ঢাকা ০৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

ফেনীতে প্রাথমিকে পৌনে ৩০০ শিক্ষক পদ শূন্য

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

ফেনী সংবাদদাতা : ফেনীর পৌনে ৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাজ চলছে ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে। কোভিড মহামারীর মধ্যে কম জনবল নিয়ে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও ১৫ মার্চ স্কুলগুলোয় পুরোদমে ক্লাস শুরু হওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না। জনবলের অভাবে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান সমস্যা ছাড়াও প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজেও স্থরিবতা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলা, সোনাগাজী, দাগনভূঞা, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী এবং পরশুরাম উপজেলায় ৫৩টি প্রধান শিক্ষক এবং ২২১টি সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এসব শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক চেয়ে ঢাকায় তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম জানান। ফেনী সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন জানান, তার ২০ বছরের চাকরি জীবনে ১৫ বছরই ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক’ হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
“২০১৭ সালে আমার স্কুলে মো. সাহাব উদ্দিন নামে একজন প্রধান শিক্ষক জয়েন করলেও চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি চাকরি থেকে অবসরে চলে যান।” বর্তমানে মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় চালাচ্ছেন জানিয়ে এই প্রধান শিক্ষক বলেন, “আগামী জুন মাসে আমার স্কুলের সহকারী শিক্ষক উম্মে সালমা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে চলে যাবেন। তখন দুইজন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফেনীতে প্রাথমিকে পৌনে ৩০০ শিক্ষক পদ শূন্য

আপডেট সময় : ১২:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২

ফেনী সংবাদদাতা : ফেনীর পৌনে ৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাজ চলছে ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে। কোভিড মহামারীর মধ্যে কম জনবল নিয়ে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও ১৫ মার্চ স্কুলগুলোয় পুরোদমে ক্লাস শুরু হওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না। জনবলের অভাবে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান সমস্যা ছাড়াও প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজেও স্থরিবতা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলা, সোনাগাজী, দাগনভূঞা, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী এবং পরশুরাম উপজেলায় ৫৩টি প্রধান শিক্ষক এবং ২২১টি সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এসব শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক চেয়ে ঢাকায় তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম জানান। ফেনী সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন জানান, তার ২০ বছরের চাকরি জীবনে ১৫ বছরই ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক’ হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
“২০১৭ সালে আমার স্কুলে মো. সাহাব উদ্দিন নামে একজন প্রধান শিক্ষক জয়েন করলেও চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি চাকরি থেকে অবসরে চলে যান।” বর্তমানে মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় চালাচ্ছেন জানিয়ে এই প্রধান শিক্ষক বলেন, “আগামী জুন মাসে আমার স্কুলের সহকারী শিক্ষক উম্মে সালমা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে চলে যাবেন। তখন দুইজন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।”