ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ৩ প্রাকৃতিক পানীয়

  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ফ্যাটি লিভার এমন একটি রোগ যা বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষকে সমস্যায় ফেলে। যদিও ৯০-১০০% অ্যালকোহল ব্যবহারকারীদের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তবে অন্যান্য বিপাকীয় এবং জীবনযাপনের ধরন সংক্রান্ত কারণও এর পেছনে দায়ী হতে পারে। আমেরিকান লিভার ফাউন্ডেশনের মতে, প্রায় ১০ কোটি আমেরিকানের অ্যালকোহলবিহীন ফ্যাটি লিভার রোগ রয়েছে। যদিও পরিপূরক এবং ওষুধ গ্রহণ সমস্যার সমাধান করতে পারে, তবে সেসব বেশ ব্যয়বহুলও।

ফ্যাটি লিভার মোকাবিলা করার সবচেয়ে সহজ উপায়ের মধ্যে একটি হলো যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক পদ্ধতি বেছে নেওয়া। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাওয়া, ব্যায়াম করা এবং আরো অনেক কিছু। প্রতিদিনের খাবারের রুটিনে কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় যোগ করলে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

গ্রিন টি

গ্রিন টি একটি স্বাস্থ্য পাওয়ার হাউস যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অসংখ্য উপকারিতা প্রদান করে। এটি ক্যাটেচিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা অত্যন্ত শক্তিশালী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, যা ফ্রি র‍্যাডিকেলকে নিউট্রাল করে। এটি প্রদাহও কমায় যা ফ্যাটি লিভার রোগের অনুঘটক বলে মনে করা হয়।

২০১৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্রিন টি পানকারীদের লিভারে ফ্যাট জমা হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। গ্রিন টি খাবার থেকে ফ্যাট শোষণকারী এনজাইম, যেমন প্যানক্রিয়াটিক লিপেজের হজমে বাধা দেয়, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

আদা চা

আদা ৪০০ টিরও বেশি জৈব সক্রিয় যৌগ এবং ৪০টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ দিয়ে ভরপুর। হেপাটাইটিস মান্থলিতে প্রকাশিত ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বারো সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুই গ্রাম আদার সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়েছিল এবং দেখা গেছে যে এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে এবং লিভারে প্রদাহের চিহ্ন হ্রাস করে।

সুতরাং, দিনে অন্তত এক কাপ আদা চা খেলে তা কেবল ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে না, বরং এটি রক্তচাপ এবং বমি বমি ভাবও কমায়। সেইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এমন একটি পানীয় যা কারো কারো জন্য সত্যিই ভালো কাজ করে। যারা ফ্যাটি লিভারের মাত্রা কমাতে চান, তাদের জন্য এটি সম্পূর্ণ উপকারী। পানীয়টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ। ২০২১ সালে BMC কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন অ্যান্ড থেরাপিজে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আপেল সাইডার ভিনেগার টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের প্লাজমা গ্লুকোজ কমাতে বেশ কার্যকরী।

গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করলে তা ফ্যাটি লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। তবে এটি সঠিকভাবে পাতলা করতে এবং স্ট্র দিয়ে পান করতে ভুলবেন না, কারণ এটি এনামেলের ক্ষতি করতে পারে।

এসি/আপ্র/১৮/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ৩ প্রাকৃতিক পানীয়

আপডেট সময় : ০৪:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ফ্যাটি লিভার এমন একটি রোগ যা বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষকে সমস্যায় ফেলে। যদিও ৯০-১০০% অ্যালকোহল ব্যবহারকারীদের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তবে অন্যান্য বিপাকীয় এবং জীবনযাপনের ধরন সংক্রান্ত কারণও এর পেছনে দায়ী হতে পারে। আমেরিকান লিভার ফাউন্ডেশনের মতে, প্রায় ১০ কোটি আমেরিকানের অ্যালকোহলবিহীন ফ্যাটি লিভার রোগ রয়েছে। যদিও পরিপূরক এবং ওষুধ গ্রহণ সমস্যার সমাধান করতে পারে, তবে সেসব বেশ ব্যয়বহুলও।

ফ্যাটি লিভার মোকাবিলা করার সবচেয়ে সহজ উপায়ের মধ্যে একটি হলো যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক পদ্ধতি বেছে নেওয়া। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাওয়া, ব্যায়াম করা এবং আরো অনেক কিছু। প্রতিদিনের খাবারের রুটিনে কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় যোগ করলে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

গ্রিন টি

গ্রিন টি একটি স্বাস্থ্য পাওয়ার হাউস যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অসংখ্য উপকারিতা প্রদান করে। এটি ক্যাটেচিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা অত্যন্ত শক্তিশালী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, যা ফ্রি র‍্যাডিকেলকে নিউট্রাল করে। এটি প্রদাহও কমায় যা ফ্যাটি লিভার রোগের অনুঘটক বলে মনে করা হয়।

২০১৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্রিন টি পানকারীদের লিভারে ফ্যাট জমা হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। গ্রিন টি খাবার থেকে ফ্যাট শোষণকারী এনজাইম, যেমন প্যানক্রিয়াটিক লিপেজের হজমে বাধা দেয়, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

আদা চা

আদা ৪০০ টিরও বেশি জৈব সক্রিয় যৌগ এবং ৪০টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ দিয়ে ভরপুর। হেপাটাইটিস মান্থলিতে প্রকাশিত ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বারো সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুই গ্রাম আদার সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়েছিল এবং দেখা গেছে যে এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে এবং লিভারে প্রদাহের চিহ্ন হ্রাস করে।

সুতরাং, দিনে অন্তত এক কাপ আদা চা খেলে তা কেবল ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে না, বরং এটি রক্তচাপ এবং বমি বমি ভাবও কমায়। সেইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এমন একটি পানীয় যা কারো কারো জন্য সত্যিই ভালো কাজ করে। যারা ফ্যাটি লিভারের মাত্রা কমাতে চান, তাদের জন্য এটি সম্পূর্ণ উপকারী। পানীয়টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ। ২০২১ সালে BMC কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন অ্যান্ড থেরাপিজে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আপেল সাইডার ভিনেগার টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের প্লাজমা গ্লুকোজ কমাতে বেশ কার্যকরী।

গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করলে তা ফ্যাটি লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। তবে এটি সঠিকভাবে পাতলা করতে এবং স্ট্র দিয়ে পান করতে ভুলবেন না, কারণ এটি এনামেলের ক্ষতি করতে পারে।

এসি/আপ্র/১৮/১২/২০২৫