ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ফের সিগন্যাল চ্যাটে হামলার তথ্য ফাঁস, বিপাকে পেন্টাগন : ডয়চে ভেলে

  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রে ফের সংবেদনশীল ও গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে সিগন্যাল চ্যাটে। ইয়েমেনের ইরান-ঘনিষ্ঠ হুথিদের ওপর গত মার্চের আক্রমণের গোপন তথ্য সিগন্যাল চ্যাটের একটি গ্রুপে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। রয়টার্স সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, সেই গ্রুপে ছিলেন হেগসেথের স্ত্রী, ভাই এবং আইনজীবী। সাম্প্রতিককালে দ্বিতীয়বার সিগন্যালের মতো চ্যাট গ্রুপে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আবার খবর ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পেন্টাগনের সুরক্ষা দপ্তরে। গত মাসেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ভুল করে এক সাংবাদিককে সিগনালের একটি গ্রুপে যুক্ত করেন। সেখানে ইয়েমেনের হুতিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা বিস্তারে লেখেন হেগসেথ।

হেগসেথের স্ত্রী জেনিফার ফক্স নিউজের সাবেক সাংবাদিক। পদমর্যাদা বলে একাধিক বিদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তার ওঠাবসা। তার সেই ছবি পেন্টাগন মারফত প্রকাশিত হয়। মার্চে হেগসেথের সঙ্গে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাতের সময়েও জেনিফারকে তাদের সঙ্গে দেখা যায়। হেগসেথের ভাই পেন্টাগনের হোমল্যান্ড নিরাপত্তা দপ্তরে কর্মরত। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনকে তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তৎপর হতে দেখা গেছে। পেন্টাগনে হেগসেথও বিষয়টিকে একইরকম গুরুত্ব দিয়েছেন। বিনা প্রমাণে পেন্টাগনের মুখপত্র শন পারনেল বলেছেন, “মিডিয়া অত্যুৎসাহে অসন্তুষ্ট সাবেক কর্মচারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে খবর তৈরি করছেন।” পারনেল তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “ট্রাম্পের এজেন্ডার পক্ষে যারা নিরন্তর কাজ করছেন ট্রাম্প-বিরোধী মিডিয়া ক্রমাগত তাদের ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধে আমরা অনেক সাফল্য পেয়েছি।

এখান থেকে আমরা পিছু হটব না।” হোয়াইট হাউসের মুখপত্র অ্যানা কেলি বলেন, “যারা এই তথ্য ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত তারা আজ চাকরিচ্যূত। তাদের ভঙ্গুর ইগোর কারণে এবং প্রেসিডেন্টের কাজে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য তারা এখনও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন।” এদিকে এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। হেগসেথ তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ডেমোক্র্যাটিক সিনেটাররা। সিনেটে ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বলেন, “আমরা প্রতিদিন দেখছি পিট হেগসেথ কীভাবে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। কিন্তু ট্রাম্পের দুর্বলতার কারণে তার চাকরি যাচ্ছে না। তার অবিলম্বে চাকরি যাওয়া উচিত।” সিনেটার ট্যামি ডাকওয়ার্থ ইরাকে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৪ সালে যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন। তার দাবি, “হেগসেথের পদত্যাগ করা উচিত।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ফের সিগন্যাল চ্যাটে হামলার তথ্য ফাঁস, বিপাকে পেন্টাগন : ডয়চে ভেলে

আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে ফের সংবেদনশীল ও গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে সিগন্যাল চ্যাটে। ইয়েমেনের ইরান-ঘনিষ্ঠ হুথিদের ওপর গত মার্চের আক্রমণের গোপন তথ্য সিগন্যাল চ্যাটের একটি গ্রুপে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। রয়টার্স সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, সেই গ্রুপে ছিলেন হেগসেথের স্ত্রী, ভাই এবং আইনজীবী। সাম্প্রতিককালে দ্বিতীয়বার সিগন্যালের মতো চ্যাট গ্রুপে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আবার খবর ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পেন্টাগনের সুরক্ষা দপ্তরে। গত মাসেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ভুল করে এক সাংবাদিককে সিগনালের একটি গ্রুপে যুক্ত করেন। সেখানে ইয়েমেনের হুতিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা বিস্তারে লেখেন হেগসেথ।

হেগসেথের স্ত্রী জেনিফার ফক্স নিউজের সাবেক সাংবাদিক। পদমর্যাদা বলে একাধিক বিদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তার ওঠাবসা। তার সেই ছবি পেন্টাগন মারফত প্রকাশিত হয়। মার্চে হেগসেথের সঙ্গে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাতের সময়েও জেনিফারকে তাদের সঙ্গে দেখা যায়। হেগসেথের ভাই পেন্টাগনের হোমল্যান্ড নিরাপত্তা দপ্তরে কর্মরত। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনকে তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তৎপর হতে দেখা গেছে। পেন্টাগনে হেগসেথও বিষয়টিকে একইরকম গুরুত্ব দিয়েছেন। বিনা প্রমাণে পেন্টাগনের মুখপত্র শন পারনেল বলেছেন, “মিডিয়া অত্যুৎসাহে অসন্তুষ্ট সাবেক কর্মচারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে খবর তৈরি করছেন।” পারনেল তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “ট্রাম্পের এজেন্ডার পক্ষে যারা নিরন্তর কাজ করছেন ট্রাম্প-বিরোধী মিডিয়া ক্রমাগত তাদের ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধে আমরা অনেক সাফল্য পেয়েছি।

এখান থেকে আমরা পিছু হটব না।” হোয়াইট হাউসের মুখপত্র অ্যানা কেলি বলেন, “যারা এই তথ্য ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত তারা আজ চাকরিচ্যূত। তাদের ভঙ্গুর ইগোর কারণে এবং প্রেসিডেন্টের কাজে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য তারা এখনও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন।” এদিকে এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। হেগসেথ তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ডেমোক্র্যাটিক সিনেটাররা। সিনেটে ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বলেন, “আমরা প্রতিদিন দেখছি পিট হেগসেথ কীভাবে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। কিন্তু ট্রাম্পের দুর্বলতার কারণে তার চাকরি যাচ্ছে না। তার অবিলম্বে চাকরি যাওয়া উচিত।” সিনেটার ট্যামি ডাকওয়ার্থ ইরাকে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৪ সালে যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন। তার দাবি, “হেগসেথের পদত্যাগ করা উচিত।”