ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

ফ্রান্সের আশা গুঁড়িয়ে ক্রোয়াটদের ঐতিহাসিক জয়

  • আপডেট সময় : ১০:১০:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচ শুরু হতেই ভুল করে বসে ফ্রান্স, এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। গোল শোধে দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা, করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। তবে এবার আর ক্রোয়াটদের দেয়াল ভাঙতে পারেনি তারা। শুরুর সেই ব্যবধান শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে ফরাসিদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের আনন্দে ভাসে ক্রোয়েশিয়া।
উয়েফা নেশন্স লিগে সোমবারের ম্যাচে ফ্রান্সকে তাদেরই মাঠে ১-০ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। একমাত্র গোলটি করেন লুকা মদ্রিচ। এই হারে টুর্নামেন্টের শিরোপা ধরে রাখার আশাও শেষ হয়ে গেল ফ্রান্সের। ১৯৯৮ সালের ৮ জুলাই, বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই যে এক হার দিয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়হীন পথচলা শুরু হয়েছিল ক্রোয়েশিয়ার, দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর পর অপেক্ষা ফুরাল তাদের। দল দুটির আগের ৯ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ফ্রান্সের জয় ৬টি, বাকি ৩টি ড্র। এতগুলো হারের মধ্যে ক্রোয়েশিয়ার জন্য নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে যন্ত্রনাদায়ক ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল। রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে তাদেরকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দিদিয়ে দেশমের দল। গত সপ্তাহে এবারের নেশন্স লিগে প্রথম দেখা হয়েছিল দল দুটির। ওই ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টি গোলে হার এড়িয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। এবার স্পট কিকেই পেল জয়।তিন দিন আগে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে কোনোমতে হার এড়ানো ফ্রান্স এদিন পঞ্চম মিনিটেই গোল খেয়ে বসে। তাদের ডি-বক্সে আন্তে বুদিমিরি ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজে। মদ্রিচের জোরাল স্পট কিকে গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ বলে হাত লাগালেও রুখতে পারেননি।
দুই মিনিট পর দূর থেকে চেষ্টা করেন অস্ট্রিয়া ম্যাচে দলকে বাঁচানো এমবাপে। কিন্তু শটটা গোলরক্ষকের আয়ত্তের বাইরে নিতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে দুই দল কেবল অগোছালো, ধারহীন আক্রমণ করে গেছে। তাইতো প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে সত্যিকারের পরীক্ষা নিতে পারেনি কেউ। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে বল নিয়ে দারুণ কারিকুরিতে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন বেনজেমা। তবে প্রতিপক্ষ ঘিরে রাখায় শট নেওয়ার জায়গা বের করতে পারেননি তিনি, শেষে বলও হারিয়ে ফেলেন। পরের মিনিটে এমবাপের আরেকটি দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চাপ সামলে পাল্টা আক্রমণে ৭১তম মিনিটে ভীতি ছড়ায় ক্রোয়েশিয়া। তবে লোভরো মাইয়েরের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি মিয়াঁ। শেষ দিকে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ফ্রান্স। ভালো সুযোগও পায় তারা, কিন্তু ব্যর্থতার জাল ছিঁড়তে পারেনি কেউ। একেবারে শেষ সময়ে ইব্রাহিমা কোনাতের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে আরও একবার হতাশায় মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। গত বছরে নভেম্বরে এই নেশন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল তারা। গত মার্চের দুই প্রীতি ম্যাচেও দারুণ পারফরম্যান্সে জিতেছিল দলটি। সেই তারাই কিনা নেশন্স লিগে তৃতীয় আসরে এসে জিততে ভুলে গেছে। চার ম্যাচ খেলে জিততে পারল না একটিতেও। ডেনমার্কের বিপক্ষে হেরে আসর শুরুর পর গত দুই ম্যাচে ড্র করেছিল ফ্রান্স। প্যারিসে ‘এ’ লিগের ১ নম্বর গ্রুপে ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে তারা। তাদের গ্রুপ সেরা হয়ে ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ। দিনের আরেক ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ২-০ গোলে হারানো ডেনমার্ক তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ক্রোয়েশিয়া। তিন নম্বরে অস্ট্রিয়ার পয়েন্ট ৪, তাদেরও ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা এখনও টিকে আছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

ফ্রান্সের আশা গুঁড়িয়ে ক্রোয়াটদের ঐতিহাসিক জয়

আপডেট সময় : ১০:১০:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচ শুরু হতেই ভুল করে বসে ফ্রান্স, এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। গোল শোধে দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা, করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। তবে এবার আর ক্রোয়াটদের দেয়াল ভাঙতে পারেনি তারা। শুরুর সেই ব্যবধান শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে ফরাসিদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের আনন্দে ভাসে ক্রোয়েশিয়া।
উয়েফা নেশন্স লিগে সোমবারের ম্যাচে ফ্রান্সকে তাদেরই মাঠে ১-০ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। একমাত্র গোলটি করেন লুকা মদ্রিচ। এই হারে টুর্নামেন্টের শিরোপা ধরে রাখার আশাও শেষ হয়ে গেল ফ্রান্সের। ১৯৯৮ সালের ৮ জুলাই, বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই যে এক হার দিয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়হীন পথচলা শুরু হয়েছিল ক্রোয়েশিয়ার, দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর পর অপেক্ষা ফুরাল তাদের। দল দুটির আগের ৯ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ফ্রান্সের জয় ৬টি, বাকি ৩টি ড্র। এতগুলো হারের মধ্যে ক্রোয়েশিয়ার জন্য নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে যন্ত্রনাদায়ক ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল। রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে তাদেরকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দিদিয়ে দেশমের দল। গত সপ্তাহে এবারের নেশন্স লিগে প্রথম দেখা হয়েছিল দল দুটির। ওই ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টি গোলে হার এড়িয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। এবার স্পট কিকেই পেল জয়।তিন দিন আগে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে কোনোমতে হার এড়ানো ফ্রান্স এদিন পঞ্চম মিনিটেই গোল খেয়ে বসে। তাদের ডি-বক্সে আন্তে বুদিমিরি ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজে। মদ্রিচের জোরাল স্পট কিকে গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ বলে হাত লাগালেও রুখতে পারেননি।
দুই মিনিট পর দূর থেকে চেষ্টা করেন অস্ট্রিয়া ম্যাচে দলকে বাঁচানো এমবাপে। কিন্তু শটটা গোলরক্ষকের আয়ত্তের বাইরে নিতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে দুই দল কেবল অগোছালো, ধারহীন আক্রমণ করে গেছে। তাইতো প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে সত্যিকারের পরীক্ষা নিতে পারেনি কেউ। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে বল নিয়ে দারুণ কারিকুরিতে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন বেনজেমা। তবে প্রতিপক্ষ ঘিরে রাখায় শট নেওয়ার জায়গা বের করতে পারেননি তিনি, শেষে বলও হারিয়ে ফেলেন। পরের মিনিটে এমবাপের আরেকটি দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চাপ সামলে পাল্টা আক্রমণে ৭১তম মিনিটে ভীতি ছড়ায় ক্রোয়েশিয়া। তবে লোভরো মাইয়েরের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি মিয়াঁ। শেষ দিকে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ফ্রান্স। ভালো সুযোগও পায় তারা, কিন্তু ব্যর্থতার জাল ছিঁড়তে পারেনি কেউ। একেবারে শেষ সময়ে ইব্রাহিমা কোনাতের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে আরও একবার হতাশায় মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। গত বছরে নভেম্বরে এই নেশন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল তারা। গত মার্চের দুই প্রীতি ম্যাচেও দারুণ পারফরম্যান্সে জিতেছিল দলটি। সেই তারাই কিনা নেশন্স লিগে তৃতীয় আসরে এসে জিততে ভুলে গেছে। চার ম্যাচ খেলে জিততে পারল না একটিতেও। ডেনমার্কের বিপক্ষে হেরে আসর শুরুর পর গত দুই ম্যাচে ড্র করেছিল ফ্রান্স। প্যারিসে ‘এ’ লিগের ১ নম্বর গ্রুপে ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে তারা। তাদের গ্রুপ সেরা হয়ে ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ। দিনের আরেক ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ২-০ গোলে হারানো ডেনমার্ক তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ক্রোয়েশিয়া। তিন নম্বরে অস্ট্রিয়ার পয়েন্ট ৪, তাদেরও ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা এখনও টিকে আছে।