ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

ফেরদৌসী রহমানকে নিয়ে তথ্যচিত্র

  • আপডেট সময় : ১২:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীত শিল্পী ফেরদৌসী রহমান। প্রখ্যাত পল্লীগীতিসম্রাট আব্বাসউদ্দীনের সুযোগ্য কন্যা তিনি। সংগীত জগতে ছড়িয়ে যাচ্ছেন নিজের আলো। তাকে চিরসবুজ গানের পাখিও বলা হয়ে থাকে। এবার তার জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত হলো তথ্যচিত্র। এটি নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্দিপ বিশ্বাস। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রযোজিত ৪৯ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ তথ্যচিত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘গানের পাখি’। ফেরদৌসী রহমানের জীবনের নানা দিক ফুটে উঠেছে ‘গানের পাখি’ তথ্যচিত্রে। এটি শিগগিরই অনলাইন এবং অফ লাইনে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান এর নির্মাতা সন্দিপ বিশ্বাস। ১৯৪১ সালের ২৮ জুন অবিভক্ত ভারতবর্ষের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তি এই শিল্পী। তিনি আব্বাসউদ্দীন আহমেদের একমাত্র কন্যা। ফেরদৌসী রহমানের শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে কোচবিহার ও কলকাতায়। দেশভাগের পর পরিপূর্ণ শিল্পী হিসেবে বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল তার গাওয়া গানের মধ্যে দিয়ে। শিশুদের জনপ্রিয় সংগীত শিক্ষার আসর ‘এসো গান শিখি’ দীর্ঘ সাত দশক ধরে বাংলাদেশের সংগীত শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
বাংলা-উর্দু মিলিয়ে প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের পাশাপাশি তার গাওয়া গানের সংখ্যা প্রায় ৫০০০। যার মধ্যে রয়েছে ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, গজল এবং উচ্চাঙ্গ সংগীত। এ ছাড়া তিনি জার্মান, রুশ, চীনসহ একাধিক ভাষায় গান করেছেন। এ সম্পর্কে নির্মাতা সন্দিপ বলেন, ‘এত বড় মাপের একজনকে নিয়ে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ আমাকে এমন একটি কাজের সঙ্গে যুক্ত করায়।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফেরদৌসী রহমানকে নিয়ে তথ্যচিত্র

আপডেট সময় : ১২:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীত শিল্পী ফেরদৌসী রহমান। প্রখ্যাত পল্লীগীতিসম্রাট আব্বাসউদ্দীনের সুযোগ্য কন্যা তিনি। সংগীত জগতে ছড়িয়ে যাচ্ছেন নিজের আলো। তাকে চিরসবুজ গানের পাখিও বলা হয়ে থাকে। এবার তার জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত হলো তথ্যচিত্র। এটি নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্দিপ বিশ্বাস। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রযোজিত ৪৯ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ তথ্যচিত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘গানের পাখি’। ফেরদৌসী রহমানের জীবনের নানা দিক ফুটে উঠেছে ‘গানের পাখি’ তথ্যচিত্রে। এটি শিগগিরই অনলাইন এবং অফ লাইনে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান এর নির্মাতা সন্দিপ বিশ্বাস। ১৯৪১ সালের ২৮ জুন অবিভক্ত ভারতবর্ষের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তি এই শিল্পী। তিনি আব্বাসউদ্দীন আহমেদের একমাত্র কন্যা। ফেরদৌসী রহমানের শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে কোচবিহার ও কলকাতায়। দেশভাগের পর পরিপূর্ণ শিল্পী হিসেবে বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল তার গাওয়া গানের মধ্যে দিয়ে। শিশুদের জনপ্রিয় সংগীত শিক্ষার আসর ‘এসো গান শিখি’ দীর্ঘ সাত দশক ধরে বাংলাদেশের সংগীত শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
বাংলা-উর্দু মিলিয়ে প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের পাশাপাশি তার গাওয়া গানের সংখ্যা প্রায় ৫০০০। যার মধ্যে রয়েছে ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, গজল এবং উচ্চাঙ্গ সংগীত। এ ছাড়া তিনি জার্মান, রুশ, চীনসহ একাধিক ভাষায় গান করেছেন। এ সম্পর্কে নির্মাতা সন্দিপ বলেন, ‘এত বড় মাপের একজনকে নিয়ে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ আমাকে এমন একটি কাজের সঙ্গে যুক্ত করায়।’