ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

ফেরি উদ্ধারে প্রত্যয়ের দেখা নেই, সক্ষম নয় হামজা

  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুধবার (২৭ অক্টোবর) আনুমানিক সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের ৫ নম্বর পন্টুনের প্রথম পকেটে আমানত শাহ নামের রো রো ফেরি যানবাহন আনলোড করতে গিয়ে ডান দিকে কাঁত হয়ে একাংশ ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়ার পর ফেরি থাকা ১৪টি পণ্য বোঝাই ট্রাক পদ্মা নদীতে তলিয়ে গেলে উদ্ধার কাজে অংশ নেয় স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট।
পরে তাদের সঙ্গে আরও জোগ দেয় নৌ-বাহিনী এবং বিআইডব্লিউটিসির ডুবুরি দল।
ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আরিচার যমুনা নদীতে ভেঁসে থাকা বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে। একার পক্ষে আমানত শাহ নামের ওই ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে না বিধায় নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যয় নামের আরো একটি জাহাজ আসার কথা থাকলেও তার কোনো দেখা মেলেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া ৫ নাম্বার ঘাট এলাকায় রো রো ফেরি আমানত শাহ দ্বিতীয় দিনেও এখনো উদ্ধার হয়নি তবে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা একটি মোটরসাইকেল এবং পণ্য বোঝাই ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করেছে ১০টি। ডুবে যাওয়ার আগে ৩টি যানবাহন নামতে পারলেও সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে কাঁত হয়ে পন্টুন এলাকায় ১৪টি কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিটি ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট, তিনটি ডুবুরি দল ও উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটি মোটরসাইকেল ও চারটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে এবং ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মো. শাজাহান বলেন, আমানত শাহ ফেরিটির বডির ওজন ৪৮০ টন। ভেতরে পানি থাকায় ওজন আরও বেড়েছে। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার ৬০ টন পর্যন্ত উদ্ধার সক্ষমতা রয়েছে। প্রত্যয় নামের যে জাহাজটি অভিযানে যুক্ত হবে সেটি ২৫০ টন পর্যন্ত উদ্ধার সক্ষমতা রয়েছে। হামজা ও প্রত্যয় স্থানীয় বিভাগগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ফেরিটি উদ্ধার করতে হবে। কারণ উদ্ধারকারী জাহাজগুলোর উদ্ধার সক্ষমতার চেয়ে আমানত শাহর ওজন বেশি। আপাতত হামজা দিয়ে যানবাহনগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ইতোমধ্যে এ দুর্ঘটনার বিষয়ে নৌ মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যয় নামের উদ্ধারকারী জাহাজ কখন আসবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উদ্ধারকারী জাহাজ অনেক লোড সে জন্য আসতে দেরি হচ্ছে তবে আজ সন্ধায় বা কাল সকালের দিকে আসতে পারে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচন ভণ্ডুল করার অপচেষ্টাকে রুখে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ফেরি উদ্ধারে প্রত্যয়ের দেখা নেই, সক্ষম নয় হামজা

আপডেট সময় : ১২:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুধবার (২৭ অক্টোবর) আনুমানিক সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের ৫ নম্বর পন্টুনের প্রথম পকেটে আমানত শাহ নামের রো রো ফেরি যানবাহন আনলোড করতে গিয়ে ডান দিকে কাঁত হয়ে একাংশ ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়ার পর ফেরি থাকা ১৪টি পণ্য বোঝাই ট্রাক পদ্মা নদীতে তলিয়ে গেলে উদ্ধার কাজে অংশ নেয় স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট।
পরে তাদের সঙ্গে আরও জোগ দেয় নৌ-বাহিনী এবং বিআইডব্লিউটিসির ডুবুরি দল।
ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আরিচার যমুনা নদীতে ভেঁসে থাকা বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে। একার পক্ষে আমানত শাহ নামের ওই ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে না বিধায় নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যয় নামের আরো একটি জাহাজ আসার কথা থাকলেও তার কোনো দেখা মেলেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া ৫ নাম্বার ঘাট এলাকায় রো রো ফেরি আমানত শাহ দ্বিতীয় দিনেও এখনো উদ্ধার হয়নি তবে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা একটি মোটরসাইকেল এবং পণ্য বোঝাই ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করেছে ১০টি। ডুবে যাওয়ার আগে ৩টি যানবাহন নামতে পারলেও সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে কাঁত হয়ে পন্টুন এলাকায় ১৪টি কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিটি ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট, তিনটি ডুবুরি দল ও উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটি মোটরসাইকেল ও চারটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে এবং ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মো. শাজাহান বলেন, আমানত শাহ ফেরিটির বডির ওজন ৪৮০ টন। ভেতরে পানি থাকায় ওজন আরও বেড়েছে। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার ৬০ টন পর্যন্ত উদ্ধার সক্ষমতা রয়েছে। প্রত্যয় নামের যে জাহাজটি অভিযানে যুক্ত হবে সেটি ২৫০ টন পর্যন্ত উদ্ধার সক্ষমতা রয়েছে। হামজা ও প্রত্যয় স্থানীয় বিভাগগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ফেরিটি উদ্ধার করতে হবে। কারণ উদ্ধারকারী জাহাজগুলোর উদ্ধার সক্ষমতার চেয়ে আমানত শাহর ওজন বেশি। আপাতত হামজা দিয়ে যানবাহনগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ইতোমধ্যে এ দুর্ঘটনার বিষয়ে নৌ মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যয় নামের উদ্ধারকারী জাহাজ কখন আসবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উদ্ধারকারী জাহাজ অনেক লোড সে জন্য আসতে দেরি হচ্ছে তবে আজ সন্ধায় বা কাল সকালের দিকে আসতে পারে।