ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫

ফিল্ডিংয়ে হতাশ সাকিব খুঁজছেন শোধরানোর উপায়

  • আপডেট সময় : ০১:০৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ৭৪ রানে নেই ৭ উইকেট, জয়ের জন্য বাকি আরও ৭১ রান। তখন ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিট বাংলাদেশ। দ্রুতই সুযোগ তৈরি হয় অষ্টম উইকেটের। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে শর্ট লেগে ওঠে ক্যাচ। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের গ্লাভস ছুঁয়ে যাওয়া বল হাতে লাগালেও জমাতে পারেননি মুমিনুল হক। স্রেফ ১ রানে জীবন পেয়ে অশ্বিন পরে খেলেন ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস। শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৭১ রান যোগ করে হারের ভয় কাটিয়ে ভারতকে স্বস্তির জয় পাইয়ে দেন অশ্বিন। ম্যাচ শেষে ক্যাচ ছাড়া নিয়ে হতাশাটা লুকালেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ছেড়েছে ৪টি ক্যাচ। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো সুযোগ দেয়নি ভারত। ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতা চলমান থাকে মিরপুরেও। প্রথম ইনিংসে অন্তত ৩টি ক্যাচের সঙ্গে হাতছাড়া হয় একটি স্টাম্পিংয়ের সুবর্ণ সুযোগ। এতবার বেঁচে গিয়ে ভারতকে তিনশ পার করান শ্রেয়াস আইয়ার, রিশাভ পান্তরা। তবু স্পিনারদের হাত ধরে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জোর সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ। কিন্তু এবারও তাড়া করে ক্যাচ মিসের পুরনো ভূত। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, বিশ্বের অন্য দলগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বড় পার্থক্য ফিল্ডিংয়ে। “(ফিল্ডিংয়ে সুযোগ হাতছাড়া করা) একটু তো হতাশাজনক। কারণ এগুলোই হয়তো অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ওদের হয়তো প্রথম ইনিংসে রান ৩১৪ না হয়ে ২৫০ হতে পারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও সুযোগ ছিল। এসব ক্রিকেটের অংশ। তবে হতাশাজনক যে অন্য দলগুলি এসব মিস করে না, আমরা যেগুলো করি।” শুধু এই সিরিজ নয়, গত ২-৩ বছর ধরেই ফিল্ডিং গড়পড়তা মানেরও নিচে বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্টের পাঁচ ম্যাচ মিলে অন্তত ১৫টি ক্যাচ ছেড়েছেন স্বাগতিক ফিল্ডাররা। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশে ছেড়েছে ৭টি ক্যাচ। পুরো বছরে তিন সংস্করণ মিলিয়ে অন্তত ৭০টি নেওয়ার মতো ক্যাচ ছুটেছে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত থেকে। এর সঙ্গে ‘হাফ চান্স’ যোগ করলে সংখ্যাটি নিশ্চিতভাবেই একশ পেরিয়ে যাবে।
এর পেছনে ঘাটতি ঠিক কোথায়, তা নির্দিষ্ট বলতে পারেননি অধিনায়ক নিজেও। তবে শিগগির ভুলের জায়গা চিহ্নিত করে শুধরানোর তাগিদ দেন তিনি। “আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা ভালো ফিল্ডিং করেছি। বেশ ভালো করেছি। ওয়ানডে সিরিজেও (ভারতের বিপক্ষে) ভালো করেছি। টেস্ট ম্যাচে আমরা ওইভাবে ভালো করতে পারিনি। হতে পারে মনোযোগের ঘাটতি, কে জানে, হতে পারে ফিটনেসের ঘাটতি বা অন্য কিছুও হতে পারে।” “তবে এসব খুঁজে বের করতে হবে যে কীভাবে আমরা আরও বড় সময় ধরে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি এবং ভুলগুলো না করি। আমি নিশ্চিত, অন্য কোনো দলই এতগুলো সুযোগ দিত না, যতটা সুযোগ আমরা দেই। অনেক ক্ষেত্রে আছে, খুবই নিয়মিত জিনিসগুলো আমরা মিস করে ফেলি, যেটা অন্য দেশগুলো করে না। ফিল্ডারদের কাছ থেকে যথেষ্ট সহায়তা না পেয়ে বাংলাদেশের বোলারদের খাটুনিও অনেক বেড়ে যায়, বলছেন অধিনায়ক। “এই জায়গায় (ফিল্ডিংয়ে) উন্নতি করতে পারলে অন্য জায়গাগুলোতে আমাদের খুব বেশি পার্থক্য নেই স্কিলের জায়গায়, ব্যাটিং ও বোলিংয়ের দিক থেকে। কারণ আমরা রান খুব কম করছি না। এই জিনিসগুলোই (ক্যাচ মিস) আমাদের জন্য পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। “আমাদের বোলারদের হয়তো ১৩-১৪ টি সুযোগ তৈরি করতে হয় ১০ উইকেট নিতে, অন্যদের ক্ষেত্রে যেটা হয়তো অনেক সময় ৯টা সুযোগ তৈরি করলেই ১০টা হয়ে যায়।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফিল্ডিংয়ে হতাশ সাকিব খুঁজছেন শোধরানোর উপায়

আপডেট সময় : ০১:০৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ৭৪ রানে নেই ৭ উইকেট, জয়ের জন্য বাকি আরও ৭১ রান। তখন ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিট বাংলাদেশ। দ্রুতই সুযোগ তৈরি হয় অষ্টম উইকেটের। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে শর্ট লেগে ওঠে ক্যাচ। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের গ্লাভস ছুঁয়ে যাওয়া বল হাতে লাগালেও জমাতে পারেননি মুমিনুল হক। স্রেফ ১ রানে জীবন পেয়ে অশ্বিন পরে খেলেন ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস। শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৭১ রান যোগ করে হারের ভয় কাটিয়ে ভারতকে স্বস্তির জয় পাইয়ে দেন অশ্বিন। ম্যাচ শেষে ক্যাচ ছাড়া নিয়ে হতাশাটা লুকালেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ছেড়েছে ৪টি ক্যাচ। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো সুযোগ দেয়নি ভারত। ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতা চলমান থাকে মিরপুরেও। প্রথম ইনিংসে অন্তত ৩টি ক্যাচের সঙ্গে হাতছাড়া হয় একটি স্টাম্পিংয়ের সুবর্ণ সুযোগ। এতবার বেঁচে গিয়ে ভারতকে তিনশ পার করান শ্রেয়াস আইয়ার, রিশাভ পান্তরা। তবু স্পিনারদের হাত ধরে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জোর সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ। কিন্তু এবারও তাড়া করে ক্যাচ মিসের পুরনো ভূত। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, বিশ্বের অন্য দলগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বড় পার্থক্য ফিল্ডিংয়ে। “(ফিল্ডিংয়ে সুযোগ হাতছাড়া করা) একটু তো হতাশাজনক। কারণ এগুলোই হয়তো অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ওদের হয়তো প্রথম ইনিংসে রান ৩১৪ না হয়ে ২৫০ হতে পারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও সুযোগ ছিল। এসব ক্রিকেটের অংশ। তবে হতাশাজনক যে অন্য দলগুলি এসব মিস করে না, আমরা যেগুলো করি।” শুধু এই সিরিজ নয়, গত ২-৩ বছর ধরেই ফিল্ডিং গড়পড়তা মানেরও নিচে বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্টের পাঁচ ম্যাচ মিলে অন্তত ১৫টি ক্যাচ ছেড়েছেন স্বাগতিক ফিল্ডাররা। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশে ছেড়েছে ৭টি ক্যাচ। পুরো বছরে তিন সংস্করণ মিলিয়ে অন্তত ৭০টি নেওয়ার মতো ক্যাচ ছুটেছে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত থেকে। এর সঙ্গে ‘হাফ চান্স’ যোগ করলে সংখ্যাটি নিশ্চিতভাবেই একশ পেরিয়ে যাবে।
এর পেছনে ঘাটতি ঠিক কোথায়, তা নির্দিষ্ট বলতে পারেননি অধিনায়ক নিজেও। তবে শিগগির ভুলের জায়গা চিহ্নিত করে শুধরানোর তাগিদ দেন তিনি। “আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা ভালো ফিল্ডিং করেছি। বেশ ভালো করেছি। ওয়ানডে সিরিজেও (ভারতের বিপক্ষে) ভালো করেছি। টেস্ট ম্যাচে আমরা ওইভাবে ভালো করতে পারিনি। হতে পারে মনোযোগের ঘাটতি, কে জানে, হতে পারে ফিটনেসের ঘাটতি বা অন্য কিছুও হতে পারে।” “তবে এসব খুঁজে বের করতে হবে যে কীভাবে আমরা আরও বড় সময় ধরে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি এবং ভুলগুলো না করি। আমি নিশ্চিত, অন্য কোনো দলই এতগুলো সুযোগ দিত না, যতটা সুযোগ আমরা দেই। অনেক ক্ষেত্রে আছে, খুবই নিয়মিত জিনিসগুলো আমরা মিস করে ফেলি, যেটা অন্য দেশগুলো করে না। ফিল্ডারদের কাছ থেকে যথেষ্ট সহায়তা না পেয়ে বাংলাদেশের বোলারদের খাটুনিও অনেক বেড়ে যায়, বলছেন অধিনায়ক। “এই জায়গায় (ফিল্ডিংয়ে) উন্নতি করতে পারলে অন্য জায়গাগুলোতে আমাদের খুব বেশি পার্থক্য নেই স্কিলের জায়গায়, ব্যাটিং ও বোলিংয়ের দিক থেকে। কারণ আমরা রান খুব কম করছি না। এই জিনিসগুলোই (ক্যাচ মিস) আমাদের জন্য পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। “আমাদের বোলারদের হয়তো ১৩-১৪ টি সুযোগ তৈরি করতে হয় ১০ উইকেট নিতে, অন্যদের ক্ষেত্রে যেটা হয়তো অনেক সময় ৯টা সুযোগ তৈরি করলেই ১০টা হয়ে যায়।”