আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট্টে ফ্রেডরিকসনের সঙ্গে গত সপ্তাহে ফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সময় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের শপথও নেননি। তা সত্ত্বেও ফোন করে ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রীকে অনেকটা হুমকি-ধামকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি তার কাছে গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক ইউরোপীয় কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। এক কূটনীতিক ওই ফোন কলকে ‘ভয়ঙ্কর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্প ফোনে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগ্রাসী আচরণ করেন। কেন তিনি গ্রিনল্যান্ডকে বিক্রি করবেন না, সে ব্যাপারে তাকে জেরা করেন।
এই কূটনীতিক আরও বলেছেন, ট্রাম্প নিজের কথার ওপর অটল ছিলেন। তার এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত ছিল। তার এই ফোন কলের আগে গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাবের বিষয়টি এতটা গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হতো না। কিন্তু আমি মনে করি বিষয়টি এ মুহূর্তে গুরুতর, একইসঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট। তারা গ্রিনল্যান্ড চায়। ডেনমার্কের কর্মকর্তারা এ নিয়ে খুবই ঝামেলায় আছে, দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে।
ডেনমার্কের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেছেন, এ দুজনের আলোচনা খুবই উত্তপ্ত ছিল। ট্রাম্প ডেনমার্কের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। যার মধ্যে আছে শুল্ক বৃদ্ধি করা।
চার সপ্তাহে আগে ট্রাম্প জানান, নিজেদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ড তাদের প্রয়োজন। ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৭ বর্গকিলোমিটারের গ্রিনল্যান্ড তেল-গ্যাস ছাড়াও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ।
এটি ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল। যদিও পররাষ্ট্রনীতি এবং প্রতিরক্ষার জন্য অঞ্চলটি ডেনমার্কের ওপর নির্ভরশীল। গ্রিনল্যান্ড দখলে প্রয়োজনে সামরিক অভিযান চালানো হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস