ঢাকা ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

ফেসবুকের বিরুদ্ধে তথ্য চুরি ও দুর্নীতির অভিযোগ!

  • আপডেট সময় : ০৭:২১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: ফেসবুকের বিরুদ্ধে তথ্য চুরি, কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও নারীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ আচরণের অভিযোগ এনেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন উচ্চপদস্থ কর্মী সারা উইন উইলিয়ামস। সম্প্রতি প্রকাশিত তার বইতে তিনি দাবি করেছেন, ফেসবুকের শীর্ষকর্তারা চীনের সঙ্গে গোপনে তথ্য ভাগ করতেন এবং নিজেদের স্বার্থে নানা অনৈতিক কাজ করেছেন।

সারা বলেন, ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ চীনে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য সেখানে কমিউনিস্ট সরকারের শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলেন। এমনকি মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটকে না জানিয়েই এই পরিকল্পনা করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, চীনকে ফেসবুকের সার্ভার অ্যাক্সেস দেওয়া হয়েছিল। যা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

সারার অভিযোগ, ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্কৃতি ভয়াবহ। কর্মীদের ইচ্ছেমতো ছাঁটাই করা হতো, আর নারীদের প্রতি অসদাচরণ ছিল

নিত্যদিনের ঘটনা। এমনকি সংস্থার দুই শীর্ষকর্তা, সিইও মার্ক জুকারবার্গ ও প্রাক্তন সিওও শার্ল স্যান্ডবার্গ, নিজেদের স্বার্থে লাগাতার দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন।

‘কেয়ারলেস পিপল: এ কশনারি টেল অফ পাওয়ার, গ্রিড অ্যান্ড লস্ট আইডিওলিজম’ বইতে সারা উইন উইলিয়ামস লিখেছেন, ফেসবুক একটি পচে যাওয়া কর্মসংস্কৃতির জায়গা, যেখানে নৈতিকতা কোনো গুরুত্ব পায় না।

এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেটা জানিয়েছে, তারা এই বই পড়েনি। তবে তারা দাবি করেছে, ২০১৭ সালে সারাকে ফেসবুক থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং তদন্তে প্রমাণিত হয়েছিল যে তিনি মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফেসবুকের বিরুদ্ধে তথ্য চুরি ও দুর্নীতির অভিযোগ!

আপডেট সময় : ০৭:২১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: ফেসবুকের বিরুদ্ধে তথ্য চুরি, কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও নারীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ আচরণের অভিযোগ এনেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন উচ্চপদস্থ কর্মী সারা উইন উইলিয়ামস। সম্প্রতি প্রকাশিত তার বইতে তিনি দাবি করেছেন, ফেসবুকের শীর্ষকর্তারা চীনের সঙ্গে গোপনে তথ্য ভাগ করতেন এবং নিজেদের স্বার্থে নানা অনৈতিক কাজ করেছেন।

সারা বলেন, ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ চীনে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য সেখানে কমিউনিস্ট সরকারের শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলেন। এমনকি মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটকে না জানিয়েই এই পরিকল্পনা করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, চীনকে ফেসবুকের সার্ভার অ্যাক্সেস দেওয়া হয়েছিল। যা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

সারার অভিযোগ, ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্কৃতি ভয়াবহ। কর্মীদের ইচ্ছেমতো ছাঁটাই করা হতো, আর নারীদের প্রতি অসদাচরণ ছিল

নিত্যদিনের ঘটনা। এমনকি সংস্থার দুই শীর্ষকর্তা, সিইও মার্ক জুকারবার্গ ও প্রাক্তন সিওও শার্ল স্যান্ডবার্গ, নিজেদের স্বার্থে লাগাতার দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন।

‘কেয়ারলেস পিপল: এ কশনারি টেল অফ পাওয়ার, গ্রিড অ্যান্ড লস্ট আইডিওলিজম’ বইতে সারা উইন উইলিয়ামস লিখেছেন, ফেসবুক একটি পচে যাওয়া কর্মসংস্কৃতির জায়গা, যেখানে নৈতিকতা কোনো গুরুত্ব পায় না।

এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেটা জানিয়েছে, তারা এই বই পড়েনি। তবে তারা দাবি করেছে, ২০১৭ সালে সারাকে ফেসবুক থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং তদন্তে প্রমাণিত হয়েছিল যে তিনি মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন।