ঢাকা ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

ফ্রান্সে ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট মাখোঁ

  • আপডেট সময় : ০২:০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ফ্রান্সে দুই দশকে টানা দুই বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন এমানুয়েল মাখোঁ। প্রতিদ্বন্দ্বী মেরিন লে পেনের বিরুদ্ধে জয় লাভ করে আরও পাঁচ বছরের জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাখোঁ, যিনি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে এমানুয়েল মাখোঁ পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী লে পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মাখোঁর এ ভোট প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। খবর বিবিসির। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর মধ্যপন্থী নেতা মাখোঁ আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে উল্লসিত সমর্থকদের বলেছিলেন, এখন নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে, তিনি সকলের প্রেসিডেন্ট হবেন।
২০১৭ সালে দ্বিতীয় দফা ভোটেও মাখোঁর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন উগ্র ডানপন্থী অভিবাসন বিরোধী মেরিন লে পেন।
গত রোববার দেশটিতে চূড়ান্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফা নির্বাচন শেষে রবিবার চূড়ান্ত ধাপের ভোটে আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের এমানুয়েল মাখোঁকেই বেছে নিল ফ্র্যান্সের জনগণ। এর আগে গত ১০ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম দফার নির্বাচনে ১২ প্রার্থী অংশ নেন। এদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ প্রথম রাউন্ডে ২৯ শতাংশ এবং ম্যারিন লা পেন ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।
মাখোঁর বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা, যারা ভয় পেয়েছিলেন যে একজন অতি-ডানপন্থী প্রার্থী ইইউ-বিরোধী নীতির একটি সিরিজ প্রস্তাব করছে।
‘আমরা একসঙ্গে ফ্রান্স এবং ইউরোপকে এগিয়ে নিয়ে যাব,’ বলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, যিনি মাখোঁকে সমর্থন করার জন্য ফরাসি ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছিলেন, তার সেই ‘সত্যিকারের বন্ধু’কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তিনি একটি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ ইউরোপের অপেক্ষায় রয়েছেন। তার জয়কে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হত্যার দায় এড়াতে পারি না, আমাদের ব্যর্থতা আছে

ফ্রান্সে ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট মাখোঁ

আপডেট সময় : ০২:০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ফ্রান্সে দুই দশকে টানা দুই বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন এমানুয়েল মাখোঁ। প্রতিদ্বন্দ্বী মেরিন লে পেনের বিরুদ্ধে জয় লাভ করে আরও পাঁচ বছরের জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাখোঁ, যিনি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে এমানুয়েল মাখোঁ পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী লে পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মাখোঁর এ ভোট প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। খবর বিবিসির। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর মধ্যপন্থী নেতা মাখোঁ আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে উল্লসিত সমর্থকদের বলেছিলেন, এখন নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে, তিনি সকলের প্রেসিডেন্ট হবেন।
২০১৭ সালে দ্বিতীয় দফা ভোটেও মাখোঁর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন উগ্র ডানপন্থী অভিবাসন বিরোধী মেরিন লে পেন।
গত রোববার দেশটিতে চূড়ান্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফা নির্বাচন শেষে রবিবার চূড়ান্ত ধাপের ভোটে আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের এমানুয়েল মাখোঁকেই বেছে নিল ফ্র্যান্সের জনগণ। এর আগে গত ১০ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম দফার নির্বাচনে ১২ প্রার্থী অংশ নেন। এদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ প্রথম রাউন্ডে ২৯ শতাংশ এবং ম্যারিন লা পেন ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।
মাখোঁর বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা, যারা ভয় পেয়েছিলেন যে একজন অতি-ডানপন্থী প্রার্থী ইইউ-বিরোধী নীতির একটি সিরিজ প্রস্তাব করছে।
‘আমরা একসঙ্গে ফ্রান্স এবং ইউরোপকে এগিয়ে নিয়ে যাব,’ বলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, যিনি মাখোঁকে সমর্থন করার জন্য ফরাসি ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছিলেন, তার সেই ‘সত্যিকারের বন্ধু’কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তিনি একটি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ ইউরোপের অপেক্ষায় রয়েছেন। তার জয়কে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও।