ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে মাদক বিজ্ঞাপন, ব্যাখ্যা চায় মার্কিন কংগ্রেস

  • আপডেট সময় : ১০:২৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : মেটা কেন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে কোকেইন, ইকস্টাসি’সহ অন্যান্য মাদকের বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ দিয়েছে, সে বিষয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ১৯ জন সদস্য।
অলাভজনক সংস্থা ‘টেক ট্রান্সপারেন্সি প্রজেক্ট (টিটিপি)’ মেটার একাধিক প্ল্যাটফর্মে এমন শত শত বিজ্ঞাপন খুঁজে পাওয়ার তথ্য প্রকাশের পরপরই কংগ্রেস সদস্যদের এ চিঠি এল। চিঠিতে গত মাসে প্রকাশিত টিটিপি’র প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে, যারা মেটার ‘অ্যাড লাইব্রেরি’তে ইনস্টাগ্রাম ও ফেইসবুকে প্রকাশ পাওয়া এমন সাড়ে চারশ বিজ্ঞাপন খুঁজে পেয়েছে, যেগুলো ‘বিভিন্ন ধরনের ফার্মাসিউটিক্যাল ও অন্যান্য ওষুধ বিক্রি করছে’।
এর মধ্যে অনেক বিজ্ঞাপনে ‘প্রেসক্রিপশন করা ওষুধের বোতল, বড়ি ও পাউডারের স্তূপ, বা কোকেনের ছবি’ দেখা গেছে, যেখানে দর্শকদেরকে টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ থেকে সেগুলো কেনার নির্দেশনা ছিল। এর পর থেকেই এমন বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন নজির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করে আসছে টিটিপি, যার মধ্যে একটি প্রকাশ পেয়েছে গেল ১৪ আগস্ট।
“মেটা সম্ভবত নিজের সামাজিক দায়বদ্ধতা এমনকি নিজেদের কমিউনিটি গাইডলাইন থেকেও সরে এসেছে,” জাকারবার্গকে সরাসরি নির্দেশ করা ওই চিঠিতে লেখেন আইনপ্রণেতারা। “এই নজিরের গুরুতর বিষয়টি হচ্ছে, এটি ডার্ক ওয়েব বা কোনো ব্যক্তিগত সোশাল মিডিয়া পেইজ থেকে তৈরি কনটেন্ট ছিল না। বরং এগুলো মেটার অনুমোদিত ও মনিটাইজ করা বিজ্ঞাপন ছিল। এর মধ্যে অনেক বিজ্ঞাপনের শিরোনাম, বিবরণী, ছবি ও বিজ্ঞাপনদাতার অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন অবৈধ ওষুধের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা।”
“মেটার অ্যাড লাইব্রেরি থেকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সংবাদকর্মীরা ও টিটিপি’র গবেষকরা এগুলো সহজেই খুঁজে পেয়েছেন। আর মেটার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায় এগুলো শনাক্ত হয়নি বা উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” ওই চিঠিতে মাদক সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মেটার নীতিমালা প্রয়োগের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি সেইসব বিজ্ঞাপন কতবার দেখা হয়েছে ও কতজন এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন, সে তথ্য প্রকাশের দাবি রয়েছে। পাশাপাশি, এর জবাব দিতে মেটাকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছেন চিঠির লেখকরা। মেটার এক মুখপাত্র বলেছেন, কোম্পানি চিঠির জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া, প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেটকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত কোম্পানির আগের একটি বিবৃতি দেখার নির্দেশও দেন তিনি, যেখানে মেটা দাবি করেছে, কোম্পানির ওষুধ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা লঙ্ঘন করে এমন হাজার হাজার বিজ্ঞাপন তারা নাকচ করেছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে মাদক বিজ্ঞাপন, ব্যাখ্যা চায় মার্কিন কংগ্রেস

আপডেট সময় : ১০:২৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : মেটা কেন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে কোকেইন, ইকস্টাসি’সহ অন্যান্য মাদকের বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ দিয়েছে, সে বিষয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ১৯ জন সদস্য।
অলাভজনক সংস্থা ‘টেক ট্রান্সপারেন্সি প্রজেক্ট (টিটিপি)’ মেটার একাধিক প্ল্যাটফর্মে এমন শত শত বিজ্ঞাপন খুঁজে পাওয়ার তথ্য প্রকাশের পরপরই কংগ্রেস সদস্যদের এ চিঠি এল। চিঠিতে গত মাসে প্রকাশিত টিটিপি’র প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে, যারা মেটার ‘অ্যাড লাইব্রেরি’তে ইনস্টাগ্রাম ও ফেইসবুকে প্রকাশ পাওয়া এমন সাড়ে চারশ বিজ্ঞাপন খুঁজে পেয়েছে, যেগুলো ‘বিভিন্ন ধরনের ফার্মাসিউটিক্যাল ও অন্যান্য ওষুধ বিক্রি করছে’।
এর মধ্যে অনেক বিজ্ঞাপনে ‘প্রেসক্রিপশন করা ওষুধের বোতল, বড়ি ও পাউডারের স্তূপ, বা কোকেনের ছবি’ দেখা গেছে, যেখানে দর্শকদেরকে টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ থেকে সেগুলো কেনার নির্দেশনা ছিল। এর পর থেকেই এমন বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন নজির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করে আসছে টিটিপি, যার মধ্যে একটি প্রকাশ পেয়েছে গেল ১৪ আগস্ট।
“মেটা সম্ভবত নিজের সামাজিক দায়বদ্ধতা এমনকি নিজেদের কমিউনিটি গাইডলাইন থেকেও সরে এসেছে,” জাকারবার্গকে সরাসরি নির্দেশ করা ওই চিঠিতে লেখেন আইনপ্রণেতারা। “এই নজিরের গুরুতর বিষয়টি হচ্ছে, এটি ডার্ক ওয়েব বা কোনো ব্যক্তিগত সোশাল মিডিয়া পেইজ থেকে তৈরি কনটেন্ট ছিল না। বরং এগুলো মেটার অনুমোদিত ও মনিটাইজ করা বিজ্ঞাপন ছিল। এর মধ্যে অনেক বিজ্ঞাপনের শিরোনাম, বিবরণী, ছবি ও বিজ্ঞাপনদাতার অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন অবৈধ ওষুধের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা।”
“মেটার অ্যাড লাইব্রেরি থেকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সংবাদকর্মীরা ও টিটিপি’র গবেষকরা এগুলো সহজেই খুঁজে পেয়েছেন। আর মেটার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায় এগুলো শনাক্ত হয়নি বা উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” ওই চিঠিতে মাদক সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মেটার নীতিমালা প্রয়োগের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি সেইসব বিজ্ঞাপন কতবার দেখা হয়েছে ও কতজন এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন, সে তথ্য প্রকাশের দাবি রয়েছে। পাশাপাশি, এর জবাব দিতে মেটাকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছেন চিঠির লেখকরা। মেটার এক মুখপাত্র বলেছেন, কোম্পানি চিঠির জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া, প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেটকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত কোম্পানির আগের একটি বিবৃতি দেখার নির্দেশও দেন তিনি, যেখানে মেটা দাবি করেছে, কোম্পানির ওষুধ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা লঙ্ঘন করে এমন হাজার হাজার বিজ্ঞাপন তারা নাকচ করেছে।