ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

ফেরেশতা দিয়েও ভালো নির্বাচন করতে পারবে না ইসি: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কথা বলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ফেরেশতা বসিয়ে দিলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। ভালো নির্বাচনের জন্য ইসির জন্য জবাবদিহিতার বিধান থাকা দরকার।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলটির প্রতিনিধি দল।

এ সময় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, কমিশনের কাছে ৩১ দফা লিখিত সুপারিশ পেশ করা হয়েছে। ইসি একটা খসড়া আচরণবিধি তৈরি করছে। এখনও পাবলিক করেননি। আজ আমরা আচরণবিধির বিষয়ে বেশ কিছু মতামত দিয়েছি। আমরা বলেছি, এক তরফাভাবে ইসি আচরণবিধি চূড়ান্ত না করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শলা-পরামর্শ করে, বিচার বিবেচনা আমলে নিয়ে এটা প্রণয়ন করেন তাহলে এটার একধরনের গ্রহণযোগ্যতা আসবে, কার্যকর হবে।

সাইফুল হক বলেন, ইসির স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার প্রয়োগ দেখতে চাই। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির ক্ষমতাকে কীভাবে বাড়ানো যায়, সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ হাজির করেছি। একই সঙ্গে বলেছি, ইসিকে একটা জবাবদিহিতার মধ্যে আনা দরকার। এ বিষয়ে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের’ মাধ্যমে ইসির ব্যত্যয় ঘটলে তাদেরকেও আইনানুগভাবে ব্যবস্থা করা যাবে বলে উল্লেখ করেন সাধারণ সম্পাদক।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনটা করেন ডিসি, এসপি, ওসিসহ প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এখানে নির্বাচনি ব্যবস্থায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা থাকে গুরুত্বপূর্ণ। ইসির জনবল বাড়িয়ে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশও করে দলটি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের এখানে যদি ফেরেশতাও বসিয়ে দিই, ইসি আসলে কোনো ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। এটা যৌথ অর্কেস্ট্রার মতো। এখানে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে; আমরা বিশ্বাস করি অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চান। যেহেতু তাদের কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত থাকবার কথা নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বাত্মক আন্তরিকতা, ইসি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সচেতন ভূমিকার মধ্য দিয়ে আমরা ত্রয়োদশ সংসদের অর্থপূর্ণ কার্যকর নির্বাচন দেখতে পাবো। ১৬ বছর ধরে অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের অপেক্ষা করছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ইসি ইতোমধ্যে ভোটার তালিকার কাজ শেষ করেছে। আমরা জানতে পেরেছি, ডিসেম্বরকে লক্ষ্য ধরে নিয়ে তারা প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে। আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দল, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পরামর্শ, আলাপ আলোচনা করে নিশ্চয়ই অচিরেই নির্বাচন সম্পর্কে আপনারা সুনির্দিষ্ট পথ, নকশা ঘোষণা করবেন। নির্বাচনের সূচি বা শিডিউল ইসিকে ঘোষণা করতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেরেশতা দিয়েও ভালো নির্বাচন করতে পারবে না ইসি: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ফেরেশতা বসিয়ে দিলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। ভালো নির্বাচনের জন্য ইসির জন্য জবাবদিহিতার বিধান থাকা দরকার।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলটির প্রতিনিধি দল।

এ সময় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, কমিশনের কাছে ৩১ দফা লিখিত সুপারিশ পেশ করা হয়েছে। ইসি একটা খসড়া আচরণবিধি তৈরি করছে। এখনও পাবলিক করেননি। আজ আমরা আচরণবিধির বিষয়ে বেশ কিছু মতামত দিয়েছি। আমরা বলেছি, এক তরফাভাবে ইসি আচরণবিধি চূড়ান্ত না করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শলা-পরামর্শ করে, বিচার বিবেচনা আমলে নিয়ে এটা প্রণয়ন করেন তাহলে এটার একধরনের গ্রহণযোগ্যতা আসবে, কার্যকর হবে।

সাইফুল হক বলেন, ইসির স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার প্রয়োগ দেখতে চাই। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির ক্ষমতাকে কীভাবে বাড়ানো যায়, সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ হাজির করেছি। একই সঙ্গে বলেছি, ইসিকে একটা জবাবদিহিতার মধ্যে আনা দরকার। এ বিষয়ে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের’ মাধ্যমে ইসির ব্যত্যয় ঘটলে তাদেরকেও আইনানুগভাবে ব্যবস্থা করা যাবে বলে উল্লেখ করেন সাধারণ সম্পাদক।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনটা করেন ডিসি, এসপি, ওসিসহ প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এখানে নির্বাচনি ব্যবস্থায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা থাকে গুরুত্বপূর্ণ। ইসির জনবল বাড়িয়ে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশও করে দলটি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের এখানে যদি ফেরেশতাও বসিয়ে দিই, ইসি আসলে কোনো ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। এটা যৌথ অর্কেস্ট্রার মতো। এখানে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে; আমরা বিশ্বাস করি অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চান। যেহেতু তাদের কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত থাকবার কথা নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বাত্মক আন্তরিকতা, ইসি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সচেতন ভূমিকার মধ্য দিয়ে আমরা ত্রয়োদশ সংসদের অর্থপূর্ণ কার্যকর নির্বাচন দেখতে পাবো। ১৬ বছর ধরে অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের অপেক্ষা করছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ইসি ইতোমধ্যে ভোটার তালিকার কাজ শেষ করেছে। আমরা জানতে পেরেছি, ডিসেম্বরকে লক্ষ্য ধরে নিয়ে তারা প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে। আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দল, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পরামর্শ, আলাপ আলোচনা করে নিশ্চয়ই অচিরেই নির্বাচন সম্পর্কে আপনারা সুনির্দিষ্ট পথ, নকশা ঘোষণা করবেন। নির্বাচনের সূচি বা শিডিউল ইসিকে ঘোষণা করতে হবে।