ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ফেসবুক, টিকটক ব্যবহার করে বাড়ছে মানব পাচার

  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানব পাচারকারী ব্যক্তিরা সাইবার জগতে (ডিজিটাল স্পেসে) ঢুকে গেছেন, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাঁরা পাচার করছেন। ফেসবুক, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মানব পাচার বেড়েছে। বিশেষ করোনাকালে এই প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল শনিবার হোটেল ইন্টারকনটিনেন্টালে আন্তর্জাতিক মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আইওএম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, পাচারের অর্থগুলোও পাচারকারী ব্যক্তিরা অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে পাচার করছেন। মানব পাচার রোধে পাচারকারী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে মানব পাচার রোধে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মানব পাচার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে মানব পাচার রোধ করতে পারি।’ মানব পাচার প্রতিরোধে চারটা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ পদক্ষেপ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে মানব পাচারকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত ও অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে শূন্য সহিষ্ণু নীতি দেখাচ্ছে সরকার। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশ চায় তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকশন বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেমন পাচারকারী ব্যক্তিরা তাঁদের কাজ করছেন, আমরাও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি।
মহামারির কারণে পাচারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও পাচার অন্যতম সমস্যা। পাচার রোধে আমরা বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সাহায্য ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা প্রায় ৩০ হাজার নারীকে অবৈধভাবে পাচার রোধে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, ‘মানব পাচার রোধে সুইজারল্যান্ড সরকার ও বাংলাদেশ সরকার ১২ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে পাচার বেড়েছে। তবে আমরাও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে পাচার রোধ করতে পারি।’
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশি প্রধান আবদুস সাত্তার ইসোভ বলেন, ‘করোনার সময় থেকে মানব পাচারকারী ব্যক্তিরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাচারে আরও বেশি সক্রিয় হয়েছেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদেরও পাচার প্রতিরোধে কাজ করা যেতে পারে। তবে এটি একার পক্ষে সম্ভব নয়, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানব পাচার ঠেকানো সম্ভব।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ সপ্তাহ দেশ হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। প্রযুক্তির ফলে সহজে পাচারের জন্য মানুষকে খুঁজে পায়, প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদেরও উচিত তাদের বিরুদ্ধে কাজ করা। মানব পাচারবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফেসবুক, টিকটক ব্যবহার করে বাড়ছে মানব পাচার

আপডেট সময় : ১২:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানব পাচারকারী ব্যক্তিরা সাইবার জগতে (ডিজিটাল স্পেসে) ঢুকে গেছেন, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাঁরা পাচার করছেন। ফেসবুক, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মানব পাচার বেড়েছে। বিশেষ করোনাকালে এই প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল শনিবার হোটেল ইন্টারকনটিনেন্টালে আন্তর্জাতিক মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আইওএম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, পাচারের অর্থগুলোও পাচারকারী ব্যক্তিরা অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে পাচার করছেন। মানব পাচার রোধে পাচারকারী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে মানব পাচার রোধে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মানব পাচার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে মানব পাচার রোধ করতে পারি।’ মানব পাচার প্রতিরোধে চারটা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ পদক্ষেপ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে মানব পাচারকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত ও অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে শূন্য সহিষ্ণু নীতি দেখাচ্ছে সরকার। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশ চায় তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকশন বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেমন পাচারকারী ব্যক্তিরা তাঁদের কাজ করছেন, আমরাও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি।
মহামারির কারণে পাচারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও পাচার অন্যতম সমস্যা। পাচার রোধে আমরা বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সাহায্য ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা প্রায় ৩০ হাজার নারীকে অবৈধভাবে পাচার রোধে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, ‘মানব পাচার রোধে সুইজারল্যান্ড সরকার ও বাংলাদেশ সরকার ১২ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে পাচার বেড়েছে। তবে আমরাও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে পাচার রোধ করতে পারি।’
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশি প্রধান আবদুস সাত্তার ইসোভ বলেন, ‘করোনার সময় থেকে মানব পাচারকারী ব্যক্তিরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাচারে আরও বেশি সক্রিয় হয়েছেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদেরও পাচার প্রতিরোধে কাজ করা যেতে পারে। তবে এটি একার পক্ষে সম্ভব নয়, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানব পাচার ঠেকানো সম্ভব।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ সপ্তাহ দেশ হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। প্রযুক্তির ফলে সহজে পাচারের জন্য মানুষকে খুঁজে পায়, প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদেরও উচিত তাদের বিরুদ্ধে কাজ করা। মানব পাচারবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।’