ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

ফ্রান্সে নববর্ষে পুড়ল ৮৭৪ গাড়ি

  • আপডেট সময় : ১২:০৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে ফ্রান্সে ৮৭৪টি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বর্ষবরণের পুরোনো রীতি অনুসরণ করে গাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০০৫ সালে ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে বর্ষবরণের সময় গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা যেন বার্ষিক রীতিতে পরিণত হয়েছে। তবে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, করোনার বিধিনিষেধ জারি থাকায় আগের বছরগুলোর তুলনায় এ বছর গাড়ি পোড়ানোর সংখ্যা কমেছে।
গত শনিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির আগে ২০১৯ সালে ১ হাজার ৩১৬টি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর গত বছর বর্ষবরণের সময় করোনা পরিস্থিতি চলায় এবং কারফিউ জারি থাকায় বর্ষবরণের সময় গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা তেমন একটা দেখা যায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় এ বছর বেশিসংখ্যক মানুষকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে। গতকাল ৪৪১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২০১৯ সালে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা মানুষের সংখ্যা ছিল ৩৭৬।
সিএনএন-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা স্ট্রাসবুর্গে ৩১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, এর মধ্যে ৬টি শিশু রয়েছে। কারফিউ ভঙ্গ করার কারণে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর বাকিদের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। স্ট্রাসবুর্গ কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারজন পুলিশ কর্মকর্তা সামান্য আহত হন।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এবার নববর্ষ উদ্যাপনের সহিংস পরিস্থিতি ঠেকাতে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর প্রায় ৯৫ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল, এর মধ্যে ৩২ হাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন। এদিকে ফ্রান্সে করোনার বিধিনিষেধ আংশিক প্রত্যাহার করা হলেও অমিক্রনকে কেন্দ্র করে এ মাসে নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ৩ জানুয়ারি থেকে আবদ্ধ কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই হাজারের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাঁদের পক্ষে বাড়িতে থেকে অফিস করা সম্ভব হবে, তাঁদের জন্য তা করা বাধ্যতামূলক করা হবে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্যারিসে আবারও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক না পরায় সেখানে ৭৭৯ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফ্রান্সে নববর্ষে পুড়ল ৮৭৪ গাড়ি

আপডেট সময় : ১২:০৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে ফ্রান্সে ৮৭৪টি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বর্ষবরণের পুরোনো রীতি অনুসরণ করে গাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০০৫ সালে ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে বর্ষবরণের সময় গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা যেন বার্ষিক রীতিতে পরিণত হয়েছে। তবে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, করোনার বিধিনিষেধ জারি থাকায় আগের বছরগুলোর তুলনায় এ বছর গাড়ি পোড়ানোর সংখ্যা কমেছে।
গত শনিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির আগে ২০১৯ সালে ১ হাজার ৩১৬টি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর গত বছর বর্ষবরণের সময় করোনা পরিস্থিতি চলায় এবং কারফিউ জারি থাকায় বর্ষবরণের সময় গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা তেমন একটা দেখা যায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় এ বছর বেশিসংখ্যক মানুষকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে। গতকাল ৪৪১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২০১৯ সালে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা মানুষের সংখ্যা ছিল ৩৭৬।
সিএনএন-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা স্ট্রাসবুর্গে ৩১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, এর মধ্যে ৬টি শিশু রয়েছে। কারফিউ ভঙ্গ করার কারণে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর বাকিদের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। স্ট্রাসবুর্গ কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারজন পুলিশ কর্মকর্তা সামান্য আহত হন।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এবার নববর্ষ উদ্যাপনের সহিংস পরিস্থিতি ঠেকাতে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর প্রায় ৯৫ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল, এর মধ্যে ৩২ হাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন। এদিকে ফ্রান্সে করোনার বিধিনিষেধ আংশিক প্রত্যাহার করা হলেও অমিক্রনকে কেন্দ্র করে এ মাসে নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ৩ জানুয়ারি থেকে আবদ্ধ কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই হাজারের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাঁদের পক্ষে বাড়িতে থেকে অফিস করা সম্ভব হবে, তাঁদের জন্য তা করা বাধ্যতামূলক করা হবে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্যারিসে আবারও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক না পরায় সেখানে ৭৭৯ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।