ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: সিইসি

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

শনিবার রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন- ছবি সংগৃহীত

রংপুর সংবাদদাতা: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।

শনিবার ( ৯ আগস্ট) বিকালে রংপুর উত্তম এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ডিসি-এসপিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথাব বলেন। এর আগে সকালে রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যে বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশে। তারপরও আমি বলবো, গত বছরের জুলাই-আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলার অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা ঘুমাতে পারছি। আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা ঘুমাতে পারছেন না, তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ইলেকশন আসতে আসতে আরো ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাইকে নিয়ে আমরা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই, মানুষ যাতে নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।’

মানুষের আস্থা ফেরানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন নির্বাচন ঘিরে মানুষের আস্থা ফেরানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন। শনিবার সকালে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাটাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের অনেক দেশের সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেমন থাকে তার চেয়ে বাংলাদেশে ভালো আছে। আগামী নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকাটা যেমন চ্যালেঞ্জ তেমনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবক্ষেত্রে মানুষের আস্থা ফেরানোটাও বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশনের হুঁশ থাকা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম একেবারেই সোজা থাকবে, বিধিবিধান বা আইন কানুন ছাড়া এটা বাঁকা হবে না। সিইসি বলেন, নানা কারণে বিগত সময়ের নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। এবারের নির্বাচন হবে বিশ্বমানের। মানুষকে কেন্দ্রমুখী করতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে আস্থা ফেরাতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, বিগত নির্বাচনে যেসব মাঠকর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালনের সময় সমালোচিত হয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তাদের পরিবর্তে বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্বশীলতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, সংবাদমাধ্যম নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ নয়, তারা আমাদের সহায়ক। তারা নিয়মনীতির মধ্যে কাজ করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহার একটা চ্যালেঞ্জ। কীভাবে এসব থেকে উত্তরণ বা মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়ে কাজ করেছে কমিশন। কোনো ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে আশেপাশের একাধিক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হতে পারে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: সিইসি

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

রংপুর সংবাদদাতা: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।

শনিবার ( ৯ আগস্ট) বিকালে রংপুর উত্তম এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ডিসি-এসপিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথাব বলেন। এর আগে সকালে রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যে বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশে। তারপরও আমি বলবো, গত বছরের জুলাই-আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলার অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা ঘুমাতে পারছি। আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা ঘুমাতে পারছেন না, তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ইলেকশন আসতে আসতে আরো ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাইকে নিয়ে আমরা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই, মানুষ যাতে নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।’

মানুষের আস্থা ফেরানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন নির্বাচন ঘিরে মানুষের আস্থা ফেরানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন। শনিবার সকালে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাটাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের অনেক দেশের সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেমন থাকে তার চেয়ে বাংলাদেশে ভালো আছে। আগামী নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকাটা যেমন চ্যালেঞ্জ তেমনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবক্ষেত্রে মানুষের আস্থা ফেরানোটাও বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশনের হুঁশ থাকা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম একেবারেই সোজা থাকবে, বিধিবিধান বা আইন কানুন ছাড়া এটা বাঁকা হবে না। সিইসি বলেন, নানা কারণে বিগত সময়ের নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। এবারের নির্বাচন হবে বিশ্বমানের। মানুষকে কেন্দ্রমুখী করতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে আস্থা ফেরাতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, বিগত নির্বাচনে যেসব মাঠকর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালনের সময় সমালোচিত হয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তাদের পরিবর্তে বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্বশীলতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, সংবাদমাধ্যম নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ নয়, তারা আমাদের সহায়ক। তারা নিয়মনীতির মধ্যে কাজ করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহার একটা চ্যালেঞ্জ। কীভাবে এসব থেকে উত্তরণ বা মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়ে কাজ করেছে কমিশন। কোনো ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে আশেপাশের একাধিক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হতে পারে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।