ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

ফুটপাতের পুলিশ বক্স ভেঙে দিলেন মেয়র আতিক

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফুটপাত থেকে অনুমোদনবিহীন ট্রাফিক পুলিশ বক্স উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
গত শনিবার দুপুরে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশনায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ।
হাসপাতালের সামনের ফুটপাতে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের একটি পুরোনো পুলিশ বক্স ছিল। এর পাশেই কংক্রিটের পিলার স্থাপন করে ইটের দেওয়াল গেঁথে আরেকটি স্থায়ী পুলিশ বক্স নির্মাণ করা হয়েছিল। অভিযানের সময় দুটি পুলিশ বক্সই ভেঙে ফেলা হয়েছে।
অভিযান শুরুর আগে পুরোনো পুলিশ বক্সের ভেতর থেকে চেয়ার- টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র সরিয়ে নেন ওই স্থানের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। উচ্ছেদ অভিযানে পুরো সময় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘পথচারীর যাতায়াত নির্বিঘœ ও নিরাপদ করতে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে। আজ যদি এই ফুটপাত ব্যবহার করতে না পারার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে বা পথচারীর মৃত্যু হয়, এই দায় কে নেবে? দেখে খুবই আশ্চর্য লেগেছে, খুব খারাপও লেগেছে। আমাদের ১৮ ফুট চওড়া ফুটপাতটি কীভাবে স্থায়ী পুলিশ বক্স করা হয়েছে।’
ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন অসংখ্য রোগী সেবা নিতে এ ফুটপাত দিয়ে হাসপাতালে যাতায়াত করেন। অনেকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করেন। বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত যাতায়াত করে এ ফুটপাত দিয়ে। এসব বিষয় চিন্তা করে এ এলাকায় ফুটপাত চওড়া করে বানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আমাকে জানিয়েছে, ফুটপাতে এ স্থাপনার জন্য তাদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি তাদের রাস্তায় নেমে যেতে হয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেকোনো সময়।’
মেয়র আরও বলেন, ‘পিলার ও দেওয়াল দিয়ে ফুটপাত পুরো দখল করে পুলিশ বক্স হবে, এটি অনাকাক্সিক্ষত। অবশ্যই পুলিশদের জন্য জায়গা লাগবে। তবে আলোচনার ভিত্তিতে কাজগুলো করা যায়।’
পুলিশ বিভাগের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘আপনারা আসুন, আলোচনা করুন। দরকার হলে আমরা সরকারকে বলবো পুলিশ বক্সের জন্য জায়গা দিতে। কিন্তু এভাবে পুরো ফুটপাত দখল করে পুলিশ বক্স করা হবে, তা কাম্য নয়। জনগণ যাতে দুর্ভোগ না পোহায় এ ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে। সিটি করপোরেশনের জায়গায় কোনো স্থাপনা করতে চাইলে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়েই করতে হবে।’
এদিকে, শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে বনানী কাঁচাবাজারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৩৩টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। বনানী কাঁচাবাজারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া এবং অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই ঘোষণাপত্রে সর্বত্রই অভ্যুত্থান, কোথাও বিপ্লব নেই

ফুটপাতের পুলিশ বক্স ভেঙে দিলেন মেয়র আতিক

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২

মহানগর প্রতিবেদন : রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফুটপাত থেকে অনুমোদনবিহীন ট্রাফিক পুলিশ বক্স উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
গত শনিবার দুপুরে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশনায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ।
হাসপাতালের সামনের ফুটপাতে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের একটি পুরোনো পুলিশ বক্স ছিল। এর পাশেই কংক্রিটের পিলার স্থাপন করে ইটের দেওয়াল গেঁথে আরেকটি স্থায়ী পুলিশ বক্স নির্মাণ করা হয়েছিল। অভিযানের সময় দুটি পুলিশ বক্সই ভেঙে ফেলা হয়েছে।
অভিযান শুরুর আগে পুরোনো পুলিশ বক্সের ভেতর থেকে চেয়ার- টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র সরিয়ে নেন ওই স্থানের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। উচ্ছেদ অভিযানে পুরো সময় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘পথচারীর যাতায়াত নির্বিঘœ ও নিরাপদ করতে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে। আজ যদি এই ফুটপাত ব্যবহার করতে না পারার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে বা পথচারীর মৃত্যু হয়, এই দায় কে নেবে? দেখে খুবই আশ্চর্য লেগেছে, খুব খারাপও লেগেছে। আমাদের ১৮ ফুট চওড়া ফুটপাতটি কীভাবে স্থায়ী পুলিশ বক্স করা হয়েছে।’
ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন অসংখ্য রোগী সেবা নিতে এ ফুটপাত দিয়ে হাসপাতালে যাতায়াত করেন। অনেকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করেন। বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত যাতায়াত করে এ ফুটপাত দিয়ে। এসব বিষয় চিন্তা করে এ এলাকায় ফুটপাত চওড়া করে বানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আমাকে জানিয়েছে, ফুটপাতে এ স্থাপনার জন্য তাদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি তাদের রাস্তায় নেমে যেতে হয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেকোনো সময়।’
মেয়র আরও বলেন, ‘পিলার ও দেওয়াল দিয়ে ফুটপাত পুরো দখল করে পুলিশ বক্স হবে, এটি অনাকাক্সিক্ষত। অবশ্যই পুলিশদের জন্য জায়গা লাগবে। তবে আলোচনার ভিত্তিতে কাজগুলো করা যায়।’
পুলিশ বিভাগের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘আপনারা আসুন, আলোচনা করুন। দরকার হলে আমরা সরকারকে বলবো পুলিশ বক্সের জন্য জায়গা দিতে। কিন্তু এভাবে পুরো ফুটপাত দখল করে পুলিশ বক্স করা হবে, তা কাম্য নয়। জনগণ যাতে দুর্ভোগ না পোহায় এ ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে। সিটি করপোরেশনের জায়গায় কোনো স্থাপনা করতে চাইলে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়েই করতে হবে।’
এদিকে, শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে বনানী কাঁচাবাজারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৩৩টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। বনানী কাঁচাবাজারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া এবং অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকী।