আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঘোষণা দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য হলে তার ডেপুটি হুসেন আল-শেখ ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই পদক্ষেপ আব্বাসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আল-শেখকে ভবিষ্যতের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আরেকটি ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে, যদিও তার প্রতি জনসমর্থন অত্যন্ত সীমিত।
রোববার (২৬ অক্টোবর) এক লিখিত ঘোষণায় ৮৯ বছর বয়সী আব্বাস বলেছেন, যদি কখনো তিনি আর দায়িত্ব পালন করার মতো অবস্থায় না থাকেন, সেক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হুসেইন আল শেখ।
মাহমুদ আব্বাসের ঘোষণাটি ছেপেছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা। সেখানে তিনি বলেছেন, কোনো কারণে যদি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) প্রধানের পদ শূন্য হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের ও প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) ভাইস প্রেসিডেন্ট হুসেইন আল শেখ অস্থায়ীভাবে এই পদে স্থলাভিষিক্ত হবেন। তার দায়িত্ব হবে ফিলিস্তিনের নির্বাচনী আইন মেনে নির্বাচনের আয়োজন করা ও তারপর নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
ফিলিস্তিনের সংবিধান অনুসারে, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। যদি অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার কারণে তা সম্ভব না হয়, তাহলে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আরও এক মেয়াদ এই পদে থাকবেন।
সংবিধানের ডিক্রি নম্বর ১-এ আরো বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদ কোনো কারণে শূন্য হয়ে গেলে পরবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন ফিলিস্তিনের পার্লামেন্ট প্যালেস্টাইনিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বা স্পিকার।
মাহমুদ আব্বাসের সাম্প্রতিক ঘোষণা সংবিধানের ডিক্রি নম্বর ১-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়া ডিক্রিটি বাতিল করা হয়েছে। মাহমুদ আব্বাসের ঘোষণায় এর ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে।
লিখিত ঘোষণায় এ প্রসঙ্গে মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা রক্ষা, মাতৃভূমির নিরাপত্তা ও ফিলিস্তিনের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষার স্বার্থে সংবিধানের ১ নম্বর ডিক্রি বাতিল করা হলো।
মাহমুদ আব্বাস গত ২০ বছর ধরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের পদে আছেন। ২০০৪ সালের নভেম্বরে পরলোকগমন করেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ও অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাত। আরাফাতের মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরি হিসেবে ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হন আব্বাস।
এসি/আপ্র/২৮/১০/২০২৫




















