ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

ফ্রান্সে স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার বিল অনুমোদিত

  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক: ফ্রান্সের আইনসভার নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার বিষয়ে একটি বিল অনুমোদন দিয়েছে। এ পদক্ষেপকে দেশটিতে সংশ্লিষ্ট আইন পাসের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

জাতীয় পরিষদে এক ভোটাভুটিতে ৩০৫ জন আইনপ্রণেতা বিলটির পক্ষে ভোট দেন, বিপক্ষে ভোট দেন ১৯৯ জন।

নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে একজন রোগী নিজে বা চিকিৎসা সহায়তাকারীর মাধ্যমে তার জীবনের অবসান ঘটানোর অনুমতি পাবেন-এমন প্রস্তাব রাখা হয়েছে বিলটিতে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বিলে সমর্থন দিয়েছেন। তবে রক্ষণশীল কয়েকটি গোষ্ঠী বিলটি নিয়ে আপত্তি তুলেছে।

পরবর্তী আলোচনার জন্য বিলটি এখন আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। ফ্রান্সের দীর্ঘ ও জটিল পার্লামেন্টারি প্রক্রিয়ার কারণে এ বিলের ওপর চূড়ান্ত ভোটের সময় নির্ধারণে কয়েক মাস লাগতে পারে। তবে উভয় কক্ষ একমত হতে না পারলে সিনেটকে উপেক্ষা করে জাতীয় পরিষদ নিজেই কোনো বিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

আইন পাসের প্রক্রিয়া যত জটিল বা সময়সাপেক্ষই হোক, বিলটি শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, জরিপে দেখা গেছে, ফ্রান্সের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ এমন আইনকে সমর্থন করেন; যা মারাত্মক অসুস্থ বা দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণায় ভোগা রোগীদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার দেয়।

প্রস্তাবিত বিলে নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে সহায়তাপূর্ণ মৃত্যু ঘটাতে প্রাণঘাতী ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার কথা রয়েছে। শর্তপূরণ সাপেক্ষে কোনো রোগী নিজে থেকে ওষুধ নিতে বা যদি শারীরিক অবস্থার কারণে নিজে নিতে না পারেন, তাহলে চিকিৎসক বা নার্সের সাহায্য নিতে পারবেন।

স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার পেতে রোগীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের উপর এবং তাকে ফ্রান্সের নাগরিক বা ফ্রান্সে বসবাসকারী হতে হবে বলে বিলে উল্লেখ করা আছে।

রোগী গুরুতর মানসিক রোগে আক্রান্ত ও আলঝেইমারের মতো স্নায়ুক্ষয়জনিত ব্যাধিতে ভোগা ব্যক্তিরা এ আইনের আওতায় যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। তাই এ ধরনের ব্যক্তিরা স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফ্রান্সে স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার বিল অনুমোদিত

আপডেট সময় : ০৮:১৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক: ফ্রান্সের আইনসভার নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার বিষয়ে একটি বিল অনুমোদন দিয়েছে। এ পদক্ষেপকে দেশটিতে সংশ্লিষ্ট আইন পাসের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

জাতীয় পরিষদে এক ভোটাভুটিতে ৩০৫ জন আইনপ্রণেতা বিলটির পক্ষে ভোট দেন, বিপক্ষে ভোট দেন ১৯৯ জন।

নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে একজন রোগী নিজে বা চিকিৎসা সহায়তাকারীর মাধ্যমে তার জীবনের অবসান ঘটানোর অনুমতি পাবেন-এমন প্রস্তাব রাখা হয়েছে বিলটিতে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বিলে সমর্থন দিয়েছেন। তবে রক্ষণশীল কয়েকটি গোষ্ঠী বিলটি নিয়ে আপত্তি তুলেছে।

পরবর্তী আলোচনার জন্য বিলটি এখন আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। ফ্রান্সের দীর্ঘ ও জটিল পার্লামেন্টারি প্রক্রিয়ার কারণে এ বিলের ওপর চূড়ান্ত ভোটের সময় নির্ধারণে কয়েক মাস লাগতে পারে। তবে উভয় কক্ষ একমত হতে না পারলে সিনেটকে উপেক্ষা করে জাতীয় পরিষদ নিজেই কোনো বিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

আইন পাসের প্রক্রিয়া যত জটিল বা সময়সাপেক্ষই হোক, বিলটি শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, জরিপে দেখা গেছে, ফ্রান্সের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ এমন আইনকে সমর্থন করেন; যা মারাত্মক অসুস্থ বা দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণায় ভোগা রোগীদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার দেয়।

প্রস্তাবিত বিলে নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে সহায়তাপূর্ণ মৃত্যু ঘটাতে প্রাণঘাতী ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার কথা রয়েছে। শর্তপূরণ সাপেক্ষে কোনো রোগী নিজে থেকে ওষুধ নিতে বা যদি শারীরিক অবস্থার কারণে নিজে নিতে না পারেন, তাহলে চিকিৎসক বা নার্সের সাহায্য নিতে পারবেন।

স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার পেতে রোগীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের উপর এবং তাকে ফ্রান্সের নাগরিক বা ফ্রান্সে বসবাসকারী হতে হবে বলে বিলে উল্লেখ করা আছে।

রোগী গুরুতর মানসিক রোগে আক্রান্ত ও আলঝেইমারের মতো স্নায়ুক্ষয়জনিত ব্যাধিতে ভোগা ব্যক্তিরা এ আইনের আওতায় যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। তাই এ ধরনের ব্যক্তিরা স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ