ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ফোনে থাকা ৭ স্ক্রিনশটে পড়তে পারেন হ্যাকারের ফাঁদে

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: আধুনিকায়নের এই যুগে স্মার্টফোন আমাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজে প্রয়োজনীয় অংশে পরিণত হয়েছে। যেকোনো তথ্য দ্রুত সংরক্ষণ করতে বা পরে কাজে লাগানোর জন্য অনেক সময় আমরা স্ক্রিনশট নিয়ে ফোনে রেখে দিই। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাইট মেক ইউজ অব (এমইউও) একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ফোনের গ্যালারিতে থাকা সাত ধরনের সাধারণ স্ক্রিনশট হ্যাকারদের জন্য তথ্য চুরির বড় কারণ হতে পারে। আপনার অজান্তেই এসব স্ক্রিনশট হতে পারে ব্যক্তিগত, আর্থিক বা পেশাগত তথ্য ফাঁসের কারণ।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যালান্সের স্ক্রিনশট: অনেকে সঞ্চয় বা লেনদেন যাচাই করতে গিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যালান্সের স্ক্রিনশট নেন। কিন্তু এতে ব্যালান্স ছাড়াও অ্যাকাউন্ট নম্বরের অংশবিশেষ, সাম্প্রতিক লেনদেন বা ব্যাংকের লোগোসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে যেতে পারে। হ্যাকাররা এগুলো ব্যবহার করে আপনার নামে ফিশিং বার্তা পাঠাতে বা অর্থ চুরি করতে পারে।

পাসওয়ার্ড বা লগ ইন তথ্যের স্ক্রিনশট: ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড, টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (২এফএ) কোড বা অন্য কোনো লগইন তথ্য স্ক্রিনশট নিয়ে রাখে অনেকেই। কিন্তু এগুলো সাধারণ গ্যালারিতে রাখা নিরাপদ নয়, কারণ গ্যালারি এনক্রিপ্ট করা থাকে না এবং অনেক অ্যাপই এসব ছবি অ্যাকসেস করতে পারে।

ব্যক্তিগত কথোপকথনের স্ক্রিনশট: টেক্সট মেসেজ, ই-মেইল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যক্তিগত বার্তার স্ক্রিনশট অনেকে সংরক্ষণ করেন। কিন্তু এতে ফোন নম্বর, ইউজারনেম বা ব্যক্তিগত আলোচনা থেকে যেতে পারে, যা ফাঁস হলে ভুলভাবে ব্যাখ্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

পরিচয়পত্র ও নথিপত্র: পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা বোর্ডিং পাসের স্ক্রিনশট রাখা অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু এসব স্ক্রিনশটে আপনার নাম, জন্মতারিখ, পরিচয় নম্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে, যা চুরি হলে হ্যাকাররা আপনার পরিচয় জালিয়াতিতে ব্যবহার করতে পারে।

চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য: প্রেসক্রিপশন, টেস্ট রিপোর্ট বা হাসপাতালের বিলের স্ক্রিনশটে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য তথ্য থেকে যায়। এগুলো ফাঁস হলে শুধু গোপনীয়তা নষ্টই নয়, বরং প্রতারণা বা সামাজিক বিপদের শিকার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনলাইন শপিং কনফার্মেশন বা ই-টিকিট: অনলাইনে কেনাকাটা বা কোনো অনুষ্ঠানের ই-টিকিটের স্ক্রিনশটে কিউআর কোড বা বারকোড থাকে, যা কেউ স্ক্যান করে ব্যবহার করে ফেলতে পারে। অনেক সময় এগুলো অনলাইনে বিক্রিও করে দেয় প্রতারক চক্র।

অফিসের নথিপত্র: অফিসের কাজের ফাইল, ক্লায়েন্ট ডাটা বা প্রজেক্ট পরিকল্পনার স্ক্রিনশট যদি ফোনে থেকে যায় এবং তা ফাঁস হয়, শুধু চাকরি হারানোর ঝুঁকিই নয়, প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও প্রতারকদের হাতে চলে যায়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন

ফোনে থাকা ৭ স্ক্রিনশটে পড়তে পারেন হ্যাকারের ফাঁদে

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: আধুনিকায়নের এই যুগে স্মার্টফোন আমাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজে প্রয়োজনীয় অংশে পরিণত হয়েছে। যেকোনো তথ্য দ্রুত সংরক্ষণ করতে বা পরে কাজে লাগানোর জন্য অনেক সময় আমরা স্ক্রিনশট নিয়ে ফোনে রেখে দিই। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সাইট মেক ইউজ অব (এমইউও) একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ফোনের গ্যালারিতে থাকা সাত ধরনের সাধারণ স্ক্রিনশট হ্যাকারদের জন্য তথ্য চুরির বড় কারণ হতে পারে। আপনার অজান্তেই এসব স্ক্রিনশট হতে পারে ব্যক্তিগত, আর্থিক বা পেশাগত তথ্য ফাঁসের কারণ।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যালান্সের স্ক্রিনশট: অনেকে সঞ্চয় বা লেনদেন যাচাই করতে গিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যালান্সের স্ক্রিনশট নেন। কিন্তু এতে ব্যালান্স ছাড়াও অ্যাকাউন্ট নম্বরের অংশবিশেষ, সাম্প্রতিক লেনদেন বা ব্যাংকের লোগোসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে যেতে পারে। হ্যাকাররা এগুলো ব্যবহার করে আপনার নামে ফিশিং বার্তা পাঠাতে বা অর্থ চুরি করতে পারে।

পাসওয়ার্ড বা লগ ইন তথ্যের স্ক্রিনশট: ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড, টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (২এফএ) কোড বা অন্য কোনো লগইন তথ্য স্ক্রিনশট নিয়ে রাখে অনেকেই। কিন্তু এগুলো সাধারণ গ্যালারিতে রাখা নিরাপদ নয়, কারণ গ্যালারি এনক্রিপ্ট করা থাকে না এবং অনেক অ্যাপই এসব ছবি অ্যাকসেস করতে পারে।

ব্যক্তিগত কথোপকথনের স্ক্রিনশট: টেক্সট মেসেজ, ই-মেইল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যক্তিগত বার্তার স্ক্রিনশট অনেকে সংরক্ষণ করেন। কিন্তু এতে ফোন নম্বর, ইউজারনেম বা ব্যক্তিগত আলোচনা থেকে যেতে পারে, যা ফাঁস হলে ভুলভাবে ব্যাখ্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

পরিচয়পত্র ও নথিপত্র: পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা বোর্ডিং পাসের স্ক্রিনশট রাখা অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু এসব স্ক্রিনশটে আপনার নাম, জন্মতারিখ, পরিচয় নম্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে, যা চুরি হলে হ্যাকাররা আপনার পরিচয় জালিয়াতিতে ব্যবহার করতে পারে।

চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য: প্রেসক্রিপশন, টেস্ট রিপোর্ট বা হাসপাতালের বিলের স্ক্রিনশটে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য তথ্য থেকে যায়। এগুলো ফাঁস হলে শুধু গোপনীয়তা নষ্টই নয়, বরং প্রতারণা বা সামাজিক বিপদের শিকার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনলাইন শপিং কনফার্মেশন বা ই-টিকিট: অনলাইনে কেনাকাটা বা কোনো অনুষ্ঠানের ই-টিকিটের স্ক্রিনশটে কিউআর কোড বা বারকোড থাকে, যা কেউ স্ক্যান করে ব্যবহার করে ফেলতে পারে। অনেক সময় এগুলো অনলাইনে বিক্রিও করে দেয় প্রতারক চক্র।

অফিসের নথিপত্র: অফিসের কাজের ফাইল, ক্লায়েন্ট ডাটা বা প্রজেক্ট পরিকল্পনার স্ক্রিনশট যদি ফোনে থেকে যায় এবং তা ফাঁস হয়, শুধু চাকরি হারানোর ঝুঁকিই নয়, প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও প্রতারকদের হাতে চলে যায়।