ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

ফ্রান্সের কাছ থেকে ১০০ রাফায়েল যুদ্ধবিমান পাচ্ছে ইউক্রেন

  • আপডেট সময় : ১১:১৯:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার ভয়াবহ আক্রমণ থেকে নিজেদের আত্মরক্ষার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি বড় চুক্তির আওতায় ফ্রান্সের তৈরি ১০০টি রাফায়েল এফ-৪ যুদ্ধবিমান এবং উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাচ্ছে ইউক্রেন। প্যারিসের কাছে একটি বিমান ঘাঁটিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে একটি সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করার পর এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

আগামী ১০ বছর ধরে দেওয়া হবে এসব যুদ্ধবিমান ও সামরিক সরঞ্জাম। গতকাল সোমাবর ফ্রান্সের ভিল্লাকুব্লে শহরের সামরিক বিমানবন্দরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির মধ্যে এ ইস্যুতে চুক্তি হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং বৃহৎ একটি এয়ার ডিফেন্স পেতে যাচ্ছি।’

এমন এক সময়ে ফ্রান্স এবং ইউক্রেনের মধ্যে এই চুক্তি হলো যখন ইউক্রেনের ঝাপোরিজ্জিয়া প্রদেশে রুশ এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। ইউক্রেনীয় সামরিক বিশ্লেষক সেরহি কুজহান বিবিসিকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া প্রতি মাসে ইউক্রেনে গড়ে ৬০০ বা তারও বেশি গ্লাইড বোমা নিক্ষেপ করছে।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের যুদ্ধবিমান এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম খুব প্রয়োজন ছিল। ফ্রান্সের কাছ থেকে যে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাওয়া যাবে, সেটির রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ রকেট, বোমা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে এলে এটি সেগুলো ধ্বংস করতে পারবে। রাশিয়া বর্তমানে যে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করছে, সেটির রেঞ্জ ২৩০ কিলোমিটার।.

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর এলিসি প্রাসাদ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই চুক্তি কেবল একটি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত সমঝোতা নয়, বরং একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অংশ। এই প্রতিশ্রুতির অপর অংশ হলো রাশিয়ার ফ্রিজ করা অর্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা।

ভিল্লাকুব্লে শহরে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনকে ১০০ রাফায়েল প্রদানের পরিকল্পনা নিয়েছি। এটা একটা বিশাল ব্যাপার। আমরা মনে করি, আমাদের রাফায়েল, ড্রোন, গোলাবারুদ এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইউক্রেনীয় সেনাবাহনীকে আরো সংগঠিত করে তুলবে।’

প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের তৈরি রাফায়েল বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও শক্তিশালী যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে একটি। পঞ্চম প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমানের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার এবং এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ফুট ওপরে উঠতে সক্ষম। এই যুদ্ধবিমান একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে ও একাধিক ভারী মেশিনগান সজ্জিত।

সূত্র : রয়টার্স

এসি/আপ্র/১৮/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ফ্রান্সের কাছ থেকে ১০০ রাফায়েল যুদ্ধবিমান পাচ্ছে ইউক্রেন

আপডেট সময় : ১১:১৯:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার ভয়াবহ আক্রমণ থেকে নিজেদের আত্মরক্ষার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি বড় চুক্তির আওতায় ফ্রান্সের তৈরি ১০০টি রাফায়েল এফ-৪ যুদ্ধবিমান এবং উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাচ্ছে ইউক্রেন। প্যারিসের কাছে একটি বিমান ঘাঁটিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে একটি সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করার পর এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

আগামী ১০ বছর ধরে দেওয়া হবে এসব যুদ্ধবিমান ও সামরিক সরঞ্জাম। গতকাল সোমাবর ফ্রান্সের ভিল্লাকুব্লে শহরের সামরিক বিমানবন্দরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির মধ্যে এ ইস্যুতে চুক্তি হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং বৃহৎ একটি এয়ার ডিফেন্স পেতে যাচ্ছি।’

এমন এক সময়ে ফ্রান্স এবং ইউক্রেনের মধ্যে এই চুক্তি হলো যখন ইউক্রেনের ঝাপোরিজ্জিয়া প্রদেশে রুশ এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। ইউক্রেনীয় সামরিক বিশ্লেষক সেরহি কুজহান বিবিসিকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া প্রতি মাসে ইউক্রেনে গড়ে ৬০০ বা তারও বেশি গ্লাইড বোমা নিক্ষেপ করছে।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের যুদ্ধবিমান এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম খুব প্রয়োজন ছিল। ফ্রান্সের কাছ থেকে যে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাওয়া যাবে, সেটির রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ রকেট, বোমা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে এলে এটি সেগুলো ধ্বংস করতে পারবে। রাশিয়া বর্তমানে যে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করছে, সেটির রেঞ্জ ২৩০ কিলোমিটার।.

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর এলিসি প্রাসাদ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই চুক্তি কেবল একটি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত সমঝোতা নয়, বরং একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অংশ। এই প্রতিশ্রুতির অপর অংশ হলো রাশিয়ার ফ্রিজ করা অর্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা।

ভিল্লাকুব্লে শহরে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনকে ১০০ রাফায়েল প্রদানের পরিকল্পনা নিয়েছি। এটা একটা বিশাল ব্যাপার। আমরা মনে করি, আমাদের রাফায়েল, ড্রোন, গোলাবারুদ এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইউক্রেনীয় সেনাবাহনীকে আরো সংগঠিত করে তুলবে।’

প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের তৈরি রাফায়েল বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও শক্তিশালী যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে একটি। পঞ্চম প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমানের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার এবং এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ফুট ওপরে উঠতে সক্ষম। এই যুদ্ধবিমান একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে ও একাধিক ভারী মেশিনগান সজ্জিত।

সূত্র : রয়টার্স

এসি/আপ্র/১৮/১১/২০২৫