব ক’টি ফলই দ্রুত পচে যাবে।
অন্য ফলের চেয়ে আপেল ও কলাতে বেশি পরিমাণ ইথিলিন (এক ধরনের হরমোন যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে) থাকে। এ দুটো ফল এর আশেপাশে রাখা ফলগুলোকে দ্রুত পাকিয়ে ফেলতে পারে। ফলের ঝুড়ি থেকে আপেল ও কলাকে তাই আলাদা করে রাখুন। আঙুর কিংবা স্ট্রবেরি ফ্রিজের বাইরে রাখলে স্বাদ ভালই থাকে। কিন্তু দিন কয়েক তাজা রাখতে হলে জানতে হবে একটি ফিকির। কখনও এই ফলগুলো ধুয়ে রাখবেন না। তা হলেই বাড়ে ছাতা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এমনি রেখে দেবেন। খাওয়ার আগে ধুয়ে নেবেন। শাক-পাতা তাড়াতাড়ি নেতিয়ে যায়। কালচে ভাবও দেখা দেয়। এর জন্য যে কোনও শাক তাজা রাখতে হলে তা না ধুয়ে কোনও প্যাকেটে মুড়িয়ে রাখুন। সেই প্যাকেটে যেন বেশি হাওয়া না ঢোকে, দেখবেন। অনেকে শাক পানিতে ধুয়ে সংরক্ষণ রাখেন। কিন্তু শাক টাটকা রাখতে চাইলে বাড়িতে নিয়ে আসার পরে পানিতে ধোয়ার কোনো প্রয়োজনই নাই। বরং ঝুড়িতে ভরে অন্ধকার অথচ বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখুন। রান্না করার আগে ধুয়ে নিলেই হবে। কমলালেবু, মুসাম্বি রাখতে হবে শুকনো জায়গায়। খেয়াল রাখুন যেন সেই জায়গায় সরাসরি রোদ না পড়ে। তা হলেই তাজা থাকবে এই সব ফল। সাধারণত বাজার থেকে ক্রয় করার কিছুদিন পরেই কাঁচা মরিচ নরম হয়ে যায়। একারণে বায়ুরুদ্ধ কোনো পাত্রে কাঁচা মরিচ রাখা উচিত। তারপর সেই পাত্রটি একটি নরম কাপড়ের ওপরে রেখে দিবেন। এভাবে রাখলে মরিচ নষ্ট হয় না। মাশরুম প্লাস্টিকের ব্যাগ ও বক্স থেকে আলাদা রাখুন। এসবের পরিবর্তে কাগজ এমনকি খবরে কাগজের উপর রাখা যেতে পারে। কাগজ আদ্রতা শুষে নেয় ও মাশরুমকে সজীব রাখে। প্রতিদিন বাজারে বেশি করে জিনিস কিনতে গিয়ে চোখের সামনে যা দেখবেন, তা-ই কিনে না ফেলাই বাঞ্ছনীয়। বুঝে বাজার করুন। তাহলে ফল-সবজি বেশিদিন সতেজ রাখার জন্য কোনও বাড়তি চাপে পড়তে হবে না।