ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

ফুটপাতে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের কেনাবেচা

  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : কিছু দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে সারাদেশে। আর সে সঙ্গে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। ময়মনসিংহের ভালুকায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা। বড় শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান সবখানেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষত ভালুকায় সল্প আয়ের মানুষেরা শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলো বেছে নিচ্ছেন। নতুন কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় পুরোনো ও তুলনামূলক কম দামি কাপড়ের দোকানের দিকে ক্রেতারা বেশি ঝুঁকছেন। ভালুকায় যেহেতু অনেক শ্রমিকের বসবাস, তাই বিভিন্ন রাস্তার পাশে হাট-বাজারগুলোতে শীতের পোশাক আমদানি ও বেচাকেনা জমতে শুরু করেছে। তবে অন্য জিনিসের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পোশাকের দামও। ব্যবসায়ীরা শীতের কাপড় বিক্রি শুরু করেছেন। কয়েকদিন ধরে বেচাবিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে বলেই তারা জানিয়েছেন। ভালুকার, সিডস্টোর, মাস্টারবাড়ি, ভরাডোবা, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, পাঁচ রাস্তা মোড় ফুটপাতে এসব পুরোনো পোশাক বিক্রেতাদের চোখে পড়ছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। এসব কাপড় ব্যবসায়ী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে কিনে এনে বিক্রি করছেন। ফুটপাতের দোকানগুলোতে কমমূল্যে কাপড় পাওয়ায় বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। এসব দোকানগুলোতে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে মিলছে গরম কাপড়। গিয়াসউদ্দিন ও ফরহাদ নামে দুই ব্যবসায়ী জানান, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে গাট্টি ধরে এসব শীতের কাপড় নিয়ে আসেন তারা। গত বছরের থেকে এবারও গাট্টিপ্রতি বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে একটু দামও বেশি নিতে হচ্ছে। কাশেম নামে এক বিক্রেতা জানান, ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে গরম কাপড়ের দোকানগুলো ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠেছে। সবাই সাচ্ছন্দ্যে কিনছেন পছন্দের শীতের কাপড়। স্বল্পমূল্যে সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, কোর্ট, প্যান্ট, কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র পাওয়ায় ক্রেতারাও খুশি। তিনি জানান, এ বছর এখনও তেমন শীতের তীব্রতা বাড়েনি। শীতের তীব্রতা বাড়লে গরম কাপড়ের ক্রেতা আরও বাড়বে। মিন্টু নামে এক ক্রেতা জানান, গার্মেন্টের দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের দাম বেশি। তাই নি¤œবিত্ত পরিবারের লোকেরা কমমূল্যের কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় জমান। হাবিবা বেগম নামে এক ক্রেতা জানান, ফুটপাত থেকেও ভালো ভালো শীতের পোশাক পাওয়া যায়। তাই এখান থেকে কিনতে এসেছি। পছন্দ করে তিনটা শীতের পোশাক কিনেছি। তবে দাম হাতের নাগালেই। সাংবাদিক কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, আমাদের নি¤œ আয়ের মানুষগুলোর জন্য কম দামের কাপড়গুলো খুব বেশি কাজে লাগে। যেহেতু স্বল্প আয় দিয়েই সংসার চালাতে হয় তাদের।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফুটপাতে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের কেনাবেচা

আপডেট সময় : ০১:২৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : কিছু দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে সারাদেশে। আর সে সঙ্গে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। ময়মনসিংহের ভালুকায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা। বড় শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান সবখানেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষত ভালুকায় সল্প আয়ের মানুষেরা শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলো বেছে নিচ্ছেন। নতুন কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় পুরোনো ও তুলনামূলক কম দামি কাপড়ের দোকানের দিকে ক্রেতারা বেশি ঝুঁকছেন। ভালুকায় যেহেতু অনেক শ্রমিকের বসবাস, তাই বিভিন্ন রাস্তার পাশে হাট-বাজারগুলোতে শীতের পোশাক আমদানি ও বেচাকেনা জমতে শুরু করেছে। তবে অন্য জিনিসের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পোশাকের দামও। ব্যবসায়ীরা শীতের কাপড় বিক্রি শুরু করেছেন। কয়েকদিন ধরে বেচাবিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে বলেই তারা জানিয়েছেন। ভালুকার, সিডস্টোর, মাস্টারবাড়ি, ভরাডোবা, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, পাঁচ রাস্তা মোড় ফুটপাতে এসব পুরোনো পোশাক বিক্রেতাদের চোখে পড়ছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। এসব কাপড় ব্যবসায়ী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে কিনে এনে বিক্রি করছেন। ফুটপাতের দোকানগুলোতে কমমূল্যে কাপড় পাওয়ায় বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। এসব দোকানগুলোতে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে মিলছে গরম কাপড়। গিয়াসউদ্দিন ও ফরহাদ নামে দুই ব্যবসায়ী জানান, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে গাট্টি ধরে এসব শীতের কাপড় নিয়ে আসেন তারা। গত বছরের থেকে এবারও গাট্টিপ্রতি বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে একটু দামও বেশি নিতে হচ্ছে। কাশেম নামে এক বিক্রেতা জানান, ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে গরম কাপড়ের দোকানগুলো ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠেছে। সবাই সাচ্ছন্দ্যে কিনছেন পছন্দের শীতের কাপড়। স্বল্পমূল্যে সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, কোর্ট, প্যান্ট, কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র পাওয়ায় ক্রেতারাও খুশি। তিনি জানান, এ বছর এখনও তেমন শীতের তীব্রতা বাড়েনি। শীতের তীব্রতা বাড়লে গরম কাপড়ের ক্রেতা আরও বাড়বে। মিন্টু নামে এক ক্রেতা জানান, গার্মেন্টের দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের দাম বেশি। তাই নি¤œবিত্ত পরিবারের লোকেরা কমমূল্যের কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় জমান। হাবিবা বেগম নামে এক ক্রেতা জানান, ফুটপাত থেকেও ভালো ভালো শীতের পোশাক পাওয়া যায়। তাই এখান থেকে কিনতে এসেছি। পছন্দ করে তিনটা শীতের পোশাক কিনেছি। তবে দাম হাতের নাগালেই। সাংবাদিক কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, আমাদের নি¤œ আয়ের মানুষগুলোর জন্য কম দামের কাপড়গুলো খুব বেশি কাজে লাগে। যেহেতু স্বল্প আয় দিয়েই সংসার চালাতে হয় তাদের।