ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফোনের তথ্য হাতিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে পারে যে অ্যাপ

  • আপডেট সময় : ০৯:২১:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : সামনে এলো এক নতুন ধরনের অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার। যার পাল্লায় পড়লে ফোনের সবকিছুই হারাতে হবে মুহূর্তে। ‘বিঙ্গোমোড’ নামের ওই সফটওয়্যার অ্যান্টি-ফ্রড সিস্টেমকে ‘বোকা’ বানাতে পারে অনায়াসে।
এই ম্যালওয়্যারের সবচেয়ে বড় ফাঁদ ‘অ্যান্টিভাইরাসে’র ছদ্মবেশ। জানা যাচ্ছে, এভিজি অ্যান্টিভাইরাস গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যায়। অনেক সময় এই ধরনের অ্যান্টিভাইরাস সেজে ইউজারদের আকর্ষণ করে ‘বিঙ্গোমোড’। আর ইউজাররা সেই ফাঁদে পা দিয়ে সেটি ইনস্টল করতে গেলেই হয় ‘সর্বনাশ’!
প্রথমেই চাওয়া হয় অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাক্সেসিবিলিটি সার্ভিসের পারমিশন। আর একবার তা দিয়ে দিলেই ফোনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণই প্রায় চলে যায় হ্যাকারদের কাছে। ফলে দ্রুত সব ধরনের লগইন ক্রিডেনশিয়ালস হাতিয়ে নিতে পারে। অর্থাৎ নেট ব্যাংকিংয়ের সমস্ত তথ্য চলে যাবে তাদের কাছে। আর শুধু একটি ফোনই নয়। ওই ফোন থেকে ভুয়া টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে অন্য ফোনকে আক্রান্ত করতে পারে। আর এক্ষেত্রে অ্যান্টি ভাইরাস থাকলেও লাভ নেই। তাকেও ‘রিমুভ’ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে হ্যাকাররা।
এর কবল থেকে বাঁচা বেশ কঠিন। তার ওপর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও ‘বিঙ্গোমোড’ প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। আগামীদিনে হ্যাকাররা একে আরও শক্তিশালী করে আক্রমণ করতে পারে। কাজেই এই ধরনের বিপদ থেকে বাঁচতে সতর্কতাই সেরা অস্ত্র হবে। অর্থাৎ কোনও সন্দেহজনক টেক্সট মেসেজে সাড়া দেবেন না। অন্যথায় বিপদ হতে পারে।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফোনের তথ্য হাতিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে পারে যে অ্যাপ

আপডেট সময় : ০৯:২১:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : সামনে এলো এক নতুন ধরনের অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার। যার পাল্লায় পড়লে ফোনের সবকিছুই হারাতে হবে মুহূর্তে। ‘বিঙ্গোমোড’ নামের ওই সফটওয়্যার অ্যান্টি-ফ্রড সিস্টেমকে ‘বোকা’ বানাতে পারে অনায়াসে।
এই ম্যালওয়্যারের সবচেয়ে বড় ফাঁদ ‘অ্যান্টিভাইরাসে’র ছদ্মবেশ। জানা যাচ্ছে, এভিজি অ্যান্টিভাইরাস গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যায়। অনেক সময় এই ধরনের অ্যান্টিভাইরাস সেজে ইউজারদের আকর্ষণ করে ‘বিঙ্গোমোড’। আর ইউজাররা সেই ফাঁদে পা দিয়ে সেটি ইনস্টল করতে গেলেই হয় ‘সর্বনাশ’!
প্রথমেই চাওয়া হয় অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাক্সেসিবিলিটি সার্ভিসের পারমিশন। আর একবার তা দিয়ে দিলেই ফোনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণই প্রায় চলে যায় হ্যাকারদের কাছে। ফলে দ্রুত সব ধরনের লগইন ক্রিডেনশিয়ালস হাতিয়ে নিতে পারে। অর্থাৎ নেট ব্যাংকিংয়ের সমস্ত তথ্য চলে যাবে তাদের কাছে। আর শুধু একটি ফোনই নয়। ওই ফোন থেকে ভুয়া টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে অন্য ফোনকে আক্রান্ত করতে পারে। আর এক্ষেত্রে অ্যান্টি ভাইরাস থাকলেও লাভ নেই। তাকেও ‘রিমুভ’ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে হ্যাকাররা।
এর কবল থেকে বাঁচা বেশ কঠিন। তার ওপর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও ‘বিঙ্গোমোড’ প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। আগামীদিনে হ্যাকাররা একে আরও শক্তিশালী করে আক্রমণ করতে পারে। কাজেই এই ধরনের বিপদ থেকে বাঁচতে সতর্কতাই সেরা অস্ত্র হবে। অর্থাৎ কোনও সন্দেহজনক টেক্সট মেসেজে সাড়া দেবেন না। অন্যথায় বিপদ হতে পারে।